1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেল এক চুলও নড়লেন না

২১ জানুয়ারি ২০১৬

বাভারিয়ার ভিল্ডবাড ক্রয়েথে সিএসইউ দলের সম্মেলনে আমন্ত্রিত সিডিইউ প্রধান ও চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল চলতি উদ্বাস্তু বা শরণার্থী সংকট সমাধানে তাঁর অবস্থানের কিছুমাত্র পরিবর্তনের আভাস দিলেন না৷

Deutschland Winterklausur der CSU-Landtagsfraktion Angela Merkel
ছবি: Reuters/P. Kneffel

খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী ইউনিয়ন সিডিইউ এবং খ্রিষ্টীয় সমাজিক ইউনিয়ন সিএসইউ, এই দু'টি দল পরস্পরকে ‘‘ভগিনী'' বলে অভিহিত করে থাকে৷ বস্তুত একই দল, তবে সিএসইউ-এর কর্মক্ষেত্র দক্ষিণের বাভারিয়া রাজ্যে সীমিত; সিডিইউ বাদবাকি জার্মানিতে সক্রিয়৷ সরকার গঠনের সময় অবশ্যই দু'টি দল এক দল হিসেবে কাজ করে থাকে – যেমন বর্তমান ফেডারাল সরকারের বৃহৎ জোট গঠিত হয়েছে একদিকে সিডিইউ-সিএসইউ, অন্যদিকে এসপিডি বা সামাজিক গণতন্ত্রীদের নিয়ে৷

আপাতত দুই ‘‘ভগিনী'' দলের মধ্যে গোঁসা ও কোঁদল যেন ধীরে ধীরে পৃথগান্নের দিকে চলেছে, বলে মনে হতে পারে, যার একমাত্র কারণ হল উদ্বাস্তু নীতি৷ জার্মানিতে যে হাজার হাজার উদ্বাস্তু আসছেন, তারা প্রধানত ঢোকেন অস্ট্রিয়া থেকে বাভারিয়া হয়ে৷ কাজেই বাভারিয়ায় ক্ষমতাসীন সিএসইউ দল – খানিকটা তৃণমূলে কান রেখেও – উদ্বাস্তুদের আগমন হ্রাস করতে আগ্রহী৷ সংখ্যা বলতে গেলে, সিএসইউ চায়, উদ্বাস্তুদের জন্য মুক্ত দুয়ার নীতি পরিবর্তন করে বছরে দু'লাখের মতো একটি ঊর্ধ্বসীমা নির্দিষ্ট করা হোক৷ মুশকিল এই যে, ম্যার্কেল সেদিকে যেতে রাজি নন৷ বলতে কি, ম্যার্কেলের উদ্বাস্তু নীতি নিয়ে বিরোধ এখন শুধু খ্রিষ্টীয় ইউনিয়ন দলগুলিকেই নয়, গোটা জার্মান জাতিকে বিভক্ত করেছে৷ দ্য গার্ডিয়ান লিখছে, ‘উদ্বাস্তু প্রসঙ্গে জার্মানির মনোভাবকে কেন্দ্র করে আঙ্গেলা ম্যার্কেল নিজের দলে বিদ্রোহের মুখোমুখি৷'

দ্য ইকনমিস্ট লিখছে, ‘উদ্বাস্তুদের নেওয়া সম্পর্কে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের আশাবাদিতা তাচ্ছিল্যের সঙ্গে তাঁর দিকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে৷'

বুধবার মিউনিখের কাছে ভিল্ডবাড ক্রয়েথে ছিল সিএসইউ-এর দলীয় সম্মেলনে৷ এর ঠিক আগেই অস্ট্রিয়া উদ্বাস্তুদের সংখ্যা সীমিত করার একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করে: চলতি বছরে অস্ট্রিয়া রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা ৩৭,৫০০-য় সীমিত রাখবে; তার পর চার বছর ধরে প্রতিবছর সেই সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ২০১৯ সালে বছরে পঁচিশ হাজারে৷ নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি রাজনৈতিক আশ্রয় অভিলাষীরা এলে, তাদের কি হবে, সে বিষয়ে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর ভ্যার্নার ফাইমান কিছু বলেননি – সেটা নাকি সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখবেন৷

অস্ট্রিয়ার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সিএসইউ; ম্যার্কেল কিন্তু সেই সিদ্ধান্তকে ‘নট হেল্পফুল' বা কাজের নয়, বলে সমালোচনা করেছেন৷ ওদিকে নতুন বছরেও দিনে প্রায় তিন হাজার করে উদ্বাস্তু জার্মানিতে এসে পৌঁছাচ্ছেন৷ এই পরিস্থিতিতেও ভিল্ডবাড ক্রয়েথে ম্যার্কেলকে শুধুমাত্র বলতে শোনা গেছে যে, তাঁর সরকার ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষবৈঠকে কিছু নতুন প্রস্তাব পেশ করবেন৷ ‘‘তা থেকে একটা মধ্যকালীন সিদ্ধান্তে আসা যাবে, তারপর আরো একটি মধ্যকালীন সিদ্ধান্ত, তারপর দেখা যাবে, পরিস্থিতি কি'' – বলেছেন ম্যার্কেল৷ সূচনা থেকেই বোঝা গেছিল, এর চাইতে বেশি আশা করা উচিত নয়৷

স্বভাবতই সম্মেলনের পরে সিএস ইউ প্রধান হর্স্ট জেহোফার ‘‘হতাশ'', যেমন তিনি বলেছেন এআরডি টেলিভিশনকে৷ ওদিকে ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে জার্মান প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউক মন্তব্য করেছেন যে, উদ্বাস্তুদের সংখ্যা সীমিত করা ‘‘নৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে প্রয়োজনীয়'' হতে পারে৷ সেটাও কি ম্যার্কেলের ওপর পরোক্ষ চাপ নয়?

এসি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)

বন্ধুরা, ম্যার্কেলের এখন ঠিক কী করা উচিত বলে আপনারা মনে করেন? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ