1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় হরতাল-অবরোধ

সমীর কুমার দে, ঢাকা ৬ এপ্রিল ২০১৩

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, সেক্টরস কমান্ডারস ফোরাম ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ ২৭টি সংগঠনের ডাকা হরতাল এবং শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের রাজপথ-রেলপথ অবরোধ৷

ছবি: Reuters

২৪ ঘণ্টার এই হরতাল শেষ হবে শনিবার সন্ধ্যা ৬টায়৷ আর ২২ ঘণ্টার অবরোধ শেষ হবে বিকেল ৪টায়৷ শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে বিকেল ৪টায় শুরু হবে সমাবেশ৷ এর আগে সকাল ১০টায় মতিঝিলে অনুষ্ঠিত হবে হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশ নামে একটি ইসলামি সংগঠনের লংমার্চ পরবর্তী সমাবেশ৷ একই দিনে এক পক্ষের হরতাল, অবরোধ আর সমাবেশ এবং অপর পক্ষের লংমার্চ পরবর্তী সমাবেশ, ফলে দেশবাসী গভীর উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার মধ্যে নজর রাখছে এসব কর্মসূচিতে৷ সবার প্রত্যাশা শান্তিপূর্ণভাবে যেন শেষ হয় এসব কর্মসূচি৷ কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হলে আগামী রবিবার থেকে টানা হরতাল ঘোষণার আভাস আগে থেকেই দিয়ে রেখেছে হেফাজতে ইসলামী৷ তাই সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস থেকেই নগরবাসী যে আরো বড় দুর্ভোগে পড়তে যাচ্ছেন তা আগে থেকেই অনুমান করা যায়৷

সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজনের সভাপতি বদিউল আলম মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, লংমার্চ, হরতাল-অবরোধ কোন কর্মসূচিই জনগণ চায় না৷ এই ধরনের সংঘাতময় পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ চায় দেশের মানুষ৷ তিনি আরও বলেন, সব কর্মসূচিই প্রত্যাহার করে আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব৷ কিন্তু পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয়ার কারণে চরম উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন পার করছেন জনগণ৷

চলছে গণজাগরণ মঞ্চের অবরোধছবি: privat

হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী শুক্রবার সকালেও সরকারকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, লংমার্চ তাদের রাজনৈতিক কোন কর্মসূচি নয়৷ ইমানী দায়িত্ব থেকে তারা এই আন্দোলন করছেন৷ তাদের আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে নয়৷ আর এ আন্দোলন থেকে জামায়াত-শিবিরের সুবিধা পাওয়ার কোন সুযোগও নেই৷

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেছেন, সরকার ও বিরোধী দল সমঝোতায় না এলে দেশের পরিস্থিতি দিনদিন আরো অন্ধকারময় হয়ে উঠবে৷ তিনি বলেন, ‘এখন যে পরিস্থিতি তা এক কথায় ভয়াবহ৷' বিশ্লেষকরা বলছেন, হেফাজতের এই লংমার্চে বিএনপির-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট সমর্থন দেয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়েছে৷ বছর তিনেক আগে গঠন করা অখ্যাত এই হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশ তাই এখন চলে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে৷ সৃষ্টি করেছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার৷

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, জামায়াত চক্র হেফাজতের আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে নাশকতা ঘটাতে পারে৷ তাই তাদেরই সতর্ক থাকতে হবে, যাতে জামায়াত-শিবির চক্র তাদের মধ্যে ঢুকে কিছু করতে না পারে৷ তিনি বলেছেন, লংমার্চ যদি কোনো পর্যায়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় বা আইন বহির্ভূত কোনো কাজে তারা সংশ্লিষ্ট হয়ে পড়ে তাহলে যথাসময়ে যথাস্থানে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ তিনি জানান, হেফাজতে ইসলামের কর্মকাণ্ড সরকার যত্ন সহকারে পর্যবেক্ষণ করছে৷

অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, লংমার্চে সরকারের লোকজনই গোলযোগ সৃষ্টি করবে, সে কারণেই তারা নাশকতার সংশয়ের কথা বলছেন৷ তিনি বলেন, লংমার্চে কোনো ধরনের সমস্যা হলে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে৷ এর জন্য জনগণের কাছে সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে৷

সাধারণ মানুষ বলছেন, শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে দেশ৷ এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে এক বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আইনি জটিলতার কারণে এখনই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব নয়৷ গণজাগরণ মঞ্চ জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন করছে৷ এই মঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা আরো কঠোর আন্দোলনের পথ বেছে নেবে৷ তাই সময় যত গড়াচ্ছে ততোই জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে৷ দেশে কী হতে যাচ্ছে? সামনের দিনগুলো কী অন্ধকারাচ্ছন্ন? এসব প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে এখন মানুষের মনে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ