জেলেরা হঠাৎ মাছ ধরা ছেড়ে কুমিরের খামার অথবা ঝিনুকের চাষ করলে, সেটা বোধগম্য৷ এই পদ্ধতিতে রোজগার বাড়ে, পরিবেশও বাঁচে৷ কিন্তু সামুদ্রিক কাছিমদের বাঁচিয়ে রাখাটা শুধু পরিবেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে৷
বিজ্ঞাপন
মেক্সিকোতে কুমির চাষ
05:33
কুমিরের চামড়ার খুব কদর৷ ক্রোকোডাইল লেদারের জিনিসপত্র লাক্সারি আইটেম হিসেবে বেশি দামে বিক্রি হয়৷ সরকারিভাবে ১৯৭৫ সাল যাবৎ এখানে কুমির মারা নিষেধ৷
মেক্সিকোর সিনোলোয়া প্রদেশের এই খামারটিতে কুমিরের চাষ করা হয়৷ তবে শুধু বিক্রির জন্যই নয়, যদিও একটি কুমিরের চামড়া ৫০০ ইউরো মূল্যে বিক্রি করা যায়৷ অপরদিকে মুক্ত প্রকৃতিতে কুমিরদের সংখ্যা বাড়ানোও এই প্রকল্পের একটি উদ্দেশ্য৷ ‘কুমিরচাষি' উমব্যার্তো মন্তোয়া ইনজুনজা জানালেন, ‘‘প্রকল্পটা অর্থকরী, এ থেকে আমাদের বেশ রোজগার হবে৷ আমাদের কুমিরের চামড়া বিক্রির অনুমতি আছে৷''
জিআইজেড-এর ‘বায়োমার' কর্মসূচি
জার্মানির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জিআইজেড জানার চেষ্টা করছে, কোন প্রকল্প দিয়ে টেকসইভাবে প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতিদের বাঁচানো যায়৷ এখানে শুধু বিক্রিবাটার কথা ভাবলে চলবে না৷ ব্রিডাররা শুধু তখনই বিক্রি করতে পারবেন, যদি তারা তার আগে কিছু প্রাণীকে মুক্তি দিয়ে থাকেন৷ ততদিন অবধি খামারটা চলবে মেক্সিকোর সংরক্ষিত এলাকা পরিষদের অর্থানুকুল্যে৷
কচ্ছপ এক অদ্ভুত জীব
২৩শে মে ছিল বিশ্ব কচ্ছপ দিবস৷ কচ্ছপরা বিপন্ন প্রাণীদের মধ্যে পড়ে, অর্থাৎ ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হতে চলেছে কচ্ছপ৷ চলুন, কিছু বিখ্যাত কচ্ছপের সঙ্গে আপনাদের আলাপ করিয়ে দেওয়া যাক৷
ছবি: picture-alliance/All Canada Photos
প্রাগৈতিহাসিক
প্রাণীজগতের প্রাচীনতম বাসিন্দাদের মধ্যে পড়ে এই কচ্ছপরা৷ কচ্ছপদের যেসব ফসিল বা জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে, তা থেকে বোঝা যায় যে, কচ্ছপরা বিশ কোটি বছর আগেও পৃথিবীতে ছিল৷ জলজ কচ্ছপরা আছে অন্তত পনেরো কোটি বছর ধরে৷
কচ্ছপরা সবরকমের প্রাকৃতিক বিপর্যয় সামলে উঠেছে, এমনকি তুষার যুগও সামলে এখনো টিকে আছে৷ প্রাপ্তবয়স্ক কচ্ছপদের আসলে মানুষের চেয়ে বড় কোনো শত্রু নেই৷ জাহাজের নাবিক আর মাল্লারা এককালে কচ্ছপ ধরে খেতো৷ আজও কিছু কিছু কচ্ছপের মাংস অতীব উপাদেয় বলে গণ্য করা হয়৷ বাকিরা কচ্ছপ না খেলেও, তাদের ডিম পাড়ার জায়গা দখল করছে...৷
ছবি: picture-alliance/All Canada Photos
কচ্ছপ ট্র্যাজেডি
এই কচ্ছপটির নাম ‘লোনসাম জর্জ’, ‘নিঃসঙ্গ জর্জ’৷ এখন তাকে মমি করে মিউজিয়ামে রাখা হয়েছে৷ এই বিশাল কচ্ছপটি হার্ট ফেল করে মারা যায় ২০১২ সালে৷ আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৯৭১ সালে ইকুয়েডরের কাছে গালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জে৷ পরে নিঃসঙ্গ জর্জের গোটা সতেরো জ্ঞাতি-গুষ্টি আবিষ্কৃত হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
দু’শ বছরের বৃদ্ধা
নিঃসঙ্গ জর্জের বয়স হয়েছিল প্রায় একশো বছর, শেষে ওজন দাঁড়িয়েছিল ৯০ কিলোগ্রাম৷ ছবিতে যাকে দেখা যাচ্ছে, সেই এসমেরেল্ডা-র কাছে তা কিছুই নয়৷ এসমেরেল্ডা থাকেন সেশেল দ্বীপপুঞ্জের বার্ড আইল্যান্ডে৷ তিনি নাকি জীবিত কচ্ছপদের মধ্যে সবচেয়ে প্রবীণ: বয়স দু’শ বছর হলেও আশ্চর্য নেই৷ ওজন ৮০০ কিলোগ্রামের কিছু বেশি৷
ছবি: Wikipedia/Tribalninja
১১২ বছর ধরে পেনশন!
টিমোথির জন্ম ১৮৪৪ সালের আশেপাশে৷ ১৮৫৪ সালে ক্যাপ্টেন কোর্টনে এভারার্ড পর্তুগিজ জলদস্যুদের জাহাজে খুঁজে পান এই কচ্ছপটিকে৷ পরের ৩৮ বছর ধরে টিমোথি বিভিন্ন ব্রিটিশ জঙ্গিজাহাজে মাস্কট হয়ে ঘুরে বেরিয়েছে৷ অবসর নেয় ১৮৯২ সালে৷ অবসরজীবন কাটে পাউডারহ্যাম ক্যাসলের গোলাপ বাগানে৷ ১১২ বছর পেনশন ভোগ করার পর টিমোথি দুনিয়া ছাড়ে ২০০৪ সালে৷ ও হ্যাঁ, টিমোথি নাম হলে কি হবে, সে কিন্তু ছেলে নয়, মেয়ে কচ্ছপ৷
ছবি: gemeinfrei
কচ্ছপের সাইজ যখন এক্সএক্সএল!
গালাপাগোস বা সেশেল দ্বীপপুঞ্জের কচ্ছপরা এক মিটার কিংবা তার বেশি লম্বা হতে পারে, কিন্তু সামুদ্রিক কচ্ছপরা আরও বড়৷ ছবিতে যে লেদারব্যাক টার্টল কচ্ছপটিকে দেখা যাচ্ছে, সে আড়াই মিটার লম্বা, ওজন ৯০০ কিলোগ্রাম৷ অপরদিকে স্পেকল্ড কেপ টর্টয়েজ প্রজাতির পুরুষ কচ্ছপরা মাত্র ৮ সেন্টিমিটার লম্বা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/AP Photo/D.McFadden
যেমন ওজন, তেমনি গতি
লেদারব্যাক টার্টলরা অতিকায় বলে তাদের মন্থর ভাবার কোনো কারণ নেই৷ প্রয়োজনে তারা ঘণ্টায় ৩৫ কিলোমিটার গতিতে সাঁতরাতে পারে৷ তাদের বাচ্চারা ডিম ফুটে বেরিয়েই পানির দিকে দৌড়ায়৷ অন্যদিকে গফার কচ্ছপরা থাকে শুকনো ডাঙায়, যেখানে তাদের গতিবেগ হয় ঘণ্টায় ২১০ মিটার থেকে ৪৮০ মিটার , মিটারে বলা হলো, যাতে গফার কচ্ছপরা মাইন্ড না করে!
ছবি: picture-alliance/Photoshot
ভারসাম্য
কথায় বলে না, কিন্তু বলা যায়: কচ্ছপের জান! তবে মানুষের সঙ্গে যুঝে ওঠার ক্ষমতা আছে কি তাদের? অস্ট্রেলিয়ার এক ওসেনোগ্রাফার বলেছেন, ‘‘আমরা তাদের সাহায্য না করলে কচ্ছপদের অস্তিত্বের সংকট৷’’ কথাটা ভাববার মতো - শুধু বিশ্ব কচ্ছপ দিবসেই নয়৷
ছবি: picture-alliance/All Canada Photos
8 ছবি1 | 8
জিআইজেড-এর ‘বায়োমার' কর্মসূচির কর্মী সোনিয়া গত্রো জানালেন, ‘‘এই প্রকল্পের কিছু ইতিবাচক ফলশ্রুতি আছে৷ যেমন যে সব পরিবার আগে মাছ ধরত, কুমিরের খামার করে তাদের একটা বিকল্প রোজগারের পথ খুলবে৷ পরিবার চালানোর মতো না হলেও, এর ফলে পরিবেশের ওপর চাপ কমবে৷ এছাড়া স্থানীয় কুমিরদের সংখ্যা বাড়বে৷''
মেক্সিকোর সংরক্ষিত এলাকা পরিষদ সদ্য ক্যালিফর্নিয়া উপসাগরের উপকূলবর্তী খাড়িগুলোতে ১২০টি জীয়ন্ত কুমির ছেড়েছে৷ কুমিরের ডিম পাড়ার মতো বয়স হতে দশ বছর সময় লেগে যায়৷ এলাকার জেলেরা কুমিরদের ভয় পেলেও, পরিবেশ সুরক্ষায় কুমিরদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে৷
মেক্সিকোর সংরক্ষিত এলাকা পরিষদ ‘কনানপ'-এর আলব্যার্তো মেন্দোথা ফ্লোরেস বললেন, ‘‘কুমিররা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ ওরা শিকারি জীব, ওরা অন্যান্য প্রাণীদের সংখ্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখে৷ কুমিররা বিশেষ করে অসুস্থ জন্তু-জানোয়ার শিকার করে৷ শুধুমাত্র সুস্থ পাখি,সরীসৃপ বা মাছেরা যাতে এই পরিবেশে বাঁচে, সেটা নিশ্চিত করে কুমিররা৷''
ঝিনুক চাষ
প্রাণীবৈচিত্র্যে গাল্ফ অফ ক্যালিফর্নিয়াকে বিশ্বের সমৃদ্ধতম সামুদ্রিক এলাকাগুলির মধ্যে ফেলা যায়৷ শুধু এখানেই ১৮টি সংরক্ষিত এলাকা আছে৷ যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বিরোধ লেগেই থাকে৷ এখানকার মানুষ ঝিনুকের চাষ করেন৷ আগে তার জন্য ডাল কাটা হতো উপকূলের ম্যানগ্রোভ বা শ্বাসমূল অরণ্য থেকে৷ ঝিনুকের চাষ আবার জলের উৎকর্ষ বাড়ায়, কেননা ঝিনুক হানিকর পদার্থ ছেঁকে বার করে নেয়৷ কিন্তু ঝিনুক চাষে কিছু কিছু পরিবর্তন আনতে হয়েছে৷ ঝিনুকচাষি হোসে আঙ্খেল সেখা গনসালেস জানালেন, ‘‘আগে অনেকে ম্যানগ্রোভ থেকে ডাল কাটত, ফলে গাছগুলো আর বাড়তেই পারত না৷ মারিমাস একটা সংরক্ষিত এলাকা হবার পরে আমরা আর ম্যানগ্রোভের গাছ কাটি না৷''
সাতটি সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা
পরিবেশবাদীদের উদ্যোগের কারণেই হোক কিংবা বিভিন্ন দেশের সরকারের সচেতনতা বাড়ার কারণেই হোক, বিশ্বের কয়েকটি স্থানে সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা গড়ে উঠেছে৷ ছবিঘরে থাকছে এমন সাতটি অঞ্চলের কথা৷
ছবি: picture-alliance/Wildlife
গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ মেরিন পার্ক
অস্ট্রেলিয়ার উত্তরপূর্ব উপকূল জুড়ে থাকা গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের একটি বড় অংশকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে৷ সেখানে মাছ ধরা নিষিদ্ধ৷ আর সামুদ্রিক জাহাজগুলোর জন্যও নির্দিষ্ট রুট নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে৷
ছবি: imago/blickwinkel
প্যাসিফিক রিমোট আইল্যান্ডস মেরিন ন্যাশনাল মনুমেন্ট
আয়তনের দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংরক্ষিত সামুদ্রিক এলাকা৷ প্রশান্ত মহাসাগরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি দ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা এই সংরক্ষিত এলাকায় সবুজ কচ্ছপ, বিভিন্ন রকমের ঝিনুক, হাঙর, কাঁকড়া, ডলফিন, তিমি ইত্যাদি বাস করে৷
ছবি: imago/blickwinkel
গালাপাগোস মেরিন রিজার্ভ
এখানে এমন সব প্রাণীর দেখা পাওয়া যায় যেগুলো বিশ্বের আর কোথাও নেই৷ গালাপাগোস মেরিন রিজার্ভের দেখভাল করে ইকুয়েডর৷ উন্নয়নশীল বিশ্বের নিয়ন্ত্রণে থাকা সবচেয়ে বড় সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা এটি৷
ছবি: imago/Westend61
বোয়ি সিমাউন্ট মেরিন প্রোটেক্টেড এরিয়া
ক্যানাডার উপকূল থেকে ১৮০ কিলোমিটার পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগরের পানির নীচে একটি আগ্নেয়গিরি রয়েছে৷ নাম ‘বোয়ি সিমাউন্ট’৷ সেখানকার প্রাণিজগৎ বেশ সমৃদ্ধ৷
ছবি: BR
চাগোস দ্বীপপুঞ্জ
মালদ্বীপ থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণে ভারত মহাসাগরে এই দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত৷ ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা এই অঞ্চলকে ২০১০ সালে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়৷
ছবি: NASA Johnson Space Center/Image Science & Analysis Laboratory
দ্য শ্লেসভিশ-হলশ্টাইন ভাডেন সি ন্যাশনাল পার্ক
জার্মানির সবচেয়ে বড় ন্যাশনাল পার্ক৷ আয়তন ৪,৪১০ বর্গকিলোমিটার৷ ২০০৯ সালে এর নাম ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
দ্য পেলাগোস স্যাঙ্কচুয়ারি ফর মেডিটেরেনিয়ান মেরিন ম্যামলস
ফ্রান্স ও ইটালি ঘেঁষে ভূমধ্যসাগরের যে অংশ রয়েছে সেখানে বসবাস করা স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বাঁচাতে এই অভয়ারণ্য গড়ে তোলা হয়েছে৷ এটাই এখন পর্যন্ত বিশ্বের একমাত্র সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা যেটি দুটো দেশ জুড়ে অবস্থিত৷
ছবি: picture-alliance/Wildlife
7 ছবি1 | 7
ঝিনুক চাষ এই এলাকার একটা সফল প্রকল্প৷ মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষ ও জিআইজেড সংস্থা ঠিক এই ধরনের সব প্রকল্প খুঁজছেন, যা অন্যান্য এলাকাতেও চালু করা যেতে পারে৷ সোনিয়া গত্রো বললেন, ‘‘জলাভূমি অঞ্চলে পরিবেশের হানি না ঘটিয়ে যে কী করা সম্ভব, তা এখানে দেখা যায়৷ আমাদের ‘বায়োমার' কর্মসূচিতে আমরা অন্যান্য এলাকাতেও এদের উদাহরণ দেখিয়েছি৷''
দানিয়েল রিয়স অলমেদা ক্যালিফর্নিয়া উপসাগরের সবচেয়ে পুরনো সংরক্ষণ প্রকল্পটির পরিচালক৷ গত ৪১ বছর ধরে তিনি সামুদ্রিক কাছিমদের রক্ষাকর্তা৷ এই কাছিমরা যাতে বিলুপ্ত না হয়, সেটা নিশ্চিত করাই তাঁর লক্ষ্য৷ দানিয়েল বললেন, ‘‘এই ৪১ বছরে আমি ৪০ থেকে ৪৫ লাখ কাছিমদের সাগরে ছেড়ে দিতে পেরেছি৷''
আজ তিনি স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলের ছেলে-মেয়েদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন: সকলে মিলে একসঙ্গে বেবি কাছিমদের মুক্তি দেবেন৷ ক্ষুদে কাছিমরা তাদের আদিম প্রবৃত্তি অনুযায়ী সোজা সাগরের দিকে দৌড় দেয় আর এই স্কুলের বাচ্চারাই তখন তাদের বাবা-মায়েদের বলে, ‘না বাবা, তুমি আর কাছিম ধরতে পারবে না৷' বেবি কাছিমদের মধ্যে অতি অল্পই এতদিন বেঁচে থাকবে যে, তারা আবার ডিম পাড়ার জন্য এই বেলাভূমিতে ফিরে আসবে৷ তবুও এই সংরক্ষণ প্রকল্প কাজ দিয়েছে বৈকি৷