1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উপকূলে গৃহহীনদের জন্য বানানো ঘর যেন আরেক বিপদ

২৮ মে ২০১২

বাংলাদেশের উপকূলীয় ১১ জেলায় সিডর এবং আইলার পর গৃহহীনদের জন্য ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে ২৭ হাজারেরও বেশি ঘর বানানো হলেও তা এখন আরেক বিপদে পরিণত হয়েছে৷

ছবি: DW

ঐসব ঘরে বসবাসকারীরা প্রতিনিয়ত এখন বন্যা আর জলোচ্ছ্বাসের শিকার৷ বিশ্লেষকরা বলছেন এই ঘর নির্মাণে কোন সুষ্ঠু পরিকল্পনা ছিলনা৷ আর ভুক্তভোগীরা বলছেন, সরকারের টাকা জলে ঢালা হয়েছে৷

উপকূলীয় বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার বদনী খালির চর৷ প্রমত্তা বিষখালী নদীর তীরের এই চরেই সিডর এবং আইলার পর গৃহহীনদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়৷ কিন্তু সব হারিয়ে যারা এইসব ঘরে আশ্রয় পেয়েছেন তারা এখন নতুন করে বিপদে পড়েছেন৷ সিডর আইলা তাদের একবার ভাসিয়েছে৷ আর এখন প্রতিদিন ভাসছেন বিষখালী নদীর জলে৷ সারাক্ষণ তারা থাকেন ভয় আর আতঙ্কের মধ্যে৷

স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মী খলিলুর রহমান এবং ইউপি সদস্য আব্দুস সোবহান শিকদার জানান, ৬০টি পরিবারকে এই চরে ঘর দেয়া হয়েছিল৷ কিন্তু অনেকেই টিকতে না পেরে চলে গেছেন নিরাপদ কোনো আশ্রয়ে৷

পরিস্থিতি ঠিক এরকমছবি: DW

দক্ষিণের ১১ জেলায় এরকম প্রায় ২৭ হাজার ঘর বানানো হয়৷ এরমধ্যে জাপান সরকারের সহায়তায় ৭২৪টি ব্যারাক, সৌদি সরকারের সহায়তায় ১৬,৫০০টি ঘর এবং ভারতের অর্থ সহায়তায় ২,৮০০টি ঘর বানানো হয়েছে৷ আর জলবায়ু ট্রাস্টের ফান্ডে ৮,১০০ ঘরের নির্মাণ কাজ এখন চলছে৷ এর কোনোটি আধাপাকা আবার কোনোটি টিনের তৈরি৷

নদী তীরেই বানানো হয়েছে এসব ঘর৷ ফলে বিপদ পিছু ছাড়েনি৷ কিন্তু ঢাকায় ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জহিরুল হক ডয়চে ভেলেকে জানান, নদীর তীরেই সরকারের অধিকাংশ খাস জমি৷ তাই তারা সেখানেই ঘর তৈরি করেছেন৷

বিদেশি অর্থে বানানো আশ্রয়ছবি: DW

তবে একথা মানতে নারাজ বাংলাদেশ সেন্টার ফর এ্যাডভান্স স্টাডিজ-এর নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান৷ তিনি জানান কোন সমন্বিত পরিকল্পনা ছাড়াই এসব ঘর বানানো হয়েছে৷ এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তদের মতামত নেয়া হয়নি৷ ফলে এসব ঘর তেমন কাজে আসছে না৷

বাংলাদেশে উপকূলীয় এলাকায় সিডর বা আইলার মত প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর সহায়তা আসে৷ আসে বিদেশি অর্থ৷ আর তা খরচ হয় দুর্গতদের নামে৷ কিন্তু তাদের বিপদ কাটেনা৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ