1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উদ্বাস্তু সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেন ওলঁদ, ম্যার্কেল

২৪ আগস্ট ২০১৫

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ বার্লিনে মিলিত হয়ে যে সমস্যাটি নিয়ে মূলত আলোচনা করবেন, সেটি ইউক্রেন নয়, বরং গত পঞ্চাশ বছর যাবৎ ইউরোপের বৃহত্তম শরণার্থী সংকট৷

Deutschland Lage in Heidenau
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Burgi

দুই নেতার সঙ্গে পরে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো৷ কিন্তু ম্যার্কেল এবং ওলঁদ প্রধানত চেষ্টা করবেন সেই সব দেশগুলির একটি তালিকা নির্দিষ্ট করার, যাদের নাগরিকদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেবার কোনো প্রশ্ন উঠবে না – নেহাৎ ব্যতিক্রম ছাড়া৷ এক্ষেত্রে প্রথমেই বলকান দেশগুলির প্রসঙ্গ এসে পড়বে – যেমন আলবেনিয়া অথবা সার্বিয়া – কেননা জার্মানিতে এখন যারা রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করছেন, তাদের এক-তৃতীয়াংশই আসছেন এই সব দেশ থেকে৷

দ্বিতীয়ত, ম্যার্কেল এবং ওলঁদ গ্রিস ও ইটালিতে আগত উদ্বাস্তুদের জন্য রিসেপশান সেন্টার বা অভ্যর্থনা কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ আরো ত্বরান্বিত করার ওপর জোর দেবেন৷ এর ফলে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের বেআইনি অভিবাসীদের থেকে আলাদা করা সম্ভব হবে৷ ইটালির উপকূলরক্ষীরা শুধুমাত্র শনিবারে ভূমধ্যসাগরে ভাসমান ২২টি নৌকা থেকে মোট ৪,৪০০ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে৷ ইটালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো জেন্তিলোনি বলেছেন যে, এই শরণার্থী সংকট ইউরোপের ‘‘আত্মার'' প্রতি বিপদ ডেকে আনতে পারে, ইউরোপ নিজেকে তার সবচেয়ে কুৎসিত দিক থেকে প্রদর্শন করতে পারে: স্বার্থপরতা, খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত এবং ইইউ সদস্যদেশগুলির মধ্যে কোন্দল৷

ম্যাসিডোনিয়া সীমান্তে উদ্বাস্তু শিশুছবি: Reuters/O. Teofilovski

জার্মানিতে এ বছর রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা আট লক্ষ ছাড়িয়ে যেতে পারে, অর্থাৎ গতবছরের প্রায় চার গুণ৷ ভাইস চ্যান্সেলর সিগমার গাব্রিয়েল এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতিকে জার্মানির ‘‘পুনর্মিলন যাবৎ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ'' বলে অভিহিত করেছেন৷ অপরদিকে তিনি আজ সোমবার জার্মানির পূর্বাঞ্চলে হাইডেনাউ শহরে যাচ্ছেন, সেখানকার অবস্থা সরেজমিনে দেখার জন্য৷ বিগত কয়েক দিন ধরে সেখানে একটি শরণার্থী আবাসের সামনে উগ্র দক্ষিণপন্থিরা – যাদের মধ্যে নব্য নাৎসিরাও আছে – অংশত মদ খেয়ে হল্লা, এমনকি দাঙ্গা করছে ও পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ চালাচ্ছে৷ রবিবার সন্ধ্যাতে উত্তেজনা কিছুটা কমলেও, পুরোপুরি অন্তর্হিত হয়নি৷ হাইডেনাউ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়: এ বছর জার্মানিতে শরণার্থী আবাসের উপর আক্রমণের দেড়শ'র বেশি ঘটনা ঘটেছে৷

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস ডেমেজিয়ের রিফিউজি সেন্টারের উপর আক্রমণের নিন্দা করেছেন৷ হাইডেনাউ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী হাইকো মাস বলেছেন, বহিরাগত বিদ্বেষ বা জাতিবাদের প্রতি কোনোরকম সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করা হবে না৷ অপরদিকে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল-এর নিজের দলের কিছু সদস্য রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা কমাতে চান৷

এসি/জেডএইচ (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ