1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে শান্তির আশায় মুন

১৪ জানুয়ারি ২০২০

বর্তমান অচলাবস্থা সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়া ও অ্যামেরিকার মধ্যে সংলাপের সম্ভাবনার আশা প্রকাশ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট৷ উত্তর কোরিয়া অবশ্য এখনো পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার বাড়ানোর হুমকি দিচ্ছে৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন
ছবি: Reuters/K. Lamarque

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে যে সাফল্যের মাধ্যমে তাঁর বাকি সব দুর্বলতা ঢাকার আশা করেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার সংকট সমাধানের সেই প্রচেষ্টা এখনো অধরা রয়ে গেছে৷ অ্যামেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বছরে এমন সাফল্য ট্রাম্পের জন্য সুবিধাজনক হতে পারে৷ বিশেষ করে ইরানের সঙ্গে সংঘাতের মাঝে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বোঝাপড়া তেহরানের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷ অথচ ওয়াশিংটন ও পিয়ং ইয়ং-এর মধ্যে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা থমকে গেছে৷ উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন তর্জনগর্জন করে চলেছেন৷

এমনই প্রেক্ষাপটে আশার আলো দেখাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন৷ মঙ্গলবার তিনি বলেন, এখনো নৈরাশ্যের সময় আসেনি৷ তাঁর মতে, পিয়ং ইয়ং এখনো সংলাপের দরজা বন্ধ করেনি৷ বিশেষ করে ট্রাম্প সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার নেতাকে তাঁর জন্মদিন উপলক্ষ্যে যে চিঠি লিখেছেন, তার ফলে আলোচনা প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা অটুট রয়েছে বলেও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মনে করেন৷

উত্তর কোরিয়া অবশ্য ‘জন্মদিন কূটনীতি' নিয়ে মিশ্র বার্তা পাঠিয়েছে৷ কিম জং উন ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পকে পছন্দ করলেও সেই অনুভূতির ভিত্তিতে তিনি নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন না বলে সপ্তাহান্তে প্রকাশিত এক সরকারি বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে৷ তাতে দক্ষিণ কোরিয়ার ভূমিকারও সমালোচনা করা হয়েছে৷

সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন উত্তর কোরিয়ার উপর জাতিসংঘের কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার চেষ্টা চালাতে চান৷ দুই কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে তিনি এই উদ্যোগ নিতে চান৷ উল্লেখ্য, পিয়ং ইয়ং-এর উপর চাপ বজায় রাখতে ওয়াশিংটন এখনো নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে প্রস্তুত নয়৷ পরমাণু কর্মসূচিতে রাশ টানলে তবেই এ বিষয়ে কথা বলতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন৷

এখনো পর্যন্ত সাফল্যের অভাবের ফলে কিম জং উন অত্যন্ত ক্ষোভ ও হতাশায় ভুগছেন বলে কিছু সূত্রে দাবি করা হচ্ছে৷ বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের চাপে পড়ে পিয়ং ইয়ং বড্ড বেশি ছাড় দিয়ে ফেলেছে বলে কিম আক্ষেপ করছেন৷ এর বদলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়নি এবং উত্তর কোরিয়া কোনো প্রত্যক্ষ সুফল পায়নি৷ গত মাসে ক্ষমতাসীন দলের এক বৈঠকে কিম বর্তমান কূটনৈতিক অচলাবস্থা সম্পর্কে গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন৷ তিনি পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার আরও বাড়ানোর ইঙ্গিতও দিয়েছেন৷ নতুন ‘কৌশলগত অস্ত্র' তুলে ধরার পাশাপাশি পরমাণু পরীক্ষা আবার শুরু করার প্রচ্ছন্ন হুমকিও দিয়েছেন কিম জং উন৷

এসবি/কেএম (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ