করোনার পাশাপাশি নতুন মহামারি থাবা বসিয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। পাকস্থলীতে সংক্রমণ ঘটছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
গত একমাস ধরে করোনার কবলে উত্তর কোরিয়া। প্রথামিকভাবে কিম জং উনের সরকার এবিষয়ে কিছু তথ্য দিলেও এখন সেখানে করোনা পরিস্থিতি কী, তা নিয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। তবে সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, গত কিছুদিন ধরে দেশের দক্ষিণ প্রান্তে এক নতুন মহামারি শুরু হয়েছে। পাকস্থলীতে সংক্রমণ ঘটছে। কীভাবে এর মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে চিন্তিত দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
করোনা ঠেকাতে উত্তর কোরিয়ায় সেনাবাহিনী
পুরো পৃথিবী যখন করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার পথে রয়েছে, তখন প্রথমবারের মতো করোনার সংক্রমণের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানালো উত্তর কোরিয়া৷ দুই সপ্তাহ আগে সংক্রমণ ধরা পড়ার পর কড়াকড়ি আরোপে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে৷
ছবি: KCNA/REUTERS
দেশজুড়ে পোস্টারিং
উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন স্থানে এমন পোস্টার টানানো হয়েছে৷ পোস্টারটিতে দেখা যাচ্ছে দুজন সেনাসদ্যকে৷ এর মধ্যে একজন পিপিই পরে আছেন৷ এছাড়া নানা ধরনের ওষুধের ছবিও যুক্ত করা হয়েছে পোস্টারে৷
ছবি: KCNA/REUTERS
ওষুধ, টিকা পর্যাপ্ত আছে?
বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন এবং অর্থনৈতিক অবরোধে বিপর্যন্ত দেশটি করোনার কবলে ব্যাপক দুর্দশায় পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে৷ কিন্তু পিয়ংইয়ং জানিয়েছে, ওষুধ বা টিকার কোনো স্বল্পতা দেশটিতে নেই৷ এই পোস্টারে দেশের জনগণকে সেটিই জানানো হচ্ছে৷
ছবি: Kyodo/REUTERS
পরিচ্ছন্নতা অভিযান
ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা চালানো হচ্ছে৷ ছবিতে একটি পরিচ্ছন্নতা পণ্য কারখানার খাবার কক্ষ ডিসইনফেকশন দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে দেখা যাচ্ছে এক কর্মীকে৷
ছবি: Kyodo/REUTERS
চরম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা
করোনা সংক্রমণ বাড়লেও যাতে নানা ধরনের সেবা ব্যাহত না হয়, সে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে৷ ছবিতে ডাক বিভাগের একটি গাড়িকে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: KCNA/REUTERS
পরিচ্ছন্নতার আহ্বান সকলকে
সরকারের পক্ষ থেকে যেমন নানা পাবলিক স্থান জীবাণুমুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে, জনগণকেও আহ্বান জানানো হয়েছে নিজেদের ঘর-বাড়ি ও আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য৷ নানা পোস্টারে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বিষয়েও প্রচারণা চালানো হচ্ছে৷
ছবি: KCNA/REUTERS
চলাচলে বিধিনিষেধ
জনসমাগম ঠেকাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে৷ অনেক সড়কেও প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ এমনই এক সড়কের চিত্র দেখা যাচ্ছে এই ছবিতে৷
ছবি: Kyodo/REUTERS
জনাকীর্ণ স্থান খাঁ খাঁ
কড়াকড়ি আরোপের ফলে রাজধানী পিয়ংইয়ং-এর বিভিন্ন ব্যস্ত স্থানও এখন শুন্য পড়ে রয়েছে৷ ছবিতে রাজধানীর একটি স্টেশনের বাইরের চিত্র দেখা যাচ্ছে৷ স্বাভাবিক সময়ে পর্চণ্ড ভিড় থাকলেও এখন কাকপক্ষীরও দেখা মিলছে না৷
ছবি: Kyodo/REUTERS
ওযুধ তৈরি ও সরবরাহেও সেনা
সেনাবিহিনীর চিকিৎসকরাও যোগ দিয়েছেন করোনা ঠেকানোর উদ্যোগে৷ ছবিতে একটি ফার্মেসিতে সেনা চিকিৎসকদের কাজ করতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: KCNA/REUTERS
কিম জং উনের তত্ত্বাবধান
পিয়ংইয়াং-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে. করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর উদ্যোগ সরাসরি তত্ত্বাবধান করছেন দেশটির নেতা কিং জং উন৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে পলিট ব্যুরোর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করছেন উন৷
ছবি: KCNA/REUTERS
9 ছবি1 | 9
সরকারি সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, কিম জং উন তার পরিবারের জন্য সঞ্চিত ওষুধের একটি বড় অংশ মহামারি মোকাবিলার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছেন। মূলত উত্তর কোরিয়ার দক্ষিণ অংশে ওই ওষুধ পাঠানো হয়েছে। দেশের দক্ষিণ অংশ কৃষির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে বেশি ফসল উৎপন্ন হয় সেখানে। সেখানেই এই রোগের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি বলে জানা গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা জানানো হয়নি।
সংবাদসংস্থার দাবি, কিম জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব এই মহামারি আটকাতে হবে। সে জন্য আক্রান্ত ব্যক্তিদের আইসোলেশনে পাঠানো হচ্ছে। রোগীদের রক্তের নমুনা জিনম টেস্টের জন্যও পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে উত্তর কোরিয়ায় ব্যাপক খাদ্য সংকটও শুরু হয়েছে। ফসলের উৎপাদন এর অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে উত্তর কোরিয়ার পরিস্থিতি ভয়াবহ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। প্রাথমিকভাবে তাদের ধারণা, কলেরা এবং টাইফয়েড জাতীয় কোনো সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে উত্তর কোরিয়ায়।