1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উপকূল বাঁচাতে প্রকৃতির সঙ্গে আপোশ

৩ জুলাই ২০১৭

নদীর পাড়ের ভাঙন হোক, অথবা সমুদ্র উপকূলের ক্ষয় – এর পেছনে মানুষের কার্যকলাপ অনেকাংশেই দায়ী৷ প্রকৃতির কাজে হস্তক্ষেপ করার বদলে প্রকৃতির সঙ্গে মানিয়ে চললেই উপকার হয়, যেমনটা জার্মানির উত্তর সাগর উপকূলে দেখা যাচ্ছে৷

Michigansee
ছবি: picture alliance/AP Photo/Traverse City Convention & Visitors Bureau

শীতকালে জোয়ার এলে সবার আগে উত্তর সাগরের দ্বীপগুলি পানির নীচে চলে যায়৷ তখন প্রায় ৬ মিটার পর্যন্ত উঁচু ঢেউ উপকূলে আছড়ে পড়ে৷ হালিগেন নামের ক্ষুদ্র দ্বীপপুঞ্জ পানির স্তরের বেড়ে চলা উচ্চতার কারণে হুমকির মুখে পড়ছে৷ হালিশ হোগে শহরের মেয়র মাটিয়াস পিপগ্রাস বেশ কয়েক বছর ধরে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘হালিগেন দ্বীপপুঞ্জ চরম হুমকির মুখে রয়েছে৷ কারণ, আমাদের বার বার দেখতে হচ্ছে, যে উত্তর সাগর ফুলে ফেঁপে উঠলেই আমাদেরও টিলার উপর চলে যেতে হচ্ছে৷''

প্রত্যেকবার বন্যার ফলে বালুতট ও জমির অংশ উধাও হয়ে যায়৷ উপকূলবর্তী এলাকার মানুষ অতীতে কৃত্রিম বাঁধ তৈরি করে বন্যা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছেন৷ তবে তাতে কাজ হয়নি৷ প্রাচীর কয়েক মিটার উঁচু শক্তিশালী ঢেউ আটকাতে পারেনি৷ হয় তা ভেঙে গেছে, কিংবা বালির নীচে ডুবে গেছে৷

এর আরও বড় কুফল হলো, প্রাচীরের অন্য দিকে শক্তিশালী স্রোত জমি ডুবিয়ে দিয়েছে৷ অর্থাৎ উপকূলের সুরক্ষার বদলে প্রাচীর তার ভাঙন তরান্বিত করেছে৷ সর্বশক্তি প্রয়োগ করে সমুদ্রকে ঠেকিয়ে রাখার প্রচেষ্টা আজকের দিনে কতটা প্রাসঙ্গিক – বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব যখন হিসাব করা সম্ভব?

গবেষকরা উপকূল সুরক্ষার নতুন পথ খুঁজছেন৷ সমুদ্রতটে জীবনযাত্রা নিরাপদ রাখতে কী করা উচিত? বিজ্ঞানীদের আইডিয়া হলো, উপকূল এলাকার মানুষকেই জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে ঘর করতে শিখতে হবে, সমুদ্রের পানিকে ভিতরে আসতে দিতে হবে৷ এমন আইডিয়ার কথা শুনলে প্রথমে অবাক লাগতে পারে, কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে গবেষকদের সঙ্গে একমত হতেই হয়৷ মেরিন বায়োলজিস্ট কার্স্টেন রাইসে বলেন, ‘‘অনেক কাল ধরে সৈকতের একেবারে কাছে হোটেল তৈরি করা হয়েছে৷ কাঠের থামের সারি বসানো হয়েছে, সিমেন্টের তৈরি বোল্ডারের স্তূপ সৃষ্টি করা হয়েছে৷ কিন্তু উত্তর সাগর তার ফাঁক দিয়ে বালি শুষে নিয়েছে৷ তখন অন্য জায়গা থেকে বালি এনে ঘাটতি পূরণ করা হয়েছে৷''

কয়েক বছর ধরে উপকূল সুরক্ষার এই নতুন পদ্ধতি জার্মানির স্যুল্ট দ্বীপে প্রয়োগ করা হচ্ছে৷ প্রতি শীতে কয়েক মিটার উচ্চতার বালু সমুদ্রে ধুয়ে যায়৷ ফলে উপকূলবর্তী এলাকার সুরক্ষা দুর্বল হয়ে পড়ে৷ তখন লম্বা পাইপের সাহায্যে বালু সরবরাহ করে উপকূলকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়৷

উপকূল থেকে সামান্য দূরত্বে একটি জাহাজ সমুদ্রের তলদেশ থেকে বালু শুষে নিয়ে পাইপের মাধ্যমে সমুদ্রতটে তা ছড়িয়ে দেয়৷ এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রায় ১০ লক্ষ বর্গ মিটার বালু উদ্ধার করা হয়৷ প্রতি বছর এর জন্য প্রায় ৬০ লক্ষ ইউরো ব্যয় হয়৷ শীতে যা হারিয়ে যায়, গ্রীষ্মে তা আবার উদ্ধার করা হয়৷

হালিগেন থেকেও গবেষকরা শিক্ষা নিচ্ছেন৷ ছোট ও উর্বর এই দ্বীপগুলি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র কয়েক মিটার উপরে অবস্থিত৷ পানির ঢেউ থেকে বাঁচতে দ্বীপবাসীরা টিলার উপর বাড়ি তৈরি করেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ