গত জুলাই মাসে ওই মার্কিন সেনা উত্তর কোরিয়ায় ঢোকেন বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
এই প্রথম উত্তর কোরিয়ায় কোনো মার্কিন সেনা গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিম জং-উনের প্রশাসন জানিয়েছে, ওই সেনাকে লাগাতার জেরা করা হচ্ছে। তার কাছ থেকে যে জবানবন্দি মিলেছে, তা-ও সংবাদমাধ্যমের কাছে দেওয়া হয়েছে।
আটক মার্কিন সেনার নাম ট্র্যাভিস কিং। সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, ট্র্যাভিস উত্তর কোরিয়ায় থাকতে চান। অ্যামেরিকা তার পছন্দ নয়। উত্তর কোরিয়ার প্রশাসনকে তিনি জানিয়েছেন, বর্ণবাদ এবং বৈষম্যের দেশ অ্যামেরিকা। তার মতো কৃষ্ণবর্ণের মানুষদের এখনো অ্যামেরিকায় দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে বাঁচতে হয়। সে কারণেই আর দেশে ফিরে যেতে চান না প্রাইভেট। তিনি উত্তর কোরিয়ায় থাকতে চান।
মিসাইল প্রদর্শনের সামরিক মহড়ায় সকন্যা কিম জং উন
উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিশাল সামরিক মহড়ার আয়োজন করা হয়। পিয়ংইয়ংয়ের কিম ইল সুং স্কোয়ারে বুধবার ক্ষেপণাস্ত্রগুলি প্রদর্শিত হয়। কিম-আমলের সবচেয়ে বড় সামরিক প্রদর্শনের ঝলক দেখুন ছবিঘরে..
ছবি: KCNA/REUTERS
সামরিক মহড়া
পিপলস আর্মির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। সামরিক অনুশীলন সম্প্রসারণ ও আরো জোরদার করার প্রতিজ্ঞা করেছে তারা।
ছবি: KCNA/REUTERS
বিশাল মহড়া
পিয়ংইয়ংয়ের সামরিক কর্মকাণ্ড বেড়েই চলেছে বিশেষ করে তাদের রেকর্ডসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশ। কিন্তু তাদের সমালোচনায় বিন্দুমাত্র পাত্তা দেয়নি কিম জং উনের দেশ। রীতিমতো জাঁকজমক করে সামরিক ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে তারা।
ছবি: KCNA/REUTERS
প্রতিপক্ষকে জবাব?
গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথ বিমান মহড়া করে। সেই মহড়ার পর পিয়ংইয়ংয়ের তরফে পাল্টা জবাব ছিল এই সামরিক মহড়া। বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের প্রদর্শনের মাধ্যমে হুমকি দিয়েছে তারা।
ছবি: KCNA/REUTERS
কিমের সঙ্গে সামরিক কর্তারা
এই কুচকাওয়াজে শাসক কিমের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দেশের দুই সামরিক কর্তাও। একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণই শুধু নয় ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের এক বৈঠকে কিম বলেছেন সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে। তাই এই কুচকাওয়াজ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ছবি: KCNA/REUTERS
বাহিনীর প্রস্তুতি
দেশের প্রতিটি বাহিনীর কর্তা ও কর্মীরা অংশ নিয়েছেন এই মেগা কুচকাওয়াজে। সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা বিশ্বের প্রতিটি দেশের কাছে 'তুলে ধরতে' কিমের এই আয়োজন।
ছবি: KCNA/REUTERS
সাঁজোয়াতেও পিছিয়ে নেই
৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একাধিক সুবিশাল সাঁজোয়া যান এই সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেয়। সেই ছবি ধরা পড়েছে আলোকচিত্রীর ক্যামেরায়
ছবি: KCNA/REUTERS
মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্র
সামরিক কুচকাওয়াজের সময় ক্ষেপণাস্ত্রগুলি প্রদর্শিত হয়েছে একাধিকবার।
ছবি: KCNA/REUTERS
কিম কী চান
কিম তার দেশের পারমাণবিক অস্ত্রাগারে "এক্সপোনেনশিয়াল ইনক্রিস"-এর আহ্বান জানানোর দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এই সর্ববৃহৎ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ছবি: KCNA via REUTERS
বাহিনীর ক্ষমতা
বুধবার রাতের সামরিক কুচকাওয়াজে প্রায় এক ডজন উন্নত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেছে উত্তর কোরিয়া, যাকে রাষ্ট্র-চালিত মিডিয়ায় পিয়ংইয়ংয়ের "পারমাণবিক হামলার ক্ষমতা" হিসাবে বর্ণনা করেছে।
ছবি: KCNA/REUTERS
কিমের উল্লাস
সামরিক মহড়ার সময় কিম জং উনের চোখেমুখে ছিল হাসি। মহড়ায় প্রদর্শিত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, তাত্ত্বিকভাবে এসব ক্ষেপণাস্ত্রের অনেকগুলোরই যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত করার ক্ষমতা রয়েছে।
ছবি: KCNA/REUTERS
উত্তরসূরি?
বুধবার রাতের কুচকাওয়াজের মহড়ায় কিমের সঙ্গে একটি বাচ্চা মেয়েকে দেখা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে সেই হলো কিমের মেয়ে জু আয়ে। তাকে সম্ভবত কিমের চূড়ান্ত উত্তরসূরি হিসাবে তৈরি করা হচ্ছে। কিমের মেয়ের স্পটলাইটে আসা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
ছবি: KCNA/REUTERS
11 ছবি1 | 11
বস্তুত, এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ট্র্যাভিস। একটি পাবে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এরপর পুলিশের সঙ্গে লড়াই হয় তার। দক্ষিণ কোরিয়ায় হাজতবাস শেষ করে তিনি বিমানবন্দরে যান। সেখানে তার টেক্সাসের উড়ান ছিল। অ্যামেরিকায় পৌঁছে তার সেনাবাহিনীর আদালতে বিচার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টেক্সাসের উড়ান না ধরে প্রাইভেট একটি ট্য়ুরে যোগ দেন। তাদের সঙ্গে উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যবর্তী ডিমিলিটারাইজড জোনে ঢুকে পড়েন তিনি। সেখান থেকেই অবৈধভাবে উত্তর কোরিয়ায় ঢোকেন এই মার্কিন সেনা।
এই প্রথম কোনো মার্কিন সেনা এভাবে অবৈধভাবে উত্তর কোরিয়ায় ঢুকে ধরা পড়লেন।
পেন্টাগন অবশ্য জানিয়েছে, ট্র্যাভিসের সুস্থতাই তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর কোরিয়া সংবাদমাধ্যমকে যা-ই বলুক, তারা চায় ট্র্যাভিস দ্রুত দেশে ফিরে যান। এবং সে জন্য সমস্ত চ্যানেলে আলাপ আলোচনা চলছে বলে পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়েছে। ট্র্যাভিসকে অ্যামেরিকায় ফিরিয়ে নেয়ার জন্য পেন্টাগন সমস্ত ব্যবস্থা করবে বলেও জানানো হয়েছে। উত্তর কোরিয়া ট্র্যাভিসের বিষয়ে যা বলছে, তা আদৌ সত্য কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট, গত ১৮ জুলাই টেক্সাসের বিমান না ধরে ট্র্যাভিস উত্তর কোরিয়ার দিকে গেছিলেন।