লক্ষ্যণহীন করোনা নিয়ে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। এ ধরনের রোগীদের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা অতি বিরল বলেই মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিজ্ঞাপন
করোনা ভাইরাস কি অ্যাসিম্পটমেটিক বা লক্ষ্যণহীন রোগীর মাধ্যমে ছড়াতে পারে? প্রশ্নটি নতুন নয়। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানের মতো দেশে প্রশ্নটি অত্যন্ত জরুরি। কারণ এই দেশগুলিতে লক্ষ্যণহীন রোগীর সংখ্যা বেশি। ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, এ দেশে এখনও পর্যন্ত যা করোনা পরীক্ষা হয়েছে, তার প্রায় ৮০ শতাংশই লক্ষ্যণহীন রোগী। অর্থাৎ, করোনার কোনও উপসর্গ তাদের শরীরে ছিল না। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকরা মনে করছিলেন, এই লক্ষ্যণহীন রোগীদের মাধ্যমেই গোষ্ঠীর ভিতর করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। কিন্তু সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেছে, লক্ষ্যণহীন রোগীর মাধ্যমে করোনা ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা অসম্ভব না হলেও বিরল। ফলে এই বিষয়টি নিয়ে ভয় পাওয়ার কারণ নেই।
করোনার পাশাপাশি আত্মহত্যার আতঙ্ক
এক নারীর আত্মহত্যা করোনা সংকট নিয়ে নতুন ভাবনায় ফেলেছে থাইল্যান্ডকে৷ কাজ হারানোর হতাশা আর দুর্ভাবনায় কেউ আত্মঘাতী হতে চাইলে তাকে বাঁচিয়ে রাখাও এখন বড় চ্যালেঞ্জ৷ দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Reuters/A. Perawongmetha
করোনা কাড়ছে বাঁচার আগ্রহ?
২০১৯ সালে থাইল্যান্ডে প্রতিমাসে গড়ে ৩৬৮ জন আত্মহত্যা করেছিলেন৷ এ বছরের প্রথম চার মাসে তা ৩৫০-এ নেমে আসে৷ তবে করোনার কারণে লকডাউন শুরুর পর থেকে পরিস্থিতি আবার খারাপ হচ্ছে৷ কাজ হারানো অনেকেই খুঁজছেন আত্মহননের পথ৷
ছবি: Colourbox
চিরপ্রস্থানে প্রতিবাদ
জাপানি এক রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন নিতিওয়াদি সায়-তিয়া৷ ভালোই ছিলেন৷ লকডাউন শুরুর পরও আপনজনদের সঙ্গে কথা বলতেন ফোনে, ভিডিও চ্যাটে৷ কিন্তু ৫০ বছর বয়সি এই নারী চাকরি হারানোর হতাশা বেশিদিন সহ্য করতে পারেননি৷ আত্মহত্যা করেন নিজের ঘরেই! ওপরে ঘর থেকে তার মৃতদেহ বের করে নেয়ার দৃশ্য৷
ছবি: Reuters/A. Perawongmetha
যেভাবে জানা গেল...
বেশ কিছুদিন নিতিওয়াদির সাড়া-শব্দ না পাওয়ায় তার চাচি প্রাফাই ইয়োদপ্রাদিত-এর ভীষণ চিন্তা হচ্ছিল৷ একদিন চলে যান নিতিওয়াদির বাড়িতে৷ গিয়ে যা দেখেছিলেন তা বলতে গেলে এখনো কান্নায় ভেঙে পড়েন ইয়োতপ্রাদিত, ‘‘ভেতরে ঢুকেই থ হয়ে যাই আমি৷ দেখি মেঝেতে পড়ে আছে ওর নিথর দেহ!’’
ছবি: Reuters/A. Perawongmetha
নিতিওয়াদি একা নন
লকডাউন শুরুর পর থেকে থাইল্যান্ডে আত্মহত্যা আবার বাড়ছে৷ এ বছরের প্রথম চারমাসে আত্মহত্যা আগের বছরের তুলনায় কমলেও মে মাসে আবার সংখ্যাটা আবার বাড়তে শুরু করে৷ জাতীয় আত্মহত্যা প্রতিরোধ কেন্দ্রের পরিচালক নাত্তাকর্ন চাম্পাথং মনে করেন, ‘‘ছয় মাস পর (করোনা) সংকট শেষ হলে থাই সরকারকে খুব বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে৷’’
ছবি: Reuters/A. Perawongmetha
অপ্রতুল উদ্যোগ
কাজ হারানো মানুষদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার৷ করোনার কারণে বেকারত্ব বরণ করা মানুষদের তিন মাসে ১৫ হাজার বাথ, অর্থাৎ ৪৬০ ডলার দেয়া হচ্ছে৷ কিন্তু এই প্রণোদনা প্রয়োজনের তুলনায় এত কম যে আকস্মিকভাবে বেকার হওয়া মানুষদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুর্ভাবনা কমছে না, আত্মহত্যা চলছেই৷
ছবি: Reuters/A. Perawongmetha
অল্পের জন্য বেঁচে যাওয়া একজন
৫৯ বছর বয়সি উন্নাকরম বুব্রাসার্টও হতাশা থেকে মুক্তির জন্য বেছে নিয়েছিলেন আত্মহননের পথ৷ নিজের ঘরে আত্মহত্যা করতে গেলে এতদিনে শেষকৃত্য হয়ে যেতো তার৷ তবে তিনি চেয়েছিলেন সবার হয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে জীবন থেকে বিদায় নিতে৷ আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন থাইল্যান্ডের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামনে৷ কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে সফল হতে দেননি৷
ছবি: Reuters/A. Perawongmetha
নতুন জীবনের অপেক্ষায়
উন্নাকরম বুব্রাসার্ট-এর জীবনে আবার স্বচ্ছলতা ফিরেছে৷ সরকার দিয়েছে বিশেষ অনুদান, দেশের মানুষও সামর্থ অনুযায়ী দাঁড়িয়েছে প্রায় ষাট ছুঁই ছুঁই এই নারীর পাশে৷ করোনা বিদায় হবে, সবার জীবনে ফিরবে স্বাভাবিক ছন্দ, আবার একটা চাকরি জুটবে- এ আশা পূরণের দিন গুনছেন উন্নাকরম বুব্রাসার্ট৷
ছবি: Reuters/A. Perawongmetha
7 ছবি1 | 7
গোটা পৃথিবীতে এই মুহূর্তে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৩৪। মৃত্যু হয়েছে চার লাখ আট হাজার মানুষের। সুস্থ হয়েছেন ৩৫ লাখ। সংখ্যার নিরিখে এখনও সব চেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অ্যামেরিকায়। তারপরেই ব্রাজিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ব্রাজিলকে ঘিরে দক্ষিণ অ্যামেরিকায় দ্রুত ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। অন্য দিকে, ইউরোপ এবং অ্যামেরিকায় দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে। তারই মধ্যে খুলে গিয়েছে দোকান, রেস্তোরাঁ, অফিস। মানুষ ঘরের বাইরে বেরোতে শুরু করে দিয়েছেন। ফলে করোনার সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সে কথা মাথায় রেখেই সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিটি দেশ এবং জনগণকে সতর্ক করেছে। তাদের বক্তব্য, প্রায় ছয় মাস ধরে করোনার সঙ্গে লড়াই চলছে। সেই লড়াই একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে। এখন একটু অসতর্ক হলে এতদিনের সমস্ত প্রয়াস নষ্ট হয়ে যাবে। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, অতীত নয়, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েই তাদের সব চেয়ে বেশ উদ্বেগ। এবং সে কারণেই বার বার তারা সতর্ক করছে।
দীর্ঘ লকডাউনের পরে আনলক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ভারতে। প্রথম দিনেই বোঝা গিয়েছে, সাধারণ মানুষকে ঘরের ভিতর আটকে রাখা যাবে না। কলকাতা, দিল্লিতে বাসে বাঁদুর ঝোলা হয়ে মানুষ কাজে গিয়েছে। ভারতের ভিতর মহারাষ্ট্রে সংক্রমণের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। সেখানেও সোমবার বহু মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে একটি বিষয় নিয়েই চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ। আনলক পর্বে সংক্রমণ আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে না তো?
যেভাবে মানবদেহে আক্রমণ করে করোনা ভাইরাস
শুধু ফুসফুস নয় বরং করোনা ভাইরাসের আক্রমণে মানুষের হৃৎপিণ্ড, স্নায়ু, মস্তিষ্ক, কিডনি, ধমনি এবং ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷ ঘটতে পারে মৃত্যু৷
ছবি: picture-alliance/dpa/imageBROKER
হৃৎপিণ্ড
বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে করোনা ভাইরাসের কারণে হৃৎপিণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপ থাকা ব্যক্তিদের কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর হার অনেক বেশি৷ কিন্তু যাদের হৃদরোগ নেই তারাও আক্রান্তের পর হৃৎপিণ্ডের পেশির কোষ মারা যায়৷ তবে ভাইরাসের আক্রমণে কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় নাকি ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরের তৈরি রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার কারণে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/imageBROKER
ফুসফুস
কোভিড-১৯ এ ফুসফুস সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ ফুসফুস জটিলতাতেই বেশির ভাগ মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ যারা সুস্থ হয়ে উঠেন তাদের ফুসফুসও দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ কারণ, সুস্থদের ফুসফুসে ঘোলাটে সাদা মেঘের মত বস্তু দেখতে পেয়েছেন চীনের গবেষকরা৷ যেটা ফুসফুসের স্থায়ী ক্ষতির ইঙ্গিত দেয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Gollnow
শ্বাসকষ্ট
ফুসফুসের এই অবস্থা হলে রক্তে অক্সিজেন পৌঁছাতে বাধা পাবে৷ ফুসফুস আড়ষ্ট হয়ে পড়বে এবং শ্বাসপ্রশ্বাস ছোট ও দ্রুত গতির হবে৷ ফলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট এবং শুকনো কফ দেখা দেবে৷ ফুসফুসের কোষ একবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটা আর ঠিক হয় না৷
ছবি: Reuters/D. Siddiqui
স্নায়ুতন্ত্র
কোভিড-১৯ আক্রান্ত ৮০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে তাদের স্বাদ এবং ঘ্রাণ শক্তি নষ্ট হয়ে গেছে৷ সংক্রমণের একেবারে শুরুর দিকেই এ উপসর্গ দেখা দেয়৷ সাধারণ ফ্লুর ক্ষেত্রে যেটা রোগের চূড়ান্ত পর্যায়ে হয়৷ ঘ্রাণ শক্তি বা অলফ্যাক্টরি নার্ভ অনুনাসিক ঝিল্লি থেকে খুলির হাড়ের মাধ্যমে সরাসরি মস্তিষ্কে পৌঁছায়৷
ছবি: Colourbox
ধমনি
জুরিখের একদল প্যাথলোজিস্ট করোনায় মারা যাওয়া কয়েকজনের ময়নাতদন্ত করে দেখেছেন কারো কারো রক্তনালি এবং লাসিকা গ্রন্থি ফুলে গিয়ে সেগুলোতে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ যার ফলে হৃৎপিণ্ড, কিডনিসহ অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এক সঙ্গে বিকল হয়ে মানুষ মারা যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Burgi
মস্তিষ্ক
মার্স এবং সার্স ভাইরাসের সময়ও মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা গেছে৷ নতুন করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রেও আক্রান্ত অনেকের খিচুনি এবং মৃগীরোগের চিকিৎসা দিতে হয়েছে৷ এ কারণেই হয়তো আক্রান্ত অনেকের মধ্যে কোনো পূর্ব লক্ষণ ছাড়াই তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়৷ তবে করোনা ভাইরাসের কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ার বিষয়ে এখনো পরিষ্কার কিছু জানা যায়নি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Prefeitura Manaus/I. Anne
কিডনি
কোভিড-১৯ আক্রান্ত অনেকের শরীরে মারাত্মক নিউমোনিয়ার লক্ষণ থাকে এবং ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন হয়৷ ফুসফুসে জমা তরল বের করতে ওই রোগীদের যে ওষুধ দেওয়া হয় তাতে তাদের পুরো শরীর থেকে তরল বের হয়ে যায়৷ ফলে কিডনিতে রক্ত সরবরাহ কমে যায় এবং কিডনি ঠিকমত কাজ করতে না পেরে অকেজো হয়ে পড়ে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Murat
রক্তপিণ্ড
কোভিড-১৯ এ গুরুতর আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে অনেক সময় রক্ত জমাট বেধে রক্তনালি বন্ধ হয়ে যায়৷ এটার কারণেও অনেক সময় কিডনিতে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে এ অঙ্গটি অকেজো হয়ে পড়ে৷
করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের ত্বকও ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ অনেক দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের ত্বকে ক্ষত বা র্যাশ সৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে৷ রক্ত জমাট বাধার কারণে ত্বকের নিচে এ ধরনের র্যাশ দেখা যায়৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Wessels
9 ছবি1 | 9
অনেকেই বলছেন, ভারতে করোনার সর্বোচ্চ সময় এখনও আসেনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অনেকের আশঙ্কা, যত লোকের শরীরে করোনা ধরা পড়ছে তার চেয়েও বেশি মানুষের শরীরে করোনার জীবাণু লুকিয়ে আছে। লক্ষ্যণঁহীন বলে তাঁদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। আনলক পর্বে তাঁদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। কিন্তু সোমবার এক প্রশ্নের উত্তরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দাবি করেছে, যাঁদের শরীরে করোনার লক্ষ্যণ নেই, তাঁদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা কম। প্রায় নেই বললেই চলে।
প্রশ্ন হলো, লক্ষ্যণ না থাকলে ভারতে জানা গেল কী করে যে সেখানে ৮০ শতাংশ উপসর্গহীন রোগী? স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বক্তব্য, করোনার উপসর্গ নিয়ে যাঁরা হাসপাতালে আসছেন, তাঁদের ট্র্যাক করতে গিয়ে বহু উপসর্গহীন রোগী পাওয়া যাচ্ছে। চিকিৎসক সাত্যকি হালদার ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''ভারতে কতজন আক্রান্ত হচ্ছেন, কতজন মারা যাচ্ছেন এবং কতজন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ফিরছেন, তার পরিসংখ্যান দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোনও চিকিৎসা ছাড়াই কতজন এমনি এমনি সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন, সেই নথি নেই। থাকলে বোঝা যেত, সেই সংখ্যাটাই সব চেয়ে বেশি।''
সাত্যকিবাবুর মতে এর পিছনে দুইটি কারণ থাকতে পারে, এক, ভারতের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠ যুবকের দেশে শরীরে করোনার সঙ্গে লড়াই করার মতো ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা তৈরি হয়ে গিয়েছে অথবা করোনা শক্তি হারিয়েছে। বহু বিশেষজ্ঞেরই বক্তব্য, এখানে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা দ্রুত গড়ে উঠেছে। তাই লক্ষ্যণহীন রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮০ শতাংশ।