1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘উত্তর কোরিয়া ইউরোপে আঘাত হানতে সক্ষম’

১৯ মার্চ ২০১৮

জার্মানির বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা ‘বিএনডি'র এক কর্মকর্তা সম্প্রতি জার্মান সাংসদদের এই তথ্য জানিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে৷ তবে এ প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে বিএনডির প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি৷

ছবি: picture-alliance/AP Photo/KRT

জার্মানির বহুল প্রচারিত দৈনিক বিল্ড-এর রবিবারের সংস্করণ ‘বিল্ড আম জনটাগ’-এ প্রথম এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়৷ বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের উদ্ধৃতি দিয়ে এই সংবাদটি প্রকাশ করা হয়৷ এতে বলা হয়, গত সপ্তাহে জার্মান সাংসদ ও বিএনডির কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ সেই সময় বিএনডির উপ-পরিচালক ওলে ডিল  সাংসদদের বলেন, উত্তর কোরিয়া যে এখন ‘ইউরোপ ও জার্মানিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে পৌঁছতে পারে’ সে ব্যাপারে ‘নিশ্চয়তা’ আছে৷ উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে যে আলোচনা চলছে, তাকে বিএনডি ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছে বলেও সাংসদদের জানান বিএনডির ঐ কর্মকর্তা৷

গণমাধ্যমে প্রকাশিত এই খবর সম্পর্কে বিএনডির পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি৷

এদিকে, সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক করতে রাজি বলে ঘোষণা দেয়ার পর কূটনৈতিক পদক্ষেপ শুরু হয়েছে৷ মে মাসে দুই নেতার মধ্যে এই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা চুং ইউই-ইয়ং৷ প্রথমে উত্তর কোরিয়ার নেতা উন এবং পরে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছিলেন ইউই-ইয়ং৷ উনের সঙ্গে বৈঠকের সময় উন ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের আগ্রহ দেখান বলে জানিয়েছেন ইউই-ইয়ং৷ তবে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ট্রাম্প ও উনের মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি৷

তবে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো সম্প্রতি সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্গট ভালস্ট্রমের সঙ্গে তিনদিনব্যাপী এক আলোচনায় অংশ নিয়েছেন৷ শনিবার এই বৈঠক শেষ হয়৷ সেই সময় উত্তর কোরিয়ায় গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন কোরীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকের মুক্তি নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে৷ এরপর রবিবার উত্তর কোরিয়ার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে ফিনল্যান্ড পৌঁছান৷

এদিকে, সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মধ্যে কোরীয় উপত্যকায় পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷

জাতিসংঘের একের পর এক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গতবছর উত্তর কোরিয়া বেশ কয়েকটি পরমাণু পরীক্ষা চালায়৷ উত্তর কোরিয়া বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের দখল এড়াতে তারা পরমাণু কর্মসূচি গ্রহণ করছে৷ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এমন পরিকল্পনা থাকার কথা অস্বীকার করেছে৷ তবে দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার সৈন্য মোতায়েন আছে৷

জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ