২০১৫ সালে দশ লক্ষ উদ্বাস্তু জার্মানিতে এসেছেন বলে শোনা যাচ্ছে৷ এর পরের কাজ হলো তাঁদের সমাজের অঙ্গ করে তোলা৷ কাজটা রাজ্যের, কিন্তু এর জন্য কেন্দ্রের সাহায্য চাই৷ শরণার্থী সমস্যা সমাধানে এখন মূল করণীয় হলো...
বিজ্ঞাপন
১) উদ্বাস্তুদের বণ্টন
ভবিষ্যতে সারা জার্মানিতে উদ্বাস্তুদের ভাগ করে দেওয়ার ভার নেবে কেন্দ্র, অর্থাৎ ফেডারাল সরকার৷ এ পর্যন্ত এই দায়িত্ব ছিল রাজ্যদের উপর ন্যস্ত৷ তবে বণ্টন আগের মতোই ‘‘ক্যোনিগস্টাইন ফর্মুলা'' অনুযায়ী হবে – যার ভিত্তি হলো একক রাজ্যগুলির কর থেকে আয়, ও জনসংখ্যা৷ আবেদনকারীদের অর্ধেক জার্মানিতে বসবাসের ভিসা পাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ হঠাৎ এই পরিমাণ উদ্বাস্তুর আগমনে রাজ্যগুলো হিমশিম খাচ্ছে, কাজেই ফেডারাল সরকার এবার ‘‘অপেক্ষাকেন্দ্র'' সৃষ্টি করবেন, যেখান থেকে উদ্বাস্তুদের বণ্টন করা হবে৷
জার্মানিতে আসার আগে আপনার যা জানা প্রয়োজন
জার্মানিতে শরণার্থী হিসেবে আসার সময় বেশ কিছু বিষয় আপনার মাথায় রাখতে হবে৷ এখানে সবকিছু যত সহজ মনে হয়, আসলে তত নয়৷ এখানে সেরকম দশটি বিষয় উল্লেখ করা হলো৷
ছবি: picture alliance
কাজের অনুমতি ছাড়া কাজ নয়
মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকায় এটা বৈধ হলেও জার্মানিতে কাজের অনুমতি ছাড়া কাজ করা আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ৷ কেউ যদি অবৈধভাবে কাজ করা অবস্থায় ধরা পড়ে, তাহলে তার জরিমানা, এমনকি জেলও হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/ZB
কর অবশ্যই প্রদান করতে হবে
জার্মানিতে কর প্রদানের নিয়মকানুন বেশ জটিল৷ তাসত্ত্বেও কর প্রদান না করা এখানে অবৈধ৷ আইন অনুযায়ী, এটা সমাজের বিপরীতে এক ধরনের চুরি৷ কর প্রদান এক ধরনের দায়িত্ব, যেমনটা ট্যাক্স প্রদান৷
ছবি: Fotolia/Joachim B. Albers
শিশুদের প্রতি জোর খাটানো যাবে না
শিশুদের আঘাত করা জার্মানিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷ বাড়ি কিংবা স্কুল কোথাও শারীরিক শাস্তি গ্রহণযোগ্য নয়৷
ছবি: DW/R. Azizi
শিশুদের অবশ্যই স্কুলে যেতে হবে
স্কুল বয়সি শিশুরা শুধু বাসায় বসে থাকতে পারবে না, পারবে না কাজে যেতে৷ তাদের যেতে হবে স্কুলে৷ শিশুর বয়স ছয় বছর হলে তাকে অবশ্যই কোনো না কোনো স্কুলে নিবন্ধিত হতে হবে এবং নিয়মিত ক্লাসে যেতে হবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Pedersen
বেশি শব্দ করা যাবে না!
এমনকি নিজের ঘরের মধ্যেও বেশি শব্দ করা যাবে না, যা আপনার প্রতিবেশীদের বিরক্ত করতে পারে৷ বিশেষ করে রাতের বেলা জার্মানিতে এদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul
সুপারমার্কেটে দরকষার সুযোগ নেই
বাজারে দরকষাকষি বিশ্বের অনেক দেশেই গ্রহণযোগ্য এবং মানুষ তা উপভোগও করে৷ তবে জার্মানিতে সুপারমার্কেট কিংবা অধিকাংশ দোকানপাটে দরদামের সুযোগ নেই৷ দরাদরি করতে চাইলে অনলাইনে চেষ্টা করতে পারেন৷
ছবি: Fotolia/G. Sanders
পশুপ্রাণিকে খেতে দেবেন না!
জার্মানিতে অধিকাংশ প্রাণির মালিক রয়েছে কিংবা তারা বিশেষ আইনের আওতায় পরিচালিত৷ তাই প্রতিবেশির বেড়ালকে তাঁর অনুমিত ছাড়া খাওয়ানো খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না৷ আর বেড়ালটা যদি মালিকের চেয়ে আপনার প্রতি বেশি অনুগত হয়ে যায় তাহলে মালিক আপনার বিরুদ্ধে মামলাও ঠুকতে পারে!
ছবি: imago/blickwinkel
সময়নিষ্ঠা – জার্মানিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
কোনো অ্যাপয়েনমেন্ট থাকলে সেখানে সময়মত যাওয়া এবং সর্বোপরি সময়ের প্রতি সচেতনতা জার্মানিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ দেরি করে কোথাও যাওয়া ঠিক নয়৷ আর যদি একান্ত দেরি হয় তাহলে যার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা তাঁকে তা জানানোই নিয়ম৷
ছবি: picture alliance
নিজের দূরত্ব বজায় রাখুন
অনেক সংস্কৃতিতে অন্যের বাচ্চাকে জড়িয়ে ধরা, চুমু দেয়া কিংবা উপহার দেয়া স্বাভাবিক ব্যাপার৷ তবে জার্মানিতে বিষয়টি তেমন নয়৷ বাচ্চার অভিভাবকের উপর এটা নির্ভর করে৷ তাই শিশুটা যদি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণও করে তবুও নিজের দূরত্ব বজায় রেখে তার সঙ্গে কথা বলুন৷
ছবি: picture alliance/Bildagentur-online
রাস্তায় গাড়ি পরিষ্কার নয়
অবশ্যই বাড়ির কাছে গাড়ি পরিষ্কার করাটা সাশ্রয়ী৷ তবে জার্মানিতে এটা নিষিদ্ধ৷ কারণ এতে পরিবেশের ক্ষতি হয়৷ তাই গাড়ি পরিষ্কার করতে চাইলে সেটি নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যান৷ কিছু জায়গায় নিজ হাতে পরিষ্কারের সুযোগ আছে, কোথাও আছে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা৷ তাই পছন্দ আপনার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Wolfraum
10 ছবি1 | 10
২) রাজ্যগুলোকে আর্থিক সাহায্য
উদ্বাস্তু খাতে ২০১৬ সালে কেন্দ্র রাজ্যগুলোকে প্রায় চারশ কোটি ইউরো দেবে৷ ১লা জানুয়ারি থেকে রাজ্যগুলি উদ্বাস্তু প্রতি মাসে ৬৭০ ইউরো পাবে৷ এছাড়া যে সব অপ্রাপ্তবয়স্ক উদ্বাস্তুরা একা এসেছেন, তাঁদের দেখাশোনার জন্য রাজ্যগুলো পাবে বাড়তি ৩৫ কোটি ইউরো৷ সামাজিক, অর্থাৎ কম রোজগারের মানুষজনের জন্য কম ভাড়ার আবাসন নির্মাণ খাতে কেন্দ্র বরাদ্দ করেছে ২০১৯ সাল অবধি প্রতিবছর ৫০ কোটি ইউরো৷ জার্মান সামরিক বাহিনীর প্রাক্তন ছাউনি ইত্যাদি ছাড়া পৌর এলাকাগুলি ভালো শর্তে অন্যান্য জায়গাজমি পাবে, যেখানে ‘সামাজিক আবাসন' নির্মাণের কাজ চলবে৷
৩) সন্তান প্রতিপালনের ভাতা
জার্মানে যাকে বলা হয় ‘বেট্রয়ুংসগেল্ড'৷ এই ভাতা বাতিল হওয়ার ফলে যে টাকা বাঁচবে, তা রাজ্যগুলোকে দেওয়া হবে বাড়তি ক্রেশ ও কিন্ডারগার্টেন ইত্যাদি সৃষ্টির জন্য৷ যা থেকে উদ্বাস্তুদের শিশুসন্তানরাও উপকৃত হবে৷
৪) ‘‘নিরাপদ দেশ'' থেকে আগত উদ্বাস্তুরা
তথাকথিত ‘‘নিরাপদ দেশ'' বলে চিহ্নিত দেশগুলির তালিকায় এবার আলবানিয়া, কসোভো ও মন্টেনিগ্রোকে যুক্ত করা হয়েছে৷ লক্ষ্য হলো: এ সব দেশ থেকে যাঁরা জার্মানিতে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করছেন, তাঁদের আরো তাড়াতাড়ি স্বদেশে ফেরৎ পাঠানো৷ এই সব দেশ থেকে আগত ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁরা ২০১৫ সালের ১লা সেপ্টেম্বরের পর রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন জমা দিয়েছেন, আবেদনের মঞ্জুরি প্রক্রিয়া চলাকালীন তাঁরা জার্মানিতে কাজ করতে পারবেন না৷ আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার পরেও এই নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকবে৷
যেভাবে জার্মান শিখছেন উদ্বাস্তুরা
একদল রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী বন শহরের রাস্তা, বাজারঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন জার্মান ভাষাশিক্ষার কাজে৷ সেই সঙ্গে জার্মানির মানুষজন ও সংস্কৃতিও কিছুটা চেনা হয়ে যাচ্ছে৷ একেই বলে বোধ হয় ‘প্রোঅ্যাকটিভ’ পন্থায় ভাষা শেখা!
ছবি: DW/M. Hallam
উদ্বাস্তুদের জন্য ভাষাশিক্ষার পাঠক্রম
জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া এক কথা, এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করা আরেক কথা৷ কারণ তার জন্য প্রয়োজন জার্মান ভাষা শেখা৷ সেটা তো শুধু ক্লাসরুমের বেঞ্চিতে বসেই নয়, বাস্তব ও ব্যবহারিক জীবনেও জার্মান ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক কিছু শেখা যায় – যেমন বন শহরের পথেঘাটে৷
ছবি: DW/M. Hallam
‘ইন্টেগ্রেশন কোর্স’
বিদেশি-বহিরাগতকে সমাজে অন্তর্ভুক্ত করা, সমাজের অংশ করে তোলাকে জার্মানে বলে ‘ইন্টেগ্রেশন’৷ এসিবি লিঙ্গুয়া ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুল রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য একটি বিশেষ ইন্টেগ্রেশন কোর্স চালু করেছে৷ সেই কোর্স অনুযায়ী পড়ুয়াদের মাঝেমধ্যে ক্লাসরুম ছেড়ে পথে বেরিয়ে অচেনা পথচারী বা দোকানিদের জার্মানে প্রশ্ন করতে বলা হয়েছে: ‘আচ্ছা, এটা কী ফল? ঐ সবজিটার নাম কী?’
ছবি: DW/M. Hallam
আনারসের আর্বি যেন কী?
দেখলে চিনতে পারার কথা৷ দামটা না লিখলেও চলে, কিন্তু ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে...৷
ছবি: DW/M. Hallam
পরীক্ষায় নকল নয়, তবে শর্টকাট চলে
ছাত্রদের বলে দেওয়া হয়েছে মোবাইল ব্যবহার না করতে, বরং রাস্তা বা অন্যান্য খোঁজখবরের জন্য মানুষজনকে জার্মানে প্রশ্ন করতে৷ কিন্তু ধরুন যদি বাসাম-এর মতো কাউকে পাওয়া যায়, যে জার্মান আর আর্বি, দু’টো ভাষাই জানে, তাহলে তো পোয়াবারো!
ছবি: DW/M. Hallam
বেটোফেন যেন কবে জন্মেছেন?
লুডভিশ ফান বেটোফেন সম্ভবত বন শহরের সবচেয়ে বিখ্যাত সন্তান৷ জন্মেছিলেন ১৭৭০ সালে, শহরের মূল চত্বরের কাছের একটি গলিতে বেটোফেনের জন্মের বাড়ি না দেখলে, বন-এ কিছুই দেখা হলো না৷ রাদওয়ান আয়ুজ ও তাঁর ছেলে আলি অতিকষ্টে বেটোফেনের জন্মের তারিখটা খুঁজে বার করেছেন৷
ছবি: DW/M. Hallam
রাস্তাঘাট চেনা
টিমকে হয়ত বলে দেওয়া হয়েছে, ‘ফ্রিডেন্সপ্লাৎস’, মানে শান্তির চত্বরে যাও৷ অথবা ৬০৮ নম্বর বাস কোথায় যাচ্ছে? পরের বাসটা আসবে কখন? বাসটা আবার থামে একটি উদ্বাস্তু আবাসের কাছে, যেখানে দলের অনেকের বাস৷
ছবি: DW/M. Hallam
বন থেকে চিঠি
কোথাও বসে পোস্টকার্ড লেখা হলো ক্লাসের নতুন কাজ৷ তার জন্যে পোস্ট অফিসে গিয়ে স্ট্যাম্প কিনে, পোস্টকার্ডে সেঁটে পোস্ট করতে হবে৷ স্ট্যাম্পের ‘রিসিট’ রেখে দিতে হবে৷
ছবি: DW/M. Hallam
পয়েন্ট মানেই ‘প্রাইজ’
এরপরেও ডয়চে ভেলের রিপোর্টার যে দলটির সাথে ছিলেন, তাঁরা খুব ভালো ফলাফল করতে পারেনি – সম্ভবত রিপোর্টারের কচকচানি, তার ওপর আবার রিপোর্টারকে কোনো প্রশ্নের উত্তর জিগ্যেস করা চলবে না, এই কারণে৷
‘‘নিরাপদ দেশ'' থেকে আগত রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের তাদের আবেদনের মঞ্জুরি প্রক্রিয়া শেষ হওয়া অবধি ‘প্রাথমিক রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে' বাস করতে হবে৷ অন্যান্য দেশ থেকে আগত জার্মানদের এই সব কেন্দ্রে রাখা হবে প্রথম ছ'মাসের জন্য – এ পর্যন্ত তারা তিন মাস পরেই অন্যত্র যেতে পারতেন৷ এছাড়া উদ্বাস্তুদের টাকা দেওয়ার পরিবর্তে আরো বেশি করে জিনিসপত্র, কুপন ইত্যাদি দেওয়া হবে৷
৭) চিকিৎসা
এ বছর থেকে রাজ্য সরকার উদ্বাস্তুদের জন্য ‘হেল্থ কার্ড' চালু করার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, উদ্বাস্তুরা যে কার্ড নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে পারবেন৷ এখনও পর্যন্ত উদ্বাস্তুদের সরকারি কার্যালয় থেকে চিরকুট নিয়ে যেতে হতো৷ হেল্থ কার্ড নিয়ে চিকিৎসার খরচ দেবেন রাজ্য সরকার, সরাসরি স্বাস্থ্য বীমা সংস্থাগুলিকে৷
৮) মানুষ পাচারকারী
মানুষ পাচারকারীদের দণ্ডের মাত্রা বাড়িয়ে কমপক্ষে তিন মাস কারাদণ্ড থেকে সর্বাধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড করা হবে৷ এ পর্যন্ত মানুষ পাচারকারীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে জরিমানা দিয়েই পার পেত৷
জার্মানির আরো কোনো দিন বিবেচনা করা উচিত? জানিয়ে দিন নীচের ঘরে৷
উদ্বাস্তু পরিস্থিতি ও জার্মান রাজনীতি
জার্মানিতে বিপুল সংখ্যক শরণার্থীদের আগমন শুধু সরকারি ব্যবস্থাপনাকেই বিপদের মুখে ফেলেনি, অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও তার ছাপ ফেলেছে: চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল-এর জনপ্রিয়তা আজ কমতির দিকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Gebert
উদ্বাস্তু শিবিরে দাঙ্গা
হামবুর্গ শহরের ভিলহেল্মসবুর্গ এলাকায় শরণার্থীদের প্রাথমিক আশ্রয়কেন্দ্রটি ভরে যাওয়ায় আগন্তুকদের তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়৷ মঙ্গলবার (৬ই অক্টোবর) সেখানে আফগানিস্তান ও আলবেনিয়া থেকে আগত উদ্বাস্তুদের মধ্যে ব্যাপক দাঙ্গা বাঁধে৷ লোয়ার স্যাক্সনি-র ব্রাউনশোয়াইগ-এও অনুরূপভাবে আলজিরীয় ও সিরীয় উদ্বাস্তুদের মধ্যে দাঙ্গা বাঁধে একটি চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Charisius
ইসলাম বিরোধীরা আবার মাথা চাড়া দিয়েছে
ড্রেসডেনে ইসলাম বিরোধী পেগিডা গোষ্ঠীর বিক্ষোভ সমাবেশে গত সোমবার প্রায় ন’হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন৷ বিক্ষোভকারীরা মূলত চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল-কেই বর্তমান উদ্বাস্তু সংকটের জন্য দায়ী করছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Settnik
ম্যার্কেল লাগাম টানলেন
চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল দৃশ্যত তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস ডেমেজিয়ের-এর গুরুত্ব কিছুটা খর্ব করে চ্যান্সেলরের দপ্তরের প্রধান পেটার আল্টমায়ার-কে শরণার্থী সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড সমন্বয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন৷
ছবি: Reuters
উদ্বাস্তুর লাশ
টুরিঙ্গিয়া রাজ্যের সালফেল্ড-এ অবস্থিত একটি রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী আবাসে সোমবার একটি অগ্নিকাণ্ডের পর ২৯ বছর বয়সি এক ইরিট্রিয়ান উদ্বাস্তুর লাশ পাওয়া যায়৷ কিভাবে এই শরণার্থী প্রাণ হারিয়েছেন, তা এখনও অজ্ঞাত৷ তবে আবাসটিতে ইচ্ছাকৃতভাবে অগ্নিসংযোগের কোনো হদিশ পুলিশ এখনও পায়নি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
যে কোনো পন্থায়
টুরিঙ্গিয়ায় এর আগেও উদ্বাস্তু আবাস হিসেবে চিহ্নিত বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে শরণার্থীদের আসা বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে৷ যেমন বিশহাগেন-এর এই বাড়িটির ছাদ পুরোপুরি পুড়ে গিয়েছে৷ গত সোমবার এখানে প্রথম উদ্বাস্তুদের আসার কথা ছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Gränzdörfer
ঘরে বাইরে
শরণার্থী সংকট এখন জার্মানির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও টান ধরাচ্ছে৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের সিডিইউ দলের জোড়োয়া দল বাভারিয়ার সিএসইউ৷ তাদের প্রধান হর্স্ট জেহোফার সেপ্টেম্বর মাসের শেষে একটি দলীয় সম্মেলনে বক্তা হিসেব আমন্ত্রণ জানান হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অর্বান-কে, যিনি সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে উদ্বাস্তুর স্রোত আটকানোর চেষ্টা করেছেন৷
ছবি: Reuters/M. Dalder
হাওয়া যদি বদলায়
বাভারিয়ার অর্থমন্ত্রী মার্কুস জ্যোডার ইতিপূর্বেও বলেছেন: ‘‘আমরা (অর্থাৎ জার্মানি) বিশ্বকে বাঁচাতে পারি না৷’’ এমনকি তিনি অস্ট্রিয়া সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কথাও চিন্তা করেছেন৷ তবে জ্যোডার যখন সম্প্রতি রাজনৈতিক আশ্রয় প্রাপ্তির সাংবিধানিক অধিকার সীমিত করার কথা বলেন, তখন জেহোফার স্বয়ং সাথে সাথে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন৷