1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিযুক্তরাষ্ট্র

উত্তর গাজায় ইসরায়েলি হামলার ব্যাখ্যা চাইলো যুক্তরাষ্ট্র

৩০ অক্টোবর ২০২৪

উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় আক্রমণের নিন্দা করে ইসরায়েলের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাইলো যুক্তরাষ্ট্র।

ইসরায়েলি হামলার পর বাচ্চা মেয়ে ধ্বংসস্তূপে।
উত্র গাজায় আবাসিক এলাকায় ইসরপায়েলের হামলার ব্যাখ্যা চাইলো যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: AFP

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, এতজন বেসামরিক সাধারণ মানুষের মৃত্যুতে তারা খুবই উদ্বিগ্ন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, এটা একটা ভয়ংকর ঘটনা।

ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা  জানিয়েছে, উত্তর গাজার এই শহরের অ্যাপার্টমেন্টে ইসরায়েলের আক্রমণে ৯৩ জন মানুষ হয় মারা গেছেন বা নিখোঁজ। এর মধ্যে প্রচুর শিশু আছে।

মিলার বলেছেন, ''অ্যামেরিকা ইসরায়েলের কাছ থেকে ঘটনার বিষয়টি স্পষ্ট করতে বলেছে। আমরা জানতে চাই. ঠিক কী হয়েছিল?''

মিলর বলেছেন, ''কী করে একটা আক্রমণের ফলে এতজন শিশুর মৃত্যু হতে পারে আমরা এই প্রশ্নের জবাব চেয়েছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো জবাব পাইনি।''

তিনি বলেছেন, ''যুক্তরাষ্ট্র অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চায়। ইসরায়েল বলছে, তারা হামাসের সামরিক ক্ষমতা গুঁড়িয়ে দিতে চায়।''  হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইসরায়েল-সহ বেশ কিছু দেশ।

তিনি বলেছেন, ''ইসরায়েলকে এই বৃহত্তর কৌশলগত লক্ষ্যে পৌঁছতে গেলে সতর্ক হতে হবে। তাদের এমন একটা পথ নিতে হবে যাতে এই যুদ্ধ এমনভাবে শেষ হয়, যেখানে বন্দিরা ঘরে ফিরতে পারে। একটা অন্তহীন পারষ্পরিক বিরোধ চালিয়ে লাভ হবে না।''

জাতিসংঘের ত্রাণ সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপক প্রতিক্রিয়া

জাতিসংঘের ত্রাণ সংগঠন ইউএনআরডাব্লিউএ-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ইউএনআরডাব্লিউএ কোনো কাজ করতে পারবে না। এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল গুতেরেস বলেছেন, ''এই সিদ্ধান্তের ফল ভয়ংকর হতে পারে।''

গাজার মানুষের কাছে জীবনধারণের ন্যূনতম জিনিস পৌঁছে দেয়ার জন্য এই সংস্থা কয়েক হাজার কর্মীকে নিয়োগ করেছে। কিন্তু এখানে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছাতে গেলে ইসরায়েলের জমির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।

ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এলডার জানিয়েছেন, য''দি ইউএনআরডাব্লিউএ-কে কাজ করতে না দেয়া হয়, তাহলে গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।  হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত নেয়ার অর্থ, শিশুদের মারার একটা নতুন পন্থা খুঁজে পাওয়া।''

ইসরায়েলে জার্মানির রাষ্ট্রদূত স্তেফেন সেইবার্ট জানিয়েছেন, তিনি এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো উদ্বিগ্ন। ঘরছাড়া পুরুষ, নারী, শিশুদের অবস্থা এমনিতেই খুব খারাপ, তারপর তাদের আরো বড় ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। ইউএনআরডাব্লিউএ তাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে। তাদের জন্য আরো অনেক  কিছু করা দরকার।

জর্ডন বলেছে, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আন্তর্জাতিক আইন ভেঙেছে ইসরায়েলের পার্লামেন্ট। একই অভিযোগ করে তুরস্ক জানিয়েছে, ইসরায়েল দুই রাষ্ট্র সমাধানের পথ বন্ধ করছে। ফিলিস্তিনিদের তাাদের হোমল্যান্ডে ফেরার পথও বন্ধ করতে চাইছে ইসরায়েল।

নরওয়ে জানিয়েছে, তারা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটা প্রস্তাব আনছে, যাতে আন্তর্জাতিক কোর্ট অফ জাস্টিসকে এই সিদ্ধান্তের স্পষ্টীকরণ দিতে বলা হবে। চাদের অভিযোগ, ইসরায়েল এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে ফিলিস্তিনি মানুষরা তার জীবনদায়ী পরিষেবাও পাবেন না।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ