1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্বেচ্ছায় জার্মানি ছাড়াতে পোর্টাল!

১৬ মে ২০১৭

অভিবাসন ও উদ্বাস্তু দপ্তরের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, স্ব-ইচ্ছায় আশ্রয়প্রার্থীদের জার্মানি ত্যাগের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে৷ এক্ষেত্রে আরও ভালো বিকল্প তৈরি করতে চালু করা হয়েছে নতুন একটি অনলাইন পোর্টাল৷

Afghanistan abgeschobene Flüchtlinge aus Deutschland kommen in Kabul an
ছবি: Getty Images/AFP/W. Kohsar

রিটার্নিং ফ্রম জার্মানি ডট ডিইঠিকানার এই ওয়েবসাইটটি এখন ইংরেজি ও জার্মান ভাষায় থাকলেও কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরবি, ফরাসিসহ আশ্রয় প্রার্থীদের অন্য ভাষাগুলোতেও পাওয়া যাবে৷

নানা কারণে আশ্রয় প্রার্থনার পরও অনেকে জার্মানি ত্যাগ করেন৷ তবে কেউ জার্মানি ত্যাগ করতে চাইলে যে অর্থনৈতিক প্রণোদনা দেয়া হয়, সেটাই একমাত্র কারণ নয়৷ কারণ অনেকই নিজ দেশে রেখে আসা অসুস্থ্য স্বজনের যত্ন নিতে বা পরিবারের নিখোঁজ সদস্যকে খুঁজতে দেশে ফিরতে চান৷

গত বৃহস্পতিবার উদ্বাস্তু উপদেষ্টা সানেলা সেলিম্যাজিক বার্লিনে বলেন, কারও কারও ক্ষেত্রে এই কারণটা ভাষা৷ অথবা তারা এখানকার সাথে কোন টান অনুভব করেন না৷

ছবি: returningfromgermany.de

সেলিম্যাজিক গত ১০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) হয়ে আশ্রয়প্রত্যাশীদের উপদেষ্টার কাজ করছেন৷

আইওএম-এর মতে, ২০১৬ সালে ৫৪ হাজার ৯৬ জন আশ্রয়প্রার্থী বা অভিবাসনপ্রত্যাশী স্বইচ্ছায় জার্মানি ত্যাগ করেছে৷ আর ২০১৭ সালে এপ্রিল শেষ হওয়া পর্যন্ত ত্যাগ করেছে ১১ হাজার জন৷

অর্থ যোগান ও পুনঃসংযোগ

জার্মানি ত্যাগীদের সংখ্যা বাড়াতে দেশটির কেন্দ্রীয় অভিবাসন ও উদ্বাস্তু দপ্তর (বিএএমএফ) এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার নতুন অনলাইনটি উদ্বোধন করা হয়৷ এতে জার্মানি ত্যাগ করে স্বদেশে ফিরতে আগ্রহীদের সম্পর্কে নানা তথ্য দেওয়া হয়েছে৷

একইসঙ্গে নিজ দেশে স্বাস্থ্য সুবিধা, শ্রম বাজারের মতো সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টরগুলোও বলা আছে৷ সুনির্দিষ্ট জাতীয়তার ওই মানুষেরা জার্মানিতে থাকলে কী ধরনের সুবিধা পাবেন, দেশে তাদের পুনঃসংযোগ প্রকল্পে কী ধরনের অফার রয়েছে, এই ওয়েবসাইটে সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে৷

স্ব-ইচ্ছায় জার্মানি-ত্যাগীদের সংখ্যা কমছে

বৃহস্পতিবার পোর্টালটির উদ্বোধনের দিনে ঘটনাক্রমে বিএএমএফ-এর একটি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়৷ যাতে দেখা যায়, ২০১৭ সালের প্রথম কোয়ার্টারে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪০শতাংশ কম উদ্বাস্তু দেশ ছেড়েছে৷

প্রতিবেদন বলছে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ে মোট ১৩ হাজার ৮৪৮জন উদ্বাস্তু জার্মানি ছেড়েছে৷ এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে, ৮ হাজার ৪৬৮জন৷ সংখ্যা কমার এই হারের কারণ খুঁজতে তদন্তে নেমেছে জার্মান সরকার৷

ভালো বিকল্প হিসাবে স্ব-ইচ্ছায় দেশত্যাগ

৩০ হাজারের বেশি প্রত্যাখ্যাত আশ্রয়প্রার্থীকে যখন জার্মানি ছাড়তে হবে, সেই সময়ে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে থাকার আবেদন নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই, আরও অনেকের স্ব-ইচ্ছায় দেশ ত্যাগে উদগ্রীব-উৎসাহ দিচ্ছে জার্মানি৷

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস ডেমেজিয়ের বলেন,  যাদের জার্মানিতে অবস্থানের কোনো আশা নেই, তাদেরকে যথাসম্ভব দ্রুত চলে যেতে হবে৷

গত বছর ২৫ হাজার ৩৭৫ জন প্রত্যাখ্যাত আশ্রয়প্রার্থীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, যা ২০১৫ সালের চেয়ে ২১ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি৷অভিবাসী ও উদ্বাস্তুদের দেশে (স্ব-ইচ্ছায়) প্রত্যাবর্তন তাদেরকে বিতাড়নের মতো ব্যয়বহুল প্রক্রিয়ার চেয়ে জার্মান সরকারের জন্য অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক৷

স্ব-ইচ্ছায় জার্মানি ত্যাগে সরকারের চেষ্টাকে সফল করতে, ‘‘যারা স্ব-ইচ্ছায় জার্মানি ছাড়তে চাইবে না, তাদের ধারাবাহিকভাবে অবশ্যই স্বদেশে ফেরত পাঠাতে হবে'', বলে মত প্রকাশ করেন জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চপদস্থ কর্মচারী ওলে শ্রোয়েডার৷ তাঁর কথায়, ‘‘সেক্ষেত্রেই কেবল স্ব-ইচ্ছায়ফিরে যাওয়া একটা ভালো বিকল্পহবে৷''

কেট ব্র্যাডি/এসএন 

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ