1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণপন্থিদের পালে হাওয়া...

গ্রেহাম লুকাস/এসি৩০ জানুয়ারি ২০১৬

সিরিয়া বা আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ; সাহারার দক্ষিণে খরা ও দুর্ভিক্ষ; উত্তর আফ্রিকায় চরম আশাহীনতা – সব মিলিয়ে ইউরোপ অভিমুখে অভূতপূর্ব উদ্বাস্তুর স্রোত৷ যার ফল কুড়োচ্ছে চরম দক্ষিণপন্থিরা, বলে গ্রেহাম লুকাসের অভিমত৷

Slowenien Flüchtlinge
ছবি: Getty Images/J. Mitchell

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যখন শেষ হচ্ছে ও তার অব্যবহিত পরে ইউরোপ তথা জার্মানি এই ধরনের উদ্বাস্তু বা শরণার্থীর স্রোত দেখেছিল বটে৷ রিফিউজিদের প্রশ্নে ইউরোপ আজ দ্বিধাবিভক্ত: একদিকে জার্মানি বা সুইডেনের মতো দেশ, যারা উদ্বাস্তুদের নিচ্ছে; অপরদিকে হাঙ্গেরি বা পোল্যান্ডের মতো দেশ, যারা উদ্বাস্তুদের নিতে গররাজি – ব্রিটেনকেও যে দলে ফেলা যায়৷

কিন্তু গত কয়েক মাসে উদ্বাস্তু সংকট যত চরমে উঠেছে, ততই ইউরোপীয় রাজনীতির ধারা যেন ডানদিকে ঘুরেছে৷ জার্মানিতে দক্ষিণপন্থি মনোভাবের মানুষজন বলছেন, আঙ্গেলা ম্যার্কেল যদি তাঁর উদ্বাস্তুরা স্বাগতম নীতি না বদলান, তাহলে তাঁর চ্যান্সেলরশিপের এখানেই অন্ত ঘটতে পারে৷ আগামী প্রাদেশিক নির্বাচনগুলিতে ‘জার্মানির জন্য বিকল্প' নামধারী এএফডি দল, যারা অতিমাত্রায় উদ্বাস্তু ও বহিরাগত বিরোধী, তারা বিপুল ভোট সংগ্রহ করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে – বিশেষ করে থার্টি ফার্স্ট নাইটে কোলনে যা ঘটেছে, তার পরে৷ ফ্রান্সেও আগামী বছরের রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচনে চরম দক্ষিণপন্থিদের ভালো ফলাফল করার সম্ভাবনা বাড়ছে৷

মার্কিন মুলুকে

সেখানেও রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের মধ্যে যিনি সবচেয়ে এগিয়ে, তিনি হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তাঁর প্রচার অভিযান চলেছে মূলত বহিরাগত ও মুসলিম বিদ্বেষের উপর নির্ভর করে৷ এককালে যাকে ঝড়তি-পড়তি ক্যান্ডিডেটদের মধ্যে ধরা হচ্ছিল, এখন তিনি আগামী নভেম্বরে বাস্তবিক হোয়াইট হাউস জয় করবেন কিনা, তা ভবিষ্যদ্বাণী করার, অথবা না করার ক্ষমতা কারো নেই৷

গ্রেহেম লুকাস, ডিডাব্লিউ-র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিভাগের প্রধান

মার্কিন মুলুকে ট্রাম্পের জয়যাত্রা ইউরোপের চরম দক্ষিণপন্থিদের উদ্বুদ্ধ করেছে ও করছে৷ যার ফলে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ‘‘স্বাগতম'' সংস্কৃতি আজ ধুঁকছে৷ ইউরোপ তথা জার্মানির মানুষ চাইছে হয় নীতিবদল, নয়ত পালাবদলের পালা৷ অথচ সেই মানুষরাই ভুলে যাচ্ছে, যে সব কারণ থেকে এই উদ্বাস্তুর স্রোত ও তথাকথিত উদ্বাস্তু সংকটের সৃষ্টি, তার অনেকটাই ২০০১ সালে আফগানিস্তান অথবা ২০০৩ সালে ইরাক অভিযানের দরুণ৷ পশ্চিমের পক্ষে সেই দায়িত্ব ভুলে যাওয়া বা এড়িয়ে যাওয়া উচিত হবে না৷

বন্ধু, আপনি কি গ্রেহেম লুকাসের সঙ্গে একমত? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ