1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুনিয়ার মাথাব্যথা উত্তর কোরিয়া

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

উত্তর কোরিয়া তার তৃতীয় এবং এ’যাবৎ সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী আণবিক বিস্ফোরণ ঘটানোর পর প্রশ্ন উঠেছে বাকি বিশ্বের প্রতিক্রিয়ার৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি দেখছেন৷

ARCHIV - Militärfahrzeuge fahren am 10.10.2010 bei einer Militärparade in Pjöngjang.Nordkorea hat nach eigenen Angaben am Dienstag erfolgreich einen neuen unterirdischen Atomtest unternommen. Foto: EPA/MIGUEL TORAN dpa +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

উত্তর কোরিয়ার তথাকথিত আণবিক বোমাটি যে কী, অথবা কী হতে পারে, সে সম্পর্কে বিশ্বের নানা গুপ্তচর বিভাগকে একটা আধা-সঠিক আন্দাজ দিল উত্তর কোরিয়া৷ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যখন তাঁর স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন ভাষণ দিচ্ছেন, ঠিক তখনই বিস্ফোরণটি ঘটিয়ে পিয়ংইয়াং আরো জানান দিল, তাদের এই বোমার বার্তা কিংবা হুমকিটা কার জন্য৷

এক কথায়, উত্তর কোরিয়া এমন একটি ছোট আণবিক বোমা তৈরি করা প্রচেষ্টা করছে, যা রকেটে বসিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে নিক্ষেপ করলে, তা অন্তত অ্যামেরিকার পশ্চিম উপকূলে কোনো লক্ষ্যবস্তুর উপর আঘাত হানতে পারবে৷ এই বিস্ফোরণটা আগের দু'টোর মতো প্লুটোনিয়াম দিয়ে ঘটানো হয়েছে, না উত্তর কোরিয়া সত্যিই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণে সফল হয়েছে, তা বুঝতে কয়েক দিন সময় লেগে যাবে৷ সর্বশেষ বিস্ফোরণের পর দক্ষিণ কোরিয়া তার বিমান ও জাহাজ পাঠিয়ে, এবং জাপান জঙ্গিজেট উড়িয়ে বাতাসের নমুনা সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছে, যাতে উত্তর কোরিয়া বোমা তৈরির পথে কতোটা এগিয়েছে, সেটা বোঝা যায়৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সঙ্গে সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার ‘‘অতিমাত্রায় প্ররোচনামূলক পদক্ষেপের'' কথা বলেছেন৷ কিন্তু তিনিও জানেন, চীন যদি আরো কড়া পন্থা না ধরে, তাহলে শুধু আন্তর্জাতিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থার ভয় দেখিয়ে উত্তর কোরিয়াকে নিরস্ত করা যাবে না৷ তবে বেইজিং'এর ধৈর্যও ফুরিয়ে আসছে, এমন লক্ষণ দেখা দিয়েছে৷ ওদিকে চীনের সোশ্যাল মিডিয়ায় ইউজাররা কর্তৃপক্ষের তুলোধোনা করেছে তাদের নরম প্রতিক্রিয়ার জন্য৷

ধরা যাক উত্তর কোরিয়া একটা ‘‘ছোট আণবিক বোমার'' বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে৷ কিন্তু সেটা কি রকেটের মাথায় ‘ওয়ারহেড' হিসেবে লাগানোর মতো ছোট? বিশেষজ্ঞদের কাছে সেটা স্পষ্ট নয়৷ আবার বোমাটা যদি ইউরেনিয়ামের হয়, তাহলে আরো একটা সমস্যা হবে এই যে, প্লুটোনিয়াম ফেসিলিটিগুলি বড় এবং সেগুলি থেকে বড়মাপের তেজস্ক্রিয়তা নির্গত হয়, যা ধরা সহজ৷ কিন্তু ইউরেনিয়াম সেন্ট্রিফিউজগুলি গুহা, সুড়ঙ্গ ইত্যাদি গোপন স্থানে লুকিয়ে রাখা সম্ভব৷

কাজেই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে উত্তর কোরিয়ার এই সর্বাধুনিক পারমাণবিক বিস্ফোরণ সেদিক থেকে ঝুঁকি কিংবা বিপদের একটা আলাদা পর্যায় হয়ে উঠতে পারে৷ উত্তর কোরিয়া থেকে অ্যামেরিকার দূরত্ব ইরানের থেকে অ্যামেরিকার দূরত্বের অনেক কম৷ সাধে কি প্রেসিডেন্ট ওবামা রকেট প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গবেষণায় আরো বেশি টাকা ঢালার কথা ভাবছেন৷

উত্তর কোরিয়া এমন একটি ছোট আণবিক বোমা তৈরি করা প্রচেষ্টা করছে, যা রকেটে বসিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে নিক্ষেপ করলে, তা অন্তত অ্যামেরিকার পশ্চিম উপকূলে কোনো লক্ষ্যবস্তুর উপর আঘাত হানতে পারবেছবি: Ed Jones/AFP/Getty Images

ওদিকে উত্তর কোরিয়া কী বলতে চাইছে, সেটাও বিশেষজ্ঞদের কাছে স্পষ্ট৷ উত্তর কোরিয়া বলছে, তার পরমাণু বোমা কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত ইস্যুগুলির সমাধান শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দিয়ে নয়, একমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব৷ এখন তা যতোই অসম্ভব বলে মনে হোক না কেন, এ'বছরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনার সম্ভাবনা বাড়ল৷

এসি / এসবি (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ