1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উত্তর গাজার পরিস্থিতি নারকীয়: জাতিসংঘ

১০ অক্টোবর ২০২৪

ইসরায়েল নতুন করে উত্তর গাজায় অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের এই বক্তব্য।

গাজার পরিস্থিতি
উত্তর গাজা থেকে পালাচ্ছে মানুষছবি: Mahmoud Issa/SOPA Images/Sipa USA/picture alliance

লেবাননে হিজবুল্লার সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘর্ষ অব্যাহত। বুধবারের সীমান্তের কাছে তীব্র লড়াই হয়েছে। তারই মধ্যে উত্তর গাজায় নতুন করে অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছে ইসরায়েল। উত্তর গাজা থেকে বেসামরিক সাধারণ মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বস্তুত, এর আগে দক্ষিণ গাজায় অভিযান চালানোর সময় সেখানে অবস্থিত বিরাট শরণার্থী শিবির থেকে সকলকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েল। যা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও ইসরায়েলের অভিযান বন্ধ হয়নি।

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংক্রান্ত মঞ্চের প্রধান বুধবার জানিয়েছেন, উত্তর গাজার পরিস্থিতি নারকীয়। অন্তত ৪০ হাজার মানুষ সেখানে আটকে আছেন। ইসরায়েল নতুন করে উদ্বাস্তুদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় আবার শরণার্থী শিবির ছেড়ে মানুষ পালাতে বাধঅয হচ্ছেন। উত্তর গাজার সবচেয়ে বড় ক্যাম্প জাবালিয়া। সেই ক্যাম্প ছেড়ে সকলে আবার পালাতে শুরু করেছেন। তারা জানেন না, কোথায় গিয়ে থাকবেন।

জাতিসংঘের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, গাজায় পোলিও শিবির পর্যন্ত বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে জাতিসংঘ। ভয়ংকর খাদ্য সংকট শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই মানুষ পালাচ্ছে।

লেবাননে গাজার মতো অভিযান নয়

অ্যামেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান ম্যাথিউ মিলার বুধবার জানিয়েছেন, ইসরায়েলকে বলা হয়েছে, লেবাননে যেন তারা গাজার মতো অভিযান না চালায়। তার কথায়, 'একটি বিষয় খুব স্পষ্ট করে বলছি। লেবাননে ইসরায়েলের সেনা অভিযান যেন কোনোভাবেই গাজার মতো না হয়।' এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, হিজবুল্লাকে সমর্থন করলে লেবাননকে তারা গাজা বানিয়ে ছাড়বেন।

মিলার এদিন বলেছেন, 'গাজার পরিস্থিতি নিয়ে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। বিশেষত চিন্তিত উত্তর গাজার অবস্থা নিয়ে। আমাদের দুই রাষ্ট্রের মধ্যে এই নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।'

এদিকে জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, গত কয়েকমাসের মধ্যে সবচেয়ে কম খাবার গাজায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। কারণ, খাবারের ট্রাক সর্বত্র ঢুকতে পারছে না। তাদের আটকে দেওয়া হচ্ছে। তবে একই সঙ্গে তারা জানিয়েছেন, লেবাননে যারা ইতিমধ্যেই ঘর ছাড়া হয়েছেন, তাদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ সাহায্য পাঠানো সম্ভব হচ্ছে।

বাইডেন-নেতানিয়াহু আলোচনা

সাত সপ্তাহ পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মধ্যে টেলিফোনে আলোচনা হয়েছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জানিয়েছেন, দুই নেতার মধ্যে অন্তত ৩০ মিনিট ফোনে কথা হয়েছে।

আলোচনায় ইরানের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। গত সপ্তাহে ইরান ইসরায়েলে মিসাইল আক্রমণ চালিয়েছিল। কীভাবে তার উত্তর দেওয়া হবে, তা নিয়ে দুই প্রধানের আলোচনা হয়েছে।

বাইডেনকে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, আপাতত গাজা বা লেবাননে যুদ্ধ-বিরতির কোনো প্রশ্ন নেই। সেখানে অভিযান চলবে। বাইডেন জানিয়েছেন, ইরানের পরমাণু পরীক্ষাকেন্দ্রে ইসরায়েল যেন কোনোভাবেই হামলা না চালায়। তবে ইসরায়েল ইরানে পাল্টা আঘাত করলে অ্যামেরিকা তা সমর্থন করবে বলেই জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বস্তুত, এর আগেই ইসরায়েল জানিয়েছিল, ইরানে আচমকা আক্রমণ করা হবে। এবং সেই হামলা যথেষ্ট ভয়াবহ হবে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ