ঢাকায় প্রতিদিনই বাড়ছে মানুষের চাপ৷ অলি-গলি দিয়ে রিক্সা করে বা হেঁটে গেলে চোখে পড়ে নতুন মুখ৷ কিন্তু ঐ মুখগুলোর কোনোটাতেই হাসি নেই, বরং রয়েছে বিষাদের ছাপ৷ পেটের দায়েই এরা পাড়ি জমিয়েছেন রাজধানীতে৷ এরাই যে ঢাকার উদ্বাস্তু!
বিজ্ঞাপন
এই তো দু'দিন আগের কথা৷ রিক্সায় করে নিউ মার্কেট থেকে মোহাম্মদপুরের বাসায় ফিরছি৷ কথার ছলে পরিচয় হলো রিক্সাচালক আবদুল আওয়ালের সঙ্গে৷ সদ্যই তিনি ভোলার বোরহানউদ্দীন উপজেলা থেকে ঢাকায় এসেছেন৷ মেঘনাগর্ভে চলে গেছে তাঁর বসত ভিটা৷ তাই বাধ্য হয়ে স্ত্রী আর দুই মেয়েকে নিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন রাজধানীতে৷ দুই হাজার টাকায় আগারগাঁওয়ের বস্তিতে একটি রুম ভাড়া নিয়েছেন৷ আর এখন রিক্সা চালিয়ে কোনো মতে জীবনধারণ করছেন৷ তবে শুধু আওয়াল নয়, তাঁর মতো অনেকেরই বাড়ি-ঘর চলে গেছে নদীগর্ভে৷ তাঁদের সকলেই এখন ঢাকায়৷ কেউ রিক্সা চালাচ্ছেন, কেউ হয়েছেন কারওয়ান বাজারের কুলি, কেউ বা দোকানের কর্মচারী৷ আর কেউ কেউ অপরাধী৷
এভাবে প্রতিদিনই বাড়ছে রাজধানীতে উদ্বাস্তু মানুষের চাপ৷ কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে না কর্মসংস্থান৷ ফলে বেড়েছে ভিক্ষুক, বাড়ছে অপরাধও৷ পেটের তাগিদে বহু উদ্বাস্তু মানুষ সরাসরি নানারকম অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন৷ গড়ে প্রতি বছর চার লাখ মানুষ রাজধানী ঢাকায় স্থায়ী বসতি গড়ছে৷ এক প্রতিবেদনে এমনই জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক৷
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রকোপে দ্বীপরাজ্য
প্রশান্ত মহাসাগরে ভানুয়াটুর মতো ছোট দ্বীপরাজ্যগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রকোপে, ঠিক যেমন বাংলাদেশ৷ সাগরের পানির উচ্চতা বাড়া আর আবহাওয়ার দুর্যোগের ফলে এই ধরনের দ্বীপরাজ্যগুলির অস্তিত্ব নিয়ে টান পড়েছে৷
ছবি: John Corcoran
প্যাম ঘূর্ণিঝড়ে ভানুয়াটু বিপর্যস্ত
ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার অবধি গতির ঝোড়ো বাতাস রাজধানী পোর্ট ভিলার বাড়িঘরের টিনের ছাদ উড়িয়ে দিয়েছিল এবং উপড়ে ফেলেছিল গাছ৷ প্যাম নামের ক্যাটেগরি ফাইভ সাইক্লোনটি এক সপ্তাহ আগে ভানুয়াটুর উপর আছড়ে পড়ে৷ দ্বীপরাজ্যের প্রেসিডেন্ট বল্ডউইন লন্সডেল-এর মতে, এ ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে যোগ আছে: ‘‘আমরা দেখছি, সাগরের পানির উচ্চতা বাড়ছে, আবহাওয়ার ধরন বদলে যাচ্ছে৷’’
ছবি: Reuters/K. Paras
‘উন্নয়ন নিশ্চিহ্ন’
প্যাম ঘূর্ণিঝড় ছিল একটি ‘‘দানব’’, যা তাঁর দেশকে ধ্বংস করেছে – বলেছিলেন প্রেসিডেন্ট লন্সডেল৷ ‘‘এটা ভানুয়াটুর সরকার ও জনসাধারণের জন্য একটি বিপর্যয়৷ এত সব উন্নয়ন ঘটার পর, তার সব কিছু নিশ্চিহ্ন হয়েছে’’, বলেন লন্সডেল৷ রাজধানীর ৯০ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে৷ নিহতের সংখ্যা এ যাবৎ, সরকারিভাবে – ছয়, আহত ত্রিশের বেশি৷
ছবি: Reuters/K. Paras
প্যামের আঘাত
প্যাম ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বহু দেশকে বিধ্বস্ত করেছে৷ জাতিসংঘের বিবৃতি অনুযায়ী, কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির মধ্যে আছে ভানুয়াটু, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, কিরিবাতি, ফিজি, তুভালু এবং পাপুয়া নিউ গিনি৷
ছবি: John Corcoran
শিশুরাই শিকার
অন্তত ৬০ হাজার শিশু এই ঘূর্ণিঝড়ে নিরাশ্রয় অথবা উদ্বাস্তু হয়েছে বলে ইউনিসেফ-এর ধারণা৷ পোর্ট ভিলায় যখন প্যাম এসে আঘাত হানে, ‘‘তখন যেন প্রলয় এসেছে বলে মনে হচ্ছিল’’, বলেছেন ইউনিসেফ-এর অ্যালিস ক্লিমেন্টস, যিনি সেই সময় অকুস্থলে ছিলেন৷
ছবি: Reuters/K. Paras
অশনি সংকেত?
বহু বছর ধরে (যেমন এই ছবিতে) কিরিবাতি-র মতো ছোট দ্বীপরাজ্যগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে যুঝছে৷ সেশেল-এর প্রেসিডেন্ট জেমস মিশেল প্যাম ঘূর্ণিঝড়কে ‘‘জলবায়ু পরিবর্তনের স্পষ্ট আভাস’’ বলে বর্ণনা করেন এবং আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজকে উষ্ণায়ন সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠতে বলেন৷
ছবি: John Corcoran
জমি বাঁচানোর আকুল প্রচেষ্টা
সবচেয়ে বিপন্ন দ্বীপরাজ্যগুলির বাসিন্দারা উপকূলবর্তী এলাকাগুলিকে রক্ষা করার চেষ্টা করে আসছে, যা-তে জোয়ারে তীরের মাটি ধুয়ে না যায়৷ এই সব স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপে কিছু কাজ হলেও, ক্ষয়ের মূল কারণ – সাগরের পানির উচ্চতা বাড়া – থেকেই যাচ্ছে৷
ছবি: John Corcoran
‘প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বিধ্বংসিতা বেড়েছে’
‘‘জলবায়ুর পরিবর্তন প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটার মাত্রা ও তীব্রতা বাড়িয়েছে, বিভিন্ন দেশের মানুষদের উপর যার প্রভাব পড়ছে’’, বলেন কিরিবাতি দ্বীপরাজ্যের প্রেসিডেন্ট আনোটে টং৷ বিজ্ঞানীরা অবশ্য বলেন যে, প্যাম ঘূর্ণিঝড়ের মতো একক প্রাকৃতিক ঘটনাকে পুরোপুরি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলশ্রুতি বলা চলে না৷
ছবি: John Corcoran
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের কর্মসূচি
‘‘আমাদের বিশেষ করে সবচেয়ে দরিদ্র, বিপন্ন মানুষদের সাহায্য করতে হবে’’, প্যাম ঘূর্ণিঝড়ের পর এ কথা বলেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন৷ প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধ করাটা গোটা বিশ্বের কর্তব্য – তাই এ বছর একটি নতুন জলবায়ু চুক্তি সম্পাদিত হতে চলেছে৷
ছবি: John Corcoran
8 ছবি1 | 8
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন বা আইওএম-এর হিসেব মতে, ঢাকার বস্তিগুলোতে বসবাসকারী ৭০ ভাগ মানুষই এখানে এসেছেন কোনো না কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার হয়ে৷ ২০১২ সালে দেড় হাজার পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের তৎকালীন প্রধান এ এস মনিরুজ্জামান খান৷ সেখানেও দেখা গিয়েছিল যে, এদের বেশিরভাগই পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে ঢাকা শহরে পাড়ি জমিয়েছিলেন৷
সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের সবচেয়ে হুমকির মুখে যে ১০টি শহর রয়েছে, তার মধ্যে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলো বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা৷ পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে নতুন করে ১০ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে যাবে বলেও আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক৷ সর্বশেষ গত ২৩শে নভেম্বর বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার জলাবদ্ধতার ফলে ২০১৪ থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত প্রায় ১১০ বিলিয়ন টাকা বা ১১ হাজার কোটি টাকা সম্ভাব্য ক্ষতি হতে পারে৷ জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে তীব্র বৃষ্টিপাত হলে এ ক্ষতির পরিমাণ ১৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকাতেও পৌঁছাতে পারে৷
এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে পানির নীচে ঢাকা
মঙ্গলবার মাত্র একঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ রাস্তাঘাট৷ ফলে জনজীবনে নেমে আসে ব্যাপক দুর্ভোগ৷ বিস্তারিত দেখুন ছবিতে৷
ছবি: picture alliance/Zumapress.com
হঠাৎ বৃষ্টিতে অচল ঢাকা
বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোড৷ ছবিতে এক মহিলা সেই পানির মধ্য দিয়ে ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছেন এক শিশুকে, সঙ্গে আরো কিছু মালপত্র৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Abdullah
আটকে গেছে ভ্যান
ঢাকার শহরের রাস্তাঘাটে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ম্যানহোলের ঢাকনা থাকে না৷ রাস্তা ভাঙাও থাকে৷ আর সেসব রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেলে যানবাহন সহজেই আটকে যায়৷ ছবিতে এক ভ্যান চালক রাস্তায় আটকে যাওয়া ভ্যান ঠেলে সরানোর চেষ্টা করছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Abdullah
জীবন থেমে নেই
বৃষ্টির পানিতে রাস্তা ডুবে গেলেও থেমে নেই ঢাকাবাসী৷ পানির মাঝেই চলছে তাদের নিত্যদিনের কর্মকাণ্ড৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Abdullah
ঘরের মধ্যে পানি
এই পরিবারের দুর্দশা চরমে উঠেছে৷ কেননা, বৃষ্টির পানি ঢুকে গেছে বাড়ির মধ্যে৷ ছবিটি তোলা চট্টগ্রাম থেকে৷ ঢাকার মতো চট্টগ্রামের ড্রেনেজ ব্যবস্থাও বেশি দুর্বল৷ ফলে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিপাতেই সৃষ্টি হয় এমন পরিস্থিতি৷
ছবি: picture alliance/Zumapress.com
সিমলার বাড়ি ফেরা
স্কুলে যাওয়ার পথে এত পানি ছিল না রাস্তায়৷ কিন্তু ফিরতে ফিরতে এই অবস্থা৷ ছয় বছর বয়সি সিমলার এই ছবিটি তোলা হয়েছে চট্টগ্রাম থেকে৷
ছবি: picture alliance/Zumapress.com
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব
চট্টগ্রামে অল্পতেই বন্যার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনকেও দুষছেন অনেকে৷ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে থাকলে বাংলাদেশের এই বন্দরনগরীর নীচু অংশ তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷
ছবি: picture alliance/Zumapress.com
6 ছবি1 | 6
আবার ২০১৩ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা বিবিসির মিডিয়া অ্যাকশন জরিপে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের ৮৪ শতাংশ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাব ফেলছে৷ ৩৬ শতাংশ মানুষ পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে গিয়ে তাঁদের পেশাসহ জীবনযাত্রা ও কৃষিকাজে পরিবর্তন আনছেন৷ বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় জড়ো হচ্ছেন এ সব উদ্বাস্তু মানুষ৷ বিশ্বের সাতটি দেশের ওপর করা এই জরিপে বাংলাদেশের বিষয়ে এই তথ্য উঠে আসে৷ এ সব তথ্য থেকেই বোঝা যায় যে, কতটা বিপদের মধ্যে আছে ঢাকা মহানগরী৷ আচ্ছা, এই ক্রমবর্ধমান উদ্বাস্তুর কারণে ঢাকা শহর ধীরে ধীরে তার জনসংখ্যার ভারসাম্য হারাচ্ছে না তো? ভয় করে৷
আসলে পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়া হলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের বড় একটা অংশ৷ ইতিমধ্যে শুরুও হয়ে গেছে সেই বিধ্বংসী প্রক্রিয়া৷ চলামান প্যারিস সম্মেলনে বাংলাদেশের তরফ থেকে এ সব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে৷ ভেঙে যাওয়ার আগে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের এক তথ্যে বলা হয়েছিল, ঢাকায় প্রতিদিনই প্রায় দুই হাজার করে মানুষ আসছেন নতুন জীবন শুরুর আশা নিয়ে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সম্প্রতি এই সংখ্যা বাড়ছে বলেই জানা গেছে৷ এখন ঢাকার বাসিন্দা প্রায় দুই কোটি৷ আর এ পরিমাণ মানুষের এই চাপ সামলাতে ইতিমধ্যেই প্রবল ঝুঁকিতে আছে ঢাকা৷ আর তার সঙ্গে যোগ হচ্ছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটও৷ ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমেই নেমে যাচ্ছে নীচের দিকে৷ বলা বাহুল্য, শহরের ৯০ শতাংশ খাবার পানির চাহিদা পূরণ হয় এই মাটির নীচে জমে থাকা পানি থেকে৷ কিন্তু প্রতি বছরে প্রায় তিন মিটার করে নীচে নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর৷
কোনো জলবায়ু উদ্বাস্তুর গল্প কি আপনি জানেন বন্ধু? তাহলে আমাদেরও জানান, নীচের ঘরে৷
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সক্ষম ধান
বাংলাদেশের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে নানাভাবে৷ কৃষিও রয়েছে এর মধ্যে৷ তবে আশার কথা, এই প্রভাব মোকাবিলায় সক্ষম কিছু ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা৷
ছবি: FARJANA K. GODHULY/AFP/Getty Images
বাংলাদেশেই উদ্ভব
বাংলাদেশের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে নানাভাবে৷ কৃষিক্ষেত্রও এর মধ্যে রয়েছে৷ তবে আশার কথা, এই প্রভাব মোকাবিলায় সক্ষম কিছু ধানের জাত উদ্ভাবনের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, ব্রি-র মহাপরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস৷
ছবি: N.Nanu/AFP/Getty Images
লবণাক্ততা
উপকূলীয় অঞ্চলে যেখানে জমিতে লবণের পরিমাণ বেশি সেখানে রোপা আমন মৌসুমে ব্রি ধান৪০, ব্রি ধান৪১, ব্রি ধান৫৩ ও ব্রি ধান৫৪ – এই চারটি জাত বেশ কার্যকর৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বোরো ধান
লবণাক্ত পরিবেশে জন্মানোর জন্য বোরো ধানের জাতের মধ্যে রয়েছে ব্রি ধান৪৭ এবং ব্রি ধান৬১৷
ছবি: CC/Rishwanth Jayaraj
খরা
খরা মোকাবিলায় সক্ষম দুটো উন্নত জাত হলো ব্রি ধান৫৬ এবং ব্রি ধান৫৭ – দুটোই রোপা আমন ধানের জাত৷ ‘‘আরও কিছু নতুন জাত আমাদের হাতে আছে যেগুলো খরায় আরও ভালো করবে,’’ জানিয়েছেন ব্রি মহাপরিচালক৷
ছবি: AP
হঠাৎ বন্যা
ড. বিশ্বাস বলেন, রোপা আমন মৌসুমে আরেকটি পরিস্থিতি তৈরি হয় যখন ধান লাগানোর পরে দেখা যায় যে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে হঠাৎ করেই পানির নীচে ডুবে যায়৷ ‘‘এই অবস্থা প্রায় সপ্তাহখানেক বা তারও বেশি সময় ধরে থাকে৷ এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রয়েছে ব্রি ধান৫১ ও ব্রি ধান৫২৷’’
ছবি: N.Nanu/AFP/Getty Images
অতি ঠান্ডা, অতি গরম
এই পরিস্থিতির জন্য এখনো কোনো ভালো জাত নেই৷ তবে ব্রি মহাপরিচালক বলেছেন, ‘‘গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে এবং আমরা আশা করি, অদূর ভবিষ্যতে এমন ধানের জাত আমরা হাতে পেয়ে যাব৷’’
ছবি: DW/P. Mani Tewari
প্রচারণা
সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে কৃষকদের ব্রি উদ্ভাবিত এসব জাত সম্পর্কে জানানো হয়৷