কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে ক'দিন আগেও মেয়েরা পানির বোতল, চিপস, ঝিনুকের মালা বিক্রি করত৷ আজ তারা ভাসছে উত্তাল সাগরে৷ সার্ফিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জিতছে পুরস্কার৷ এতে তাদের সহযোগিতা করছে ‘কক্সবাজার লাইফ সেভিং সার্ফিং ক্লাব'৷
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশে পারিবারিক ও সামাজিক বহু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে৷ তার মধ্যে মেয়েদের সার্ফিংয়ে আসা সহজ ছিল না৷ নাসিমা আক্তার নামে ১৮ বছরের এক দুরন্ত কিশোরী সমাজের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে গৌরবের পথে দৃপ্ত পায়ে প্রথম এগিয়েছেন৷ বঙ্গোপসাগরের বিশাল বিশাল ঢেউয়ের সঙ্গে তাঁর সখ্যতা ছিল৷ মিতালি গড়ে উঠেছিল সমুদ্রের সঙ্গে৷ তিনি নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন এক অনন্য উচ্চতায়, যদিও বেশি দিন স্থায়ী হয়নি তাঁর সার্ফিং কেরিয়ার৷ বছর দেড়েক আগে তাঁকে বিয়ে দিয়ে দেন গরিব পিতা৷ আর সেই থেকে সার্ফিং থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান নাসিমা৷
তবে নাসিমা চলে গেলেও ততদিনে অন্য মেয়েদের জন্য উন্মুক্ত হয়ে গেছে সার্ফিং৷ দেশি-বিদেশি মানুষের নজর পড়েছে কক্সবাজারে মেয়েদের সাফিংর দিকে৷ এরপর নতুন করে মেয়েদের খুঁজতে শুরু করে সার্ফিং ক্লাবগুলো৷ পেয়েও যায়৷ তাদের একজন রিপা আক্তার (১২)৷ গত ২৭শে এপ্রিল কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত মেয়েদের সার্ফিং প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে সে৷ অথচ বছর দু'য়েক আগেও সমুদ্রসৈকতের ধারে পানির বোতল, চিপস আর ঝিনুকের মালা বিক্রি করত রিপা৷
দুই বোনের মধ্যে রিপাই বড়৷ তাই পরিবারের চাপ ছিল৷ তারপরও ধীরে ধীরে নামকরা সার্ফার হয়ে উঠেছে সে৷ রিপা নিজেই শুধু সার্ফিং করছে না, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পরিবারকেও সহযোগিতা করছে৷ নিজে পেয়েছে নতুন সার্ফিং বোট৷
ডয়চে ভেলের সঙ্গে আলাপকালে রিপা জানাল, ‘‘বিচের ধারে পানির বোতল, চিপস ও ঝিনুকের মালা বিক্রি করার সময় ছেলেদের সার্ফিং করতে দেখতাম৷ আমরা পানিতে নামতে চাইলে বোট দিত না৷ কিন্তু ওরা সার্ফিং শেষে চলে গেলে আমরা বোট খুলে পানিতে নিয়ে খেলতাম৷ সেই থেকে শুরু৷ এখন অবশ্য রাশেদ ভাই ও শিফাত ভাই সহযোহিতা করেন৷''
কক্সবাজারের মৌসুমী হকার জাহাঙ্গীর আলম ও গৃহীনি কাজল বেগমের ছোট মেয়ে, রিপা আক্তারের ছোট বোন রিতাও সার্ফিং শুরু করেছে৷ শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে শুকনোছড়িতে (নতুন নাম মুজিবনগর) তাদের বাড়ি৷
সার্ফিংয়ের ঐ প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছে শবে মেহেরাজ (১৩)৷ দিনমজুর জাফর আহমেদ ও গৃহীনি বেবী আক্তারে চার মেয়ে, দুই ছেলের মধ্যে মেহেরাজ চতুর্থ৷ শহরের কাছে ঘোনারপাড়া তার বাড়ি৷ মেহেরাজের সার্ফিংয়ে আসার কাহিনি রিপারই মতো৷ শুধু রিপা বা মেহেরাজ নয়, সার্ফিংয়ে জড়িত সব কিশোরীর ‘লাইভ সেভিং' প্রশিক্ষণ রয়েছে৷ তাই এখন তারা শুধু তীরে নয়, সাগরের মধ্যেও সার্ফিং করতে যেতে পারে, অসুবিধা হয় না৷
‘কক্সবাজার লাইফ সেভিং সাফিং ক্লাব'-এ পুরুষ-নারী সবাই সাফিং করে৷ এই মুহূর্তে ১১ জন কিশোরী সাফিংয়ের সঙ্গে যুক্ত, যাদের মধ্যে আটজন বেশ দক্ষ হয়ে উঠেছে৷ ক্লাবের সহ-সভাপতি শাহ মোহাম্মদ সাইফুল্লা শিফাত ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘মেয়েদের এখানে আনা সহজ ছিল না৷ এখনও ধরে রাখা কঠিন৷ অ্যামেরিকার এলিয়ান্ট নামে এক নারীর অনুদানে এখনো আমরা কয়েকটি মেয়েকে ধরে রাখতে পেরেছি৷ উনি আমাদের অনুদান পাঠান৷ আর সেই টাকা থেকেই আমরা প্রতিটি মেয়েকে মাসে আড়াই হাজার টাকা করে দেই৷ পাশাপাশি পোশাক ও বোটগুলো দেয়া হচ্ছে সেই অনুদানের টাকাতেই৷''
বাংলাদেশে সার্ফিং ও তার সম্ভাবনা
নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের জন্য বিখ্যাত দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পর্যটন শহর কক্সবাজার সার্ফিংয়ের জন্যও বেশ উপযুক্ত৷ সেখানে আজকাল প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বেশ কয়েকজন সার্ফার৷ তাদের মধ্যে মেয়েরাও রয়েছে৷ ছবিঘরে থাকছে সেসব কথা৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
প্রথম জাতীয় প্রতিযোগিতা
২০১৫ সালের এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে দু’দিনব্যাপী জাতীয় সার্ফিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷ এতে ১০ জন মেয়ে সহ ৭০ জন সার্ফার অংশ নেয়৷
ছবি: Bangladesh Surfing Association
আগের কথা
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংস্থা ‘সার্ফিং দ্য নেশনস’-এর কর্মীরা ২০০৩ সালে প্রথম বাংলাদেশে যান৷ এর দুই বছর পর তাদের উদ্যোগে কক্সবাজারে সার্ফিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷ এরপর বিভিন্নভাবে তারা স্থানীয় সার্ফারদের প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা দিয়ে এসেছে৷ এরই ধারাবাহিকতায় এপ্রিলে প্রথম জাতীয় সার্ফিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
ইতিবাচক ধারা
সার্ফিংকে এগিয়ে নিতে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সার্ফিং অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়েছে৷ আন্তর্জাতিক সার্ফিং সংস্থার সদস্যপদও পেয়েছে তারা৷ সার্ফিং প্রতিযোগিতা আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ও ব্র্যাকের একটি সহযোগী সংস্থা৷ ছবিতে সার্ফার জাফর আলমকে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Farjana KHAN GODHULY/AFP/Getty Images
পর্যটনকে এগিয়ে নেয়া
সার্ফিং ভক্ত গায়ক ও অভিনেতা তাহসান মনে করেন, সার্ফিংয়ের মাধ্যমে কক্সবাজারকে বিশ্ব দরবারে আরও ইতিবাচকভাবে তুলে ধরা সম্ভব৷ প্রথম জাতীয় সার্ফিং প্রতিযোগিতা শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘সার্ফিং এমন একটা বিষয় যেটা খুবই আকর্ষণীয় ও রোমাঞ্চকর৷ তাই অনেক মানুষ এই খেলা দেখতে আসে৷ তাই এটার মাধ্যমে আমরা কক্সবাজারকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে পারি৷’’
ছবি: Bangladesh Surfing Association
মেয়েদের মধ্যে প্রথম
জাতীয় সার্ফিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছে ১২ বছরের রিপা৷ বছর দুয়েক আগে সমুদ্রসৈকতের ধারে পানির বোতল, চিপস আর ঝিনুকের মালা বিক্রি করত সে৷ এখন সার্ফিং করে পরিবারকেও সহায়তা করছে রিপা৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
রানার আপ
মেয়েদের মধ্যে রানার আপ হয়েছে ১৩ বছরের শবে মেহেরাজ৷ উত্তাল সমুদ্রে ভেসে বেড়াতে সে-ও খুব ভালোবাসে৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
প্রশিক্ষকের কথা
ডয়চে ভেলের সঙ্গে আলাপকালে রিপা ‘কক্সবাজার লাইফ সেভিং সার্ফিং ক্লাব’-এর দুই প্রশিক্ষক শিফাত ও রাশেদের (ছবিতে ডানপাশে) কথা জানান৷ রাশেদ আলম ঐ ক্লাবের সভাপতি৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘মেয়েরা সমুদ্রসৈকতে কাজ করত৷ তারা পানি, চিপস এবং ডিম বিক্রি করত৷ তাদেরই আমরা সার্ফিংয়ে আসার জন্য উৎসাহিত করলাম৷’’
ছবি: Getty Images/A. Joyce
ছিল বাধা
প্রশিক্ষক শিফাত ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘মেয়েদের সার্ফিংয়ে আনা সহজ ছিল না৷ এখনও ধরে রাখা কঠিন৷ অ্যামেরিকার এলিয়ান্ট নামে এক নারীর অনুদানে এখনো আমরা কয়েকটি মেয়েকে ধরে রাখতে পেরেছি৷ উনি আমাদের অনুদান পাঠান৷ আর সেই টাকা থেকেই আমরা প্রতিটি মেয়েকে মাসে আড়াই হাজার টাকা করে দেই৷ পাশাপাশি পোশাক ও বোটগুলো দেয়া হচ্ছে সেই অনুদানের টাকাতেই৷’’
ছবি: Getty Images/A. Joyce
অনুদান বন্ধ হয়ে গেলে?
বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন শিফাত৷ তিনি বলেন, ‘‘গরিব পরিবারের এই মেয়েদের বয়স একটু বাড়লেই পরিবার থেকে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়৷ ফলে নতুন নতুন কিশোরীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এখানে আনতে হচ্ছে৷ আগাগোড়া মেয়েদের ধরে রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জ৷’’
ছবি: Getty Images/A. Joyce
স্বাধীন হয়ে উঠবে মেয়েরা
রাশেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘মেয়েরা স্কেটিং করছে, সার্ফিং করছে, শিখছে৷ তারা নিজেদের জীবন নিজেরাই রক্ষা করছে৷ আমার বিশ্বাস, তাদের এই প্রচেষ্টা তাদের পরিবারের স্বপ্নেও একদিন পরিবর্তন ঘটাবে৷ অভিভাবকরা তাদের মেয়েদের নিয়ে কিছু একটা করার স্বপ্ন দেখবেন৷ আর মেয়েরা পরিবারে স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে৷’’
ছবি: Getty Images/A. Joyce
10 ছবি1 | 10
তবে অনুদান বন্ধ হয়ে গেলে এই মেয়েদের আর ধরে রাখা যাবে কিনা – তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এই কর্মকর্তা৷ তাঁর কথায়, ‘‘গরিব পরিবারের এই মেয়েদের বয়স একটু বাড়লেই পরিবার থেকে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়৷ ফলে নতুন নতুন কিশোরীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এখানে আনতে হচ্ছে৷ আগাগোড়া মেয়েদের ধরে রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জ৷''
‘কক্সবাজার লাইফ সেভিং সাফিং ক্লাব'-এর সভাপতি রাশেদ আলম৷ তিনি বলেন, ‘‘মেয়েরা সমুদ্রসৈকতে কাজ করত৷ তারা পানি, চিপস এবং ডিম বিক্রি করত৷ তাদেরই আমরা সার্ফিংয়ে আসার জন্য উৎসাহিত করলাম৷ কিন্তু এক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাদের মা-বাবা৷ কারণ তাদের উদ্দেশ্য ছিল আয় করা৷ দুই ঘণ্টা সার্ফিংয়ে সময় দেয়ার চেয়ে মা-বাবারা দুই ঘণ্টার আয়কেই বড় করে দেখেন৷ এ জন্য কাজটি খুব ধীরে এগোচ্ছিল৷''
তিনি বলেন, ‘‘মেয়েরা স্কেটিং করছে, সার্ফিং করছে, শিখছে৷ তারা নিজেদের জীবন নিজেরাই রক্ষা করছে৷ আমার বিশ্বাস, তাদের এই প্রচেষ্টা তাদের পরিবারের স্বপ্নেও একদিন পরিবর্তন ঘটাবে৷ অভিভাবকরা তাদের মেয়েদের নিয়ে কিছু একটা করার স্বপ্ন দেখবেন৷ আর মেয়েরা পরিবারে স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে৷'
পানির দেশে ‘‘জলক্রীড়া’’
নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ৷ শাখা-প্রশাখাসহ প্রায় ৮০০ নদনদীর অবস্থান এদেশে৷ নদী তাই এখানকার মানুষের জীবনের অংশ৷ আর বিভিন্ন ধরনের ‘‘জলক্রীড়া’’ নিত্যদিনের ব্যাপার৷ এই বিষয়ে আমাদের ছবিঘর৷
ছবি: Farjana KHAN GODHULY/AFP/Getty Images
নৌকাবাইচ
নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশে পানিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে নৌকাবাইচ৷ নদীতে নৌকা চালানোর প্রতিযোগিতা প্রায় সব অঞ্চলেই দেখা যায়৷ বাংলার লোকসংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ নৌকাবাইচ৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images
বাইচের বিশেষ নৌকা
নৌকাবাইচের জন্য তৈরি নৌকাগুলো হয় সরু এবং লম্বাটে৷ আর মাঝিরা বৈঠা হাতে সারিবদ্ধভাবে বসেন তাতে৷ গঠনের কারণে পানিতে দ্রুত গতিতে চলতে পারে এগুলো৷ প্রতিযোগিতার সময় নৌকাগুলোকে বিশেষভাবে সাজানো হয় আর মাঝিরা সার গানের তালে তালে দাঁড় টানেন৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images
সাঁতার
বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ে সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়৷ তবে আঞ্চলিক পর্যায়ে সাঁতার প্রতিযোগিতা তেমন একটা জনপ্রিয় নয়৷ অলিম্পিকেও বাংলাদেশ কোনো সাফল্য পায়নি৷ এই ছবিটি ২০০৪ সালে ইসলামাবাদে তোলা৷ সেবার সাফ গেমসে অংশ নিয়ে রৌপ্য জয় করেন সাঁতারু কারার সামেদুল ইসলাম৷
ছবি: ROB ELLIOTT/AFP/Getty Images
সাঁতার শেখা জরুরি
ক্রীড়া হিসেবে সাঁতার বিশেষ জনপ্রিয় না হলেও গ্রামাঞ্চলে অধিকাংশ মানুষকে নিত্যদিনের প্রয়োজনেই সাঁতার শিখতে হয়৷ এখনো বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলে চলাচলের অন্যতম বাহন নৌকা৷ আর পুকুরে গোসল খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার৷ শিশুরা তাই ছোটবেলাতেই শিখে নেয় সাঁতার৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images
পানি দাপিয়ে বড় হওয়া
গ্রামাঞ্চলের শিশু-কিশোররা সাধারণত পানিতে সময় কাটায় বেশি৷ কখনো পুকুরে ডুব দিয়ে শাপলা তোলা, কখনো সেতুর উপর দিয়ে খালে ঝাপ দেয়া – তাদের কাছে এসবই খেলা৷ তারা কলাগাছ দিয়ে ভেলা তৈরি করে ভাসাতে ভালোবাসে, সুযোগ পেলে বিলে গিয়ে ধরে ছোট মাছ৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images
নতুন ধারা সার্ফিং
উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে বহু আগে থেকেই সার্ফিং চালু থাকলেও বাংলাদেশে এই ‘‘জলক্রীড়া’’ এখনো নতুনই বলা যায়৷ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সার্ফিং ক্রমশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে৷ উইকিপিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ‘‘বিশ্বের দীর্ঘতম অভঙ্গুর প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার শহর থেকে বদরমোকাম পর্যন্ত একটানা ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত৷’’ দীর্ঘ এই সৈকতে সার্ফিং-এর উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখছেন অনেকে৷
ছবি: Farjana KHAN GODHULY/AFP/Getty Images
পাটের নৌকায় ‘‘সেইলিং’’
পানির দেশে বাংলাদেশের নদীতে পালতোলা নৌকা হরহামেশাই দেখা যায়৷ এরকম এক পাটের তৈরি ছোট পালতোলা নৌকা নিয়ে বাংলাদেশের কুয়াকাটা থেকে ফ্রান্সের লা সিওতা অবধি পাড়ি দেওয়ার রেকর্ডও রয়েছে৷ ২০১০ সালে কোরঁত্যাঁ দ্য শাতেলপেরঁ নামক এক ফরাসি যুবক এই অসাধ্য সাধন করেন৷