উভয় তরফ যদি রাজি থাকে, তাহলে ওয়াশিংটন আর পিয়ংইয়াংয়ের মধ্যে মধ্যস্থ হিসেবে কাজ করতে রাজি মস্কো৷ একদিকে রাশিয়ার এই প্রস্তাব, অপরদিকে উত্তর কোরিয়ার দু'জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নতুন মার্কিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা৷
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার ক্রেমলিন ঘোষণা করে যে, উত্তেজনা হ্রাসের জন্য রাশিয়া উত্তর কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত৷ এর পটভূমিতে রয়েছে পিয়ংইয়াংয়ের সাম্প্রতিক রকেট পরীক্ষা ও দুই দেশের দুই নেতা, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং-উনের মধ্যে কয়েক মাস ধরে ক্রমবর্ধমান বাকযুদ্ধ৷
রুশ টাস সংবাদ সংস্থার বিবরণ অনুযায়ী ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ রিপোর্টারদের বলেছেন, ‘‘দু'পক্ষের প্রয়োজন থাকলে ও দু'পক্ষ তা কামনা করলে, রাশিয়া (মধ্যস্থতা করতে) রাজি৷''
‘‘শুধুমাত্র এক তরফ মধ্যস্থতা কামনা করলে দু'পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থ হওয়া অসম্ভব; দুই তরফের সে ইচ্ছা থাকা প্রয়োজন,'' পেস্কভ বলেন৷ রাশিয়া যে পরিস্থিতি লাঘব করতে আগ্রহী, তা ‘‘সহজবোধ্য,'' বলে পেস্কভ যোগ করেন৷
জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রস্তাব সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়া তার পারমাণবিক কর্মসূচি ও রকেট পরীক্ষা অব্যাহত রেখেছে৷ ইতিপূর্বে মস্কো একাধিকবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার প্রতি একটি আলাপ-আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে৷ মার্কিন কূটনীতিকরা বলেছেন যে, তারা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে একটি কূটনৈতিক সমাধানের প্রচেষ্টা করছেন – কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শর্তহলো এই যে, কোনো ধরণের আলাপ-আলোচনার আগে পিয়ংইয়াংকে তার পারমাণবিক সমরাস্ত্র কর্মসূচি পরিত্যাগ করতে হবে৷
ওয়াশিংটনের বাগাড়ম্বর ‘অগ্রহণযোগ্য,' বলেছেন লাভরভ
মঙ্গলবার রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের সঙ্গে একটি টেলিফোনালাপের অবকাশে উত্তর কোরিয়ার প্রসঙ্গটি নিয়েও আলোচনা করেন, বলে রুশ পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে৷
‘‘শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সংক্রান্ত মন্তব্য থেকে যথাশীগ্র সম্ভব আলাপ-আলোচনার প্রক্রিয়ার দিকে যাওয়া প্রয়োজন, বলে (লাভরভ-টিলারসন টেলিফোনালাপে) বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়,'' রুশ পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে৷ দৃশ্যত টিলারসনের তরফ থেকে টেলিফোনালাপের উদ্যোগ নেওয়া হয়৷ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তরফ থেকে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ সম্পর্কে এযাবৎ কোনো মন্তব্য করা হয়নি৷
দৃশ্যত লাভরভ টিলারসনকে বলেন যে, ‘‘ওয়াশিংটনের আগ্রাসী ভাষা'' ও তার বর্ধিত সামরিক উপস্থিতি কোরিয়া উপদ্বীপে উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে,যা ‘‘অগ্রহণযোগ্য৷''
সাম্প্রতিক কয়েক মাসে ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনকে নানা অবমাননাকর বিশেষণে ভূষিত করেছেন এবং উত্তর কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আক্রমণ করলে দেশটিকে ‘‘পুরোপুরি ধ্বংস'' করার হুমকি দিয়েছেন৷ অপরদিকে পিয়ংইয়াং বলেছে যে, উত্তর কোরিয়া যে এখন একটি পারমাণবিক শক্তি, বিশ্বকে তা মেনে নিতে হবে৷
যেসব দেশের কারণে টিকে আছে উত্তর কোরিয়া
উত্তর কোরিয়ার উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরও এমন কয়েকটি দেশ আছে যারা উত্তর কোরিয়া থেকে পণ্য বা অস্ত্র আমদানি করে৷ চলুন দেখে নিই কোন দেশগুলো আছে এই তালিকায়৷
ছবি: Gianluigi Guercia/AFPGetty Images
অ্যাঙ্গোলা
আফ্রিকার এই দেশটির প্রেসিডেন্সিয়াল নিরাপত্তারক্ষীদের মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ দেয় উত্তর কোরিয়া৷
ছবি: Gianluigi Guercia/AFPGetty Images
চীন
চীন উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেশ৷ চীনের শিল্পকারখানায় উত্তর কোরিয়ার অনেক নাগরিক কাজ করে৷ চীনে উত্তর কোরিয়ান অনেক রেস্তোরাঁও রয়েছে, যেখান থেকে উত্তর কোরিয়া বিদেশি মুদ্রা অর্জন করে৷
ছবি: Getty Images/K. Frayer
কঙ্গো
কঙ্গোর সরকার উত্তর কোরিয়া থেকে স্বয়ংক্রিয় পিস্তল এবং অন্য ছোট অস্ত্র আমদানি করে, যা মধ্য আফ্রিকার এই দেশটির প্রেসিডেন্সিয়াল দেহরক্ষী এবং পুলিশ ব্যবহার করে৷
ছবি: Reuters/R. Carrubba
মিশর
অভিযোগ রয়েছে, উত্তর কোরিয়া মিশরকে ক্ষেপণাস্ত্রের উপকরণ পাঠিয়েছে৷ এ অভিযোগ সত্য কিনা সে ব্যাপারে তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র৷
ছবি: Reuters/Amr Abdallah Dalsh
ইরিত্রিয়া
ইরিত্রিয়া আফ্রিকার ছোট একটি দেশ৷ এই দেশটিরও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে৷ জানা গেছে, তারা উত্তর কোরিয়া থেকে সামরিক উপকরণ কিনে থাকে৷
ছবি: DW
কুয়েত
উত্তর কোরিয়ার অনেক শ্রমিক কুয়েতে নির্মাণ কাজে যুক্ত আছে৷ কুয়েতে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসও আছে৷
ছবি: Imago/Xinhua
মোজাম্বিক
উত্তর কোরিয়া মোজাম্বিককে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সহযোগিতা করছে৷ এছাড়া ভূমি থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণেও সহায়তা দিচ্ছে দেশটিকে৷
ছবি: Gianluigi Guercia/AFP/Getty Images
নামিবিয়া
দক্ষিণ পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশে সমরাস্ত্র উপকরণ তৈরি করার একটি কারখানা স্থাপনের জন্য উপকরণ এবং কর্মী পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া৷
ছবি: DW/B. Osterath
নাইজেরিয়া
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় উত্তর কোরিয়া থেকে অনেক চিকিৎসক যান৷ ২০১৩ সালে এক সন্ত্রাসী হামলায় উত্তর কোরিয়ার তিন চিকিৎসক নিহত হয়েছিলেন সেখানে৷
ছবি: picture alliance /AP Photo/L. Oyekanmi
ওমান
ওমানে নির্মাণ প্রকল্পগুলোতে কাজ করার জন্য উত্তর কোরিয়া তাদের শ্রমিক পাঠিয়ে থাকে৷
ছবি: SR
কাতার
কাতারেও নির্মাণ প্রকল্পে উত্তর কোরিয়ার অনেক শ্রমিক কাজ করে৷ ২০২২ সালে দেশটিতে ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে৷ এজন্য সেখানে স্টেডিয়ামসহ বড় বড় স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Zumapress
সুদান
উত্তর কোরিয়া সুদানে যেসব সামরিক উপকরণ পাঠায়, তার মধ্যে রকেট কন্ট্রোল সেকশন এবং স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পরিচালিত ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Shazly
সিরিয়া
দীর্ঘ সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলা দেশটিও উত্তর কোরিয়ার উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম৷ জানা গেছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকার উত্তর কোরিয়া থেকে অনেক সমরাস্ত্র এবং উপকরণ কিনে থাকেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Press Service of the President
উগান্ডা
আফ্রিকার দেশ উগান্ডারও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে৷ উত্তর কোরিয়ার সেনারা উগান্ডায় বিমানবাহিনীর পাইলট এবং টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন৷
ছবি: AP
সংযুক্ত আরব আমিরাত
ইউএই-তে উত্তর কোরিয়ার অনেক রেস্তোরাঁ এবং নির্মাণ কোম্পানি রয়েছে, যেখানে কাজ করার জন্য সবসময়ই উত্তর কোরিয়া থেকে কর্মী পাঠানো হয়৷ এছাড়া উত্তর কোরিয়া থেকে স্কুড মিসাইল কিনে থাকে সংযুক্ত আরব আমিরাত৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/A. Widak
15 ছবি1 | 15
নতুন মার্কিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
মঙ্গলবারেই ওয়াশিংটন উত্তর কোরিয়ার দু'জন কর্মকর্তার উপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আরোপ করে এই অভিযোগে যে, ঐ দুই কর্মকর্তা পিংয়ংইয়াংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট৷ মার্কিন ট্রেজারির তরফ থেকে ঐ কর্মকর্তাদের নামও প্রকাশ করা হয়েছে: কিম জং সিক ও রি পিয়ং চোল৷
রি পিয়ং চোল পিয়ংইয়াংয়ের আইসিবিএম বা আন্তঃ-মহাদেশ ক্ষেপণাস্ত্র বিকাশ কর্মসূচির একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা, বলে প্রকাশ; কিম জং সিক দৃশ্যত রকেট কর্মসূচির বিকাশ, বিশেষ করে তরল জ্বালানি থেকে কঠিন জ্বালানিতে উত্তরণের প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত৷ কঠিন জ্বালানির সুবিধা হল এই যে, নিক্ষেপের আগে রকেটে জ্বালানি ভরার কোনো প্রয়োজন পড়ে না, তাই স্বল্প সময়ের মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা চলে৷
গত শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে পিয়ংইয়াং-এর বিরুদ্ধে যে সর্বাধুনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেই তালিকাতেও রি পিয়ং চোল ও কিম জং সিক-এর নাম ছিল৷ উত্তর কোরিয়া ঐ শাস্তিমূলক ব্যবস্থাকে ‘‘যুদ্ধসুলভ পদক্ষেপ'' বলে অভিহিত করে৷
এসি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)
উত্তর কোরিয়া ও কিম জং উনের বিশেষ কিছু জিনিস
উত্তর কোরিয়ায় যেখানে সাধারণ মানুষ নানা ধরণের সমস্যায় জর্জরিত বলে অভিযোগ রয়েছে, সেখানে নেতা কিম জং উনের আরাম-আয়েশ-বিলাসিতার কোনো কমতি নেই৷ দেখে নিন তার কিছু নমুনা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/D. Guttenfelder
অপূর্ব প্রাসাদ
উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ং ইয়ং-এ এই বিশাল প্রাসাদ রয়েছে৷ কুমসুসান প্রাসাদটি কিম ইল সুং এর সময়ে নির্মাণ করা হয়েছে৷ বিশ্বে আর কোন কমিউনিস্ট নেতার এমন বিশাল প্রাসাদ নেই৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/D. Guttenfelder
হোটেল
রিউগইয়ং বিশ্বের সবচেয়ে বড় হোটেলগুলোর একটি৷ পিরামিড আকারের ১০৫ তলা এ হোটেলের নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৮৭ সালে৷ সেই সময় দেশে কিম ইল সুং এর শাসন ছিল৷ কিম ইল সুং ছিলেন কিম জং উনের দাদা৷ এখনও হোটেলের নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Yonhap
আকাশে শাসন
উত্তর কোরিয়ার কাছে বিভিন্ন ধরণের এক হাজারটি বিমান আছে, যেগুলোর বেশিরভাগ সোভিয়েত ইউনিয়ন অথবা চীনে তৈরি৷ এর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধে ব্যবহার করা যায় এমন হেলিকপ্টার, যুদ্ধ বিমান, পরিবহন বিমান এবং ড্রোন৷ কিম জং উনের কাছে এএএম এবং ট্রিপল এ সিস্টেমের মতো কিছু বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও আছে৷
ছবি: Reuters/Kcna
স্কি রিসোর্ট
কিম জং উনের নির্দেশে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,৩৬০ মিটার উঁচুতে মাসিকরিয়ং নামে এক জায়গায় একই নামে একটি স্কি রিসোর্ট বানানো হয়েছে৷ এই স্থানটি উত্তর কোরিয়ার সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ এর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে সাড়ে তিন কোটি মার্কিন ডলার৷ পর্যটকদের জন্য এখানে ১২০ কক্ষ বিশিষ্ট হোটেল রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/Kyodo/MAXPPP
জং উনের মোবাইল নেটওয়ার্ক
শোনা যায়, উত্তর কোরিয়ায় কেবল কিম জং উন এবং তাঁর কাছের মানুষদের ব্যবহারের জন্য একটি বিশেষ মোবাইল নেটওয়ার্ক রয়েছে৷ কোরীয় লিংক নেটওয়ার্কের প্রযুক্তি পরিচালক আহমাদ আল নোয়ামিনি জানিয়েছে, সাধারণ মানুষ এই মোবাইল পরিষেবার সুবিধা ভোগ করতে পারে না৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/KCNA via KNS
ব্যক্তিগত দ্বীপ
দেশের উপকূলীয় এলাকায় একটি গোপন দ্বীপ রয়েছে৷ কিম জং উনের অতিথি হয়ে উত্তর কোরিয়া গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো এক তারকা৷ এই দ্বীপে রাখা হয়েছিল তাঁকে৷ শোনা যায়, এখানে আনন্দ বিনোদনের সবধরনের ব্যবস্থা রয়েছে৷ কিম জং উনের ব্যক্তিগত হেলিকপ্টার অবতরণের জায়গাও রয়েছে সেখানে৷
ছবি: Tourism DPRK
গল্ফ কোর্স
কিম জং উনের উত্তর কোরিয়ায় অসাধারণ কিছু গল্ফ ক্লাব রয়েছে৷ সরকারি কর্মচারীরা গল্ফ ক্লাবগুলোকে সবসময় ঝকঝকে করে রাখে৷ গল্ফ ছাড়া উত্তর কোরিয়ায় ফুটবল, বাস্কেটবল, আইস হকি আর কুস্তি জনপ্রিয় খেলা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Kyodo
সেনা ঘাঁটি
উত্তর কোরিয়ার নৌবাহিনীতে অনেক যুদ্ধ জাহাজ, টহল নৌকা এবং বড় বড় সামরিক জাহাজ রয়েছে৷ নিজেদের সামরিক শক্তিকে শক্তিশালী করা উত্তর কোরিয়ার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য৷ পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক শক্তিশালী দেশের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে দেশটি৷
ছবি: REUTERS/KCNA
বিলাসবহুল গাড়ি
শোনা যায়, ২০১৪ সালে কিম জং উন ১ দশমিক ৬ কোটি মার্কিন ডলার দিয়ে গাড়ি কিনেছিলেন৷ এর মধ্যে মার্সিডিজ বেনৎস, লিমোজিন আর আছে লাক্সারি স্পোর্টস কার৷
ছবি: Getty Images/AFP/E. Jones
পিয়ানো ভীষণ পছন্দ
শোনা যায়, কিম জং উনের কাছে ২০টিরও বেশি পিয়ানো আছে৷ এমন গুজবও রয়েছে যে, তিনি প্রতিদিনই পিয়ানো বাজান, আর যদি সুরের কোনো গণ্ডগোল হয়, সেটাকে তিনি পিয়ানোর দোষ হিসেবে মনে করেন, নিজের নয়৷
ছবি: Reuters/KCNA
সাবমেরিন
কিম জং উনের কাছে সোভিয়েত আমলের কিছু পুরানো সাবমেরিন রয়েছে৷ এছাড়া দেশটির কাছে আরো বেশ কয়েকটি চীনের সাবমেরিন রয়েছে৷ আর কিছু সাবমেরিন উত্তর কোরিয়ার সেনারা নিজেরাই তৈরি করেছে৷