1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উন্নতির পথে কি আণবিক শক্তির উপর নির্ভর করার প্রয়োজন নেই?: মসুদ মান্নান

২৫ জুলাই ২০১১

ফুকুশিমার দুর্ঘটনার পর পরমাণু শক্তি নিয়ে বিতর্ক চলছে৷ বাংলাদেশ জ্বালানির চাহিদা মেটাতে পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করছে৷ বার্লিনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান এই ভাবনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন৷

40th Independence Day of Bangladesh. Bangladesh celebrated its 40th anniversary of independence on March 26, 2011. The Embassy of Bangladesh in Berlin organised an event to mark this occassion. Ambassador Mosud Mannan hoisted the national flag and delivered a speech. Foto: Botschaft von Bangladesch, Berlin, Zulieferer: Sanjiv Burman
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নানছবি: Botschaft von Bangladesch, Berlin

বাংলাদেশের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং সেদেশে জ্বালানির ক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন হয়ে গেল জার্মানির বন শহরে৷ ২১ থেকে ২৩শে জুলাই বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা নানা মতামত, প্রস্তাব ও ভবিষ্যৎ দিশায় অগ্রগতির পথ সম্পর্কে আলোচনা করলেন৷ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে জ্বালানির কোন উৎস বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত? – এই প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বললেন, একদিকে বিকল্প জ্বালানির বিকাশের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অবশ্যই কাজ করে যাবে৷ কিন্তু অন্যদিকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে অর্থনৈতিক উন্নতির স্বার্থে বর্তমান চাহিদা মেটাতে আণবিক শক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দিলে চলবে না৷

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নানছবি: DW

সম্প্রতি জার্মানির উন্নয়ন সাহায্য মন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে গিয়ে পরমাণু বিদ্যুতের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন৷ জাপানের ফুকুশিমায় দুর্ঘটনার জের ধরে জার্মানি পরমাণু শক্তি বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এমন কোনো উদ্যোগ না নেওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি৷ এমন এক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ কোন পথে অগ্রসর হবে? রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান বললেন, জার্মানির মতো শিল্পোন্নত দেশ বহুকাল পরমাণু শক্তির ব্যবহার করে আজ উন্নতির শিখরে এসে পৌঁছেছে৷ বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে জার্মানি এমন পরামর্শ দিতেই পারে৷ কিন্তু দেশের মানুষের কল্যাণে বাংলাদেশকে জ্বালানির চাহিদা ও নিরাপত্তার মধ্যে একটা ভারসাম্য খুঁজতে হবে৷

বাংলাদেশ ভূমিকম্প-প্রবণ এলাকার মধ্যে পড়ে৷ ঘূর্ণিঝড় বা বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও সেখানে বিরল ঘটনা নয়৷ এত ঝুঁকি সত্ত্বেও বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলার কোনো যৌক্তিকতা থাকতে পারে কি? এই প্রশ্নের উত্তরে মান্যবর রাষ্ট্রদূত মনে করিয়ে দিলেন, সরকার এখনো এবিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় নি৷ প্রাথমিক এই পরিকল্পনা নিয়ে সব পর্যায়ে তর্ক-বিতর্কের পরই দেশের স্বার্থে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ