স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতিপত্র পেয়েছে বাংলাদেশ৷ অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের সামনে এখনও বহুমুখী চ্যালেঞ্জ৷ এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান কাজ অর্থনীতির ভিতকে শক্তিশালী করা৷
বিজ্ঞাপন
এই স্বীকৃতিপত্র পাওয়ার মাধ্যমে জাতিসংঘের বিবেচনায় উন্নয়নশীল দেশের পথে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো৷ জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসক) উন্নয়ন নীতিবিষয়ক কমিটি (সিডিপি) শুক্রবার বাংলাদেশের এ যোগ্যতা নিশ্চিত করেছে৷
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ বিষয়ে এক ঘোষণায় বাংলাদেশের এ যোগ্যতা অর্জনের তথ্য দেয়া হয়েছে৷ সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশ হবে বাংলাদেশ৷
ইউনূসের ক্ষুদ্রঋণ চলছে জার্মানিতেও
শুধুমাত্র উন্নয়নশীল দেশেই দারিদ্র্যমোচনে সহায়তা করছে না ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প৷ নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের এই উদ্ভাবন এখন উন্নত বিশ্বেও গুরুত্ব পাচ্ছে৷ জার্মানি এক্ষেত্রে সৃষ্টি করেছে উদাহরণ৷ এই বিষয়ে আমাদের ছবিঘর৷
ছবি: Getty Images
সিলভিয়ার গল্প
বাড়িতে বাড়িতে চিঠিপত্র বিলি করতে করতেই জার্মানির সিলভিয়া হ্যোয়েনটিংগার একটি বিষয় লক্ষ্য করেন৷ অনেক বাড়ির ছাদে বসানো হয়েছে সোলার প্যানেল৷ তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে, এসব প্যানেল পরিষ্কার করা হয় কিভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে ক্ষুদ্রঋণের সন্ধান পান তিনি৷
ছবি: privat
দু’হাজার ইউরো দিয়ে শুরু
সিলভিয়া আবিষ্কার করেন, সোলার প্যানেল পরিষ্কারের কাজ তেমন কেউ করছে না৷ অথচ মাত্র দু’হাজার ইউরো দিয়ে মেশিন কিনে এই কাজ করা সম্ভব৷ কিন্তু সাধারণ ব্যাংক এত কম টাকা ঋণ দিতে রাজি নয়৷ সিলভিয়া তখন ক্ষুদ্রঋণের সহায়তা নেন৷
ছবি: DW/G.Rueter
জার্মানিতে ক্ষুদ্রঋণ
২০১০ সালের আগ পর্যন্ত উন্নত অর্থনীতির কারণে জার্মানিকে ক্ষুদ্রঋণের অনুপযুক্ত মনে করা হতো৷ কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি ভিন্ন৷ ২০১০ সালে জার্মান সরকার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় এদেশে চালু হয় ক্ষুদ্রঋণ তহবিল৷ এই তহবিল থেকে ঋণ নেয়ার হার দ্রুতই বাড়ছে৷
ছবি: Fotolia/apops
ক্ষুদ্রঋণ দিচ্ছে ৬০টি প্রতিষ্ঠান
জার্মান মাইক্রোফিন্যান্স ইন্সটিটিউটের ইয়র্গ শ্যুলমান জানান, জার্মানিতে বর্তমানে ৬০টির বেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্রঋণ সহায়তা দিচ্ছে৷ তাদের ঋণ দেওয়ার পরিমাণ তিন হাজার থেকে ২০ হাজার ইউরোর মধ্যে৷ (প্রতীকী ছবি)
ছবি: Fotolia/Guido Grochowski
চাহিদা বাড়ছে
শুধু জার্মানি নয়, গোটা ইউরোপেই ক্ষুদ্রঋণের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে৷ মার্কিন পত্রিকা ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের’ এক জরিপ বলছে, ইউরোপে ২০০৮ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ক্ষুদ্রঋণের চাহিদা এক তৃতীয়াংশ বেড়েছে৷ শুধু স্পেনেই এই সময়ের মধ্যে ক্ষুদ্রঋণের সহায়তা নিয়েছেন ৭৫ হাজার ব্যবসায়ী৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: picture-alliance/dpa
সুদের হার লাভজনক নয়
ইয়র্গ শ্যুলমান জানান, জার্মানিতে ক্ষুদ্রঋণ দানের ক্ষেত্রে সুদের হার এখন মাত্র দশ শতাংশ৷ এই হার ঋণদাতাদের জন্য লাভজনক নয়৷ তবে সরকার এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে সহায়তা দিচ্ছে৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: picture-alliance/dpa
সন্তুষ্ট সিলভিয়া
ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে সোলার প্যানেল পরিষ্কারের কাজ শুরু করা সিলভিয়া হ্যোয়েনটিংগার কিন্তু সন্তুষ্ট৷ শুরুর দিকে বছরে আশিটির মতো কাজের অর্ডার পেতেন তিনি৷ এখন সেই অর্ডারের পরিমাণ প্রায় তিনগুণ বেড়েছে৷ একেকটি অর্ডার থেকে তাঁর আয় তিন থেকে চারশো ইউরো৷ ফলে ঋণের টাকা শোধ করা কোনো বিষয়ই নয়৷
ছবি: Fotolia/Marco2811
ক্ষুদ্রঋণের জনক মুহাম্মদ ইউনূস
২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয় করেন মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংক৷ বিশ্বের একমাত্র ব্যাংক হিসেবে এই সম্মাননা অর্জন করে গ্রামীণ ব্যাংক৷ অধ্যাপক ইউনূস তাঁর ক্ষুদ্রঋণের ধারণা কাজে লাগিয়ে আশির দশকে ব্যাংকটি গড়ে তোলেন৷ বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের আরো অনেক দেশে সাফল্য দেখিয়েছে ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প৷
ছবি: Getty Images
8 ছবি1 | 8
তবে নতুন এই অর্জন বাংলাদেশের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ বয়ে আনবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা৷ কেননা স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাণিজ্য ও বৈদেশিক ঋণে যেসব বাড়তি সুযোগ রয়েছে, সেগুলোর সবকিছু থাকবে না৷ অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন হলে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে মানুষের জীবনমানের ক্রমাগত উন্নতি করা সম্ভব৷
বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন জানান, ২০২১ সালে দ্বিতীয় পর্যালোচনা করবে সিডিপি৷ ২০২৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এ উত্তরণকে অনুমোদন দেবে৷ বাংলাদেশের অগ্রগতি এখন যেভাবে আছে, তার কোনো বড় ধরনের ব্যত্যয় না ঘটলে ২০২৪ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছাবে৷
‘তিনটি সূচকেই যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ, যা এর আগে অন্য কোনো দেশের ক্ষেত্রে ঘটেনি’
উন্নয়নশীল দেশ হলে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ কি হবে, জানতে চাইলে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘‘উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি একটা মর্যাদার বিষয়৷ বাংলাদেশকে সবাই তখন আলাদাভাবে বিচার করবে৷ এর আগে বহু দেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের যোগ্য বলে স্বীকৃতি পেয়েছে৷ কিন্তু মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা- এ তিনটি সূচকেই যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ, যা এর আগে অন্য কোনো দেশের ক্ষেত্রে ঘটেনি৷ তবে উন্নয়নশীল দেশ হলে বাংলাদেশ এলডিসি হিসেবে বাণিজ্যে যে অগ্রাধিকার পায় তার সবটুকু পাবে না৷ আবার বৈদেশিক অনুদান, কম সুদের ঋণও কমে আসবে৷’’
তিনি বলেন, ‘‘এলডিসি হিসেবে বাংলাদেশ আঞ্চলিক বা দ্বিপাকি চুক্তির অধীনে বিভিন্ন দেশে জিএসপি বা শুল্কমুক্ত পণ্য রপ্তানি সুবিধা পায়৷ এর সঙ্গে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডাব্লিউটিও) আওতায় নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অনেক দেশ আমাদের শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে৷ আবার এলডিসি হিসেবে ওষুধ রফতানির ক্ষেত্রে মেধাস্বত্ব সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বিধিবিধান থেকে আমাদের অব্যাহতি রয়েছে৷ উন্নয়ন সহযোগীরা বাংলাদেশকে কম সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে থাকে৷ এলডিসি না থাকলে তখন সুবিধাগুলো পাওয়া যাবে কি সেটা একটা প্রশ্ন৷ যেমন- ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন যে জিএসপি দেয়, তা ২০২৭ সাল পর্যন্ত থাকবে৷ এরপর জিএসপি প্লাস পাওয়ার কথা রয়েছে৷’’
ড. জাহিদ হোসেন জানান, বাংলাদেশ ২০১৫ সালের জুলাই মাসে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়৷ মাথাপিছু আয়ের বিবেচনায় এ শ্রেণিকরণ করে বিশ্বব্যাংক৷ জাতিসংঘ তার সদস্য দেশগুলোকে স্বল্পোন্নত (এলডিসি), উন্নয়নশীল এবং উন্নত- এ তিন শ্রেণিতে বিভক্ত করে৷ বাংলাদেশ ১৯৭৫ সাল থেকে এলডিসি পর্যায়ে রয়েছে৷
‘যেসব ইনস্টিটিউশন এখনো দুর্বল, সেগুলোকে আরো উন্নত করতে হবে’
জাতিসংঘের উন্নয়ন নীতি কমিটি (সিডিপি) গত ১২ থেকে ১৬ মার্চ এলডিসি দেশগুলোর ওপর ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা বৈঠকে বসে৷ মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা- এ তিনটি সূচকের দু’টিতে উত্তীর্ণ হলে কোনো দেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়৷ তবে শুধু মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতেও কোনো দেশ যোগ্য হতে পারে৷ সে ক্ষেত্রে মাথাপিছু আয়ের যে মানদণ্ড রয়েছে ওই দেশের মাথাপিছু আয় তার দ্বিগুণ হতে হবে৷
২০১৮ সালের পর্যালোচনায় এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা হিসেবে মাথাপিছু আয়ের মানদণ্ড হতে হয় ১২৩০ মার্কিন ডলার৷ বিশ্বব্যাংক প্রণীত অ্যাটলাস পদ্ধতির হিসাবে গত তিন বছরের গড় মাথাপিছু আয় ওই পরিমাণ হতে হবে৷ ওই পদ্ধতিতে গত তিন বছরে বাংলাদেশের গড় মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ১২৭৪ মার্কিন ডলার৷ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে মাথাপিছু আয় আরও বেশি, তাদের হিসাবে গত অর্থবছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১৬০৫ ডলার৷
পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘‘উত্তরণের সব পর্যায়েই কিছু চ্যালেঞ্জ থাকে৷ এগুলো মোকাবেলার প্রস্তুতি নিতে হবে৷ এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটার তিন বছর পর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বর্তমান জিএসপি সুবিধা থাকবে না৷ উন্নয়নশীল দেশগুলো ইইউতে জিএসপি প্লাস সুবিধা পায়৷ বাংলাদেশকে তার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে৷ এলডিসি না থাকলে বাংলাদেশ অন্যান্য দেশেও অনেক ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে না৷ এজন্য বিমসটেক, বিবিআইএনের মতো আঞ্চলিক উদ্যোগের সুবিধা কীভাবে কার্যকরভাবে নেওয়া যায় তার প্রস্তুতি থাকতে হবে৷ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, প্রতিযোগিতা সমতা আরও বাড়াতে হবে৷ কেননা শুল্কমুক্ত সুবিধা না থাকলে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাবে৷ পাশাপাশি আমাদের যেসব ইনস্টিটিউশন এখনো দুর্বল, সেগুলোকে আরো উন্নত করতে হবে৷ সেটা অর্থনৈতিক ইনস্টিটিউশনই হোক আর রাজনৈতিক ইনস্টিটিউশনই হোক৷’’
বাংলাদেশ ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘এভরিথিং বাট আর্মস’ উদ্যোগের আওতায় পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে৷ বাংলাদেশ মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার, পরিবেশ ও সুশাসন বিষয়ে ইইউর নিয়ম-কানুনের শর্ত পূরণ করলে জিএসপি প্লাস নামে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা পাবে বলে জানান ড. আহসান এইচ মনসুর৷
ব্যবসা পেতে যেসব দেশ বেশি ঘুস দেয়
দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বা টিআই প্রতিবছর দুর্নীতির সূচক প্রকাশ করে৷ মাঝেমধ্যে তারা ঘুস নিয়েও কাজ করে৷
ছবি: Imago/blickwinkel
চুক্তি পেতে
একটি দেশের বড় কোম্পানি অন্য দেশের রাস্তাঘাট, সেতুসহ সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন কাজ সম্পাদনের সুযোগ পেতে অনেকসময় ঘুসের সহায়তা নিয়ে থাকে৷ অর্থাৎ কাজের অর্ডার পেতে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে ঘুস দিয়ে থাকে৷ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বা টিআই এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছে৷
ছবি: Imago/Xinhua/Lyu Tianran
ঘুস দাতা সূচক
হ্যাঁ, ১৯৯৯ সালে টিআই প্রথমবারের মতো এই শীর্ষক একটি সূচক প্রকাশ করে৷ এরপর মোট পাঁচবার সূচক প্রকাশ করেছে সংস্থাটি৷ সবশেষটি করেছে ২০১১ সালে৷ সেই সময় ২৮টি দেশকে সূচকের আওতায় নিয়ে আসা হয়৷ এই দেশগুলো বিশ্বব্যাপী পণ্য, সেবা ও বিনিয়োগ লেনদেনের প্রায় ৮০ শতাংশের সঙ্গে জড়িত৷
ছবি: Imago/blickwinkel
রাশিয়া শীর্ষে
অর্থাৎ রুশ কোম্পানিগুলো অন্যদেশের কন্ট্রাক্ট পেতে সবচেয়ে বেশি ঘুসের আশ্রয় নিয়েছে৷ এরপর আছে চীন৷ ২০১০ সালে এই দু’টি দেশের কোম্পানিগুলো নিজ দেশের বাইরে ১২০ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ বিনিয়োগ করেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Litvinenko
অন্যদিক দিয়ে শীর্ষে নেদারল্যান্ডস
ইউরোপের এই দেশের কোম্পানিগুলো অন্যদেশে কার্যাদেশ পেতে সবচেয়ে কম ঘুসের সহায়তা নিয়েছে৷ তারপর ক্রমান্বয়ে আছে সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম আর জার্মানি৷
ছবি: Colourbox/jonnysek
নয়-এ ভারত
সবচেয়ে বেশি ঘুস দেয়া দেশের তালিকায় ভারত আছে নয় নম্বরে৷ এছাড়া ইন্দোনেশিয়া আছে চার আর সৌদি আরব সাত-এ৷
ছবি: Getty Images
কোন খাতে বেশি ঘুস
ঘুস লেনদেন হয় এমন ১৯টি খাতেরও তালিকা করেছে টিআই৷ এতে দেখা যাচ্ছে, সরকারি কাজের চুক্তি পেতে সবচেয়ে বেশি ঘুস লেনদেন হয়৷ এরপরেই আছে নির্মাণকাজ, সেবা, রিয়েল স্টেট, তেল, গ্যাস, মাইনিং ইত্যাদি৷
ছবি: DW/M. Mamun
ঘুসের নেতিবাচক দিক
টিআই বলছে, বিদেশি কোম্পানিগুলোর ঘুস দেয়ার বিষয়টি বিভিন্ন দেশের মানুষের ভালমন্দের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে৷ এতে করে কন্ট্রাক্ট দেয়ার বিষয়টি পক্ষপাতহীন হয় না, মৌলিক জনসেবার গুনগত মান কমে যায়, প্রতিযোগিতামূলক বেসরকারি খাত গড়ে ওঠার সুযোগ ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যায়৷
ছবি: picture alliance/CTK
৩০ দেশের উপর গবেষণা
বিদেশ বিনিয়োগ বেশি হয় এবং আমদানি বেশি করে এমন বড় ৩০টি দেশের সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৩,০১৬ জন কর্মকর্তার উপর জরিপ করে সূচকটি তৈরি করেছে টিআই৷