রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং চীনা প্রতিনিধিদল উত্তর কোরিয়ায়। তারা বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
বিজ্ঞাপন
করোনার পর প্রবল কড়াকড়ি করেছিল উত্তর কোরিয়া। নিজের নাগরিকদের পর্যন্ত দেশে ঢুকতে দিচ্ছিল না। করোনা পরবর্তী সময়ে এই প্রথম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিদেশি প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা পৌঁছে গেছেন। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য লি হংঝংয়ের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলও পৌঁছেছে।
শোইগুকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান উত্তর কোরিয়ার সামরিক কর্তারা। শোইগু বলেছেন, তার এই সফরের ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো ভালো হবে।
মিসাইল প্রদর্শনের সামরিক মহড়ায় সকন্যা কিম জং উন
উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিশাল সামরিক মহড়ার আয়োজন করা হয়। পিয়ংইয়ংয়ের কিম ইল সুং স্কোয়ারে বুধবার ক্ষেপণাস্ত্রগুলি প্রদর্শিত হয়। কিম-আমলের সবচেয়ে বড় সামরিক প্রদর্শনের ঝলক দেখুন ছবিঘরে..
ছবি: KCNA/REUTERS
সামরিক মহড়া
পিপলস আর্মির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। সামরিক অনুশীলন সম্প্রসারণ ও আরো জোরদার করার প্রতিজ্ঞা করেছে তারা।
ছবি: KCNA/REUTERS
বিশাল মহড়া
পিয়ংইয়ংয়ের সামরিক কর্মকাণ্ড বেড়েই চলেছে বিশেষ করে তাদের রেকর্ডসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশ। কিন্তু তাদের সমালোচনায় বিন্দুমাত্র পাত্তা দেয়নি কিম জং উনের দেশ। রীতিমতো জাঁকজমক করে সামরিক ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে তারা।
ছবি: KCNA/REUTERS
প্রতিপক্ষকে জবাব?
গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথ বিমান মহড়া করে। সেই মহড়ার পর পিয়ংইয়ংয়ের তরফে পাল্টা জবাব ছিল এই সামরিক মহড়া। বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের প্রদর্শনের মাধ্যমে হুমকি দিয়েছে তারা।
ছবি: KCNA/REUTERS
কিমের সঙ্গে সামরিক কর্তারা
এই কুচকাওয়াজে শাসক কিমের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দেশের দুই সামরিক কর্তাও। একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণই শুধু নয় ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের এক বৈঠকে কিম বলেছেন সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে। তাই এই কুচকাওয়াজ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ছবি: KCNA/REUTERS
বাহিনীর প্রস্তুতি
দেশের প্রতিটি বাহিনীর কর্তা ও কর্মীরা অংশ নিয়েছেন এই মেগা কুচকাওয়াজে। সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা বিশ্বের প্রতিটি দেশের কাছে 'তুলে ধরতে' কিমের এই আয়োজন।
ছবি: KCNA/REUTERS
সাঁজোয়াতেও পিছিয়ে নেই
৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একাধিক সুবিশাল সাঁজোয়া যান এই সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেয়। সেই ছবি ধরা পড়েছে আলোকচিত্রীর ক্যামেরায়
ছবি: KCNA/REUTERS
মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্র
সামরিক কুচকাওয়াজের সময় ক্ষেপণাস্ত্রগুলি প্রদর্শিত হয়েছে একাধিকবার।
ছবি: KCNA/REUTERS
কিম কী চান
কিম তার দেশের পারমাণবিক অস্ত্রাগারে "এক্সপোনেনশিয়াল ইনক্রিস"-এর আহ্বান জানানোর দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এই সর্ববৃহৎ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ছবি: KCNA via REUTERS
বাহিনীর ক্ষমতা
বুধবার রাতের সামরিক কুচকাওয়াজে প্রায় এক ডজন উন্নত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেছে উত্তর কোরিয়া, যাকে রাষ্ট্র-চালিত মিডিয়ায় পিয়ংইয়ংয়ের "পারমাণবিক হামলার ক্ষমতা" হিসাবে বর্ণনা করেছে।
ছবি: KCNA/REUTERS
কিমের উল্লাস
সামরিক মহড়ার সময় কিম জং উনের চোখেমুখে ছিল হাসি। মহড়ায় প্রদর্শিত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, তাত্ত্বিকভাবে এসব ক্ষেপণাস্ত্রের অনেকগুলোরই যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত করার ক্ষমতা রয়েছে।
ছবি: KCNA/REUTERS
উত্তরসূরি?
বুধবার রাতের কুচকাওয়াজের মহড়ায় কিমের সঙ্গে একটি বাচ্চা মেয়েকে দেখা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে সেই হলো কিমের মেয়ে জু আয়ে। তাকে সম্ভবত কিমের চূড়ান্ত উত্তরসূরি হিসাবে তৈরি করা হচ্ছে। কিমের মেয়ের স্পটলাইটে আসা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
ছবি: KCNA/REUTERS
11 ছবি1 | 11
রাশিয়া ও চীনের প্রতিনিধিরা প্যারেডে থাকবেন। উত্তর কোরিয়াও এবার বিশাল প্যারেডের আয়োজন করছে বলে সূত্র জানিয়েছে। সরকারি মিডিয়া জানিয়েছে, বিজয় দিবসের প্যারেড ঐতিহাসিক হবে।
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে অ্যামেরিকার সম্পর্ক এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। অ্য়ামেরিকাএখন তাদের বন্ধু দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সমানে সামরিক মহড়া করছে। তারা দক্ষিণ কোরিয়ায় পরমাণু অস্ত্র ছুঁড়তে পারে এমন যুদ্ধজাহাজও পাঠিয়েছে।
আর তার পাল্টা হিসাবে উত্তর কোরিয়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছে। গত সপ্তাহে তারা তিনবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। ২০২২ থেকে তারা একশর বেশি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে।
উত্তর কোরিয়ায় অনাড়ম্বর প্যারেডের কারণ
উত্তর কোরিয়ার ৭৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বুধবার মাঝরাতে প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ সেখানে কিম জং উন উপস্থিত থাকলেও কোনো বক্তব্য দেননি৷ এছাড়া এবার প্যারেডে কোনো ব্যালিস্টিক মিসাইলও ছিল না৷
ছবি: KCNA/REUTERS
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্যারেড
উত্তর কোরিয়ার ৭৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বুধবার মাঝরাতে প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ সেখানে কিম জং উন উপস্থিত থাকলেও কোনো বক্তব্য দেননি৷
ছবি: KCNA/REUTERS
করোনার চিহ্ন
আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তর কোরিয়া করোনা শনাক্তের কোনো তথ্য দেয়নি৷ তবে সংক্রমণ রোধে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়াসহ কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল৷ প্যারেডে যারা অংশ নিয়েছেন তারা হ্যাজম্যাট স্যুট (হ্যাজার্ডাস ম্যাটেরিয়ালস স্যুট) পরেছিলেন৷ মুখে ছিল মেডিকেল-গ্রেড মাস্ক৷
ছবি: KCNA via REUTERS
তবে দর্শকরা মাস্ক পরেননি
প্যারেডে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের অনেকে মাস্ক পরলেও প্যারেডের দর্শকরা মাস্ক পরেননি৷ এমনকি কিম জং উনের খুব কাছে অনেককে মাস্কহীন অবস্থায় দেখা গেছে৷ মাস্ক ছাড়াই তাদের উনকে ছুঁতে এবং হাত মেলাতে দেখা গেছে৷
ছবি: KCNA/REUTERS
ব্যালিস্টিক মিসাইল ছিল না
এবারের প্যারেডে কোনো ব্যালিস্টিক মিসাইল ছিল না৷ যদিও গত অক্টোবরে এক প্যারাডে প্রথমবারের মতো আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল দেখানো হয়েছিল৷ এছাড়া সেসময় কিম জং উন তার বক্তব্যে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ক্ষমতা সম্পর্কে বক্তব্য দিয়েছিলেন৷
ছবি: KCNA/REUTERS
অনেকদিন পর ‘রেড গার্ডসের’ উপস্থিতি
১৯৫০-৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধের পর চীনা বাহিনী উত্তর কোরিয়া ছেড়ে যাওয়ার পর ‘ওয়ার্কার-পিজেন্ট রেড গার্ডস’ নামে একটি জননিরাপত্তা বাহিনী গড়ে তোলা হয়েছিল৷ ২০১৩ সালের পর এবার আবার তারা প্যারেডে অংশ নিয়েছেন৷
ছবি: KCNA/REUTERS
অনাড়ম্বর প্যারেডের কারণ
সৌলের নর্থ কোরিয়ান স্টাডিজ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ইয়াং মু-জিন বলছেন, প্যারেডে ব্যালিস্টিক মিসাইল না থাকা এবং রেড গার্ডসের উপস্থিতির অর্থ হচ্ছে কিম জং উন অভ্যন্তরীণ ইস্যু যেমন করোনা, অর্থনীতি, জাতীয় ঐক্য ও সংহতির বিষয় দেখাতে চেয়েছেন৷ এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ভবিষ্যতে আলোচনায় ভালো অবস্থানে থাকতে চাওয়ার লক্ষ্যে হয়ত ব্যালিস্টিক মিসাইল দেখানো হয়নি৷
ছবি: KCNA/REUTERS
আলোচনা বন্ধ আছে
উত্তর কোরিয়া যেন পরমাণু অস্ত্র ত্যাগ করে সেই লক্ষ্যে আলোচনা ২০১৯ সাল থেকে বন্ধ আছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন কূটনীতির মাধ্যমে এ ব্যাপারে সফলতা পেতে চান৷ গত জুলাই মাসে আন্তঃকোরীয় হটলাইন চালু হওয়ার পর আলোচনা শুরুর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল৷ তবে গতমাসে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ মহড়া শুরুর পর উত্তর কোরিয়া আর ফোন ধরছে না৷
ছবি: KCNA/REUTERS
7 ছবি1 | 7
রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়া রাশিয়ার পক্ষে আছে। তারা বলেছে, অ্যামেরিকার দাদাগিরির জন্যই এই য়ুদ্ধ হচ্ছে।
রাশিয়া ও চীন মিলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির চেষ্টাও রুখে দিয়েছে।