1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন সু চি

১৮ জানুয়ারি ২০১২

মিয়ানমারের বিরোধী নেত্রী অং সান সু চি দেশের সংসদে আসন অর্জনের ঐতিহাসিক উদ্যোগ নিলেন৷ আগামী পহেলা এপ্রিলের উপ-নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে নাম নিবন্ধন করেছেন তিনি বুধবার রাজধানী ইয়াঙ্গনের অদূরে কাওমু এলাকায়৷

Myanmar's democracy icon Aung San Suu Kyi, center, receives flowers from supporters as she leaves the Yangon District Election Commission after submitting a candidates' list of her National League for Democracy for the upcoming parliamentary by-election on Wednesday, Jan.18, 2012, in Yangon, Myanmar. Suu Kyi registered to run for a seat representing Kawhmu, a poor district south of Yangon where villagers' livelihoods were devastated by Cyclone Nargis in 2008. (AP Photo/Khin Maung Win)
জনগণের বিপুল উচ্ছ্বাসের মাঝে সু চিছবি: dapd

সু চি'র এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে হাজার হাজার সমর্থক৷ শেষ পর্যন্ত সু চি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছেন৷ সু চি'র দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি এনএলডি-র একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, ‘‘এনএলডি-র পক্ষ থেকে অং সান সু চি-ই হলেন প্রথম প্রার্থী যিনি নাম নিবন্ধন করালেন৷ তিনি সংসদের নিম্নকক্ষের আসনের জন্য লড়বেন৷'' মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী এই রাজনৈতিক দলটিকে দেশের সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছে মিয়ানমার সরকার৷ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশাধিকার পেয়েছে এনএলডি৷ সামরিক বাহিনীর সমর্থনপুষ্ট থেই সিন-এর বর্তমান অসামরিক সরকার সংস্কারের যে পদক্ষেপগুলো নিচ্ছে, এটা তারই সুফল৷

২০১০ সালে এনএলডি-কে বৈধ রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করতে অস্বীকার করে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা৷ কারণ দলটি তখন সাধারণ নির্বাচন বয়কট করেছিল এবং প্রকাশ্যেই জানিয়েছিল নির্বাচনের নিয়মকানুন নিরপেক্ষ নয়, এভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না৷

মিয়ানমার সংসদের বর্তমান অবস্থা

মিয়ানমারের সংসদের বেশির ভাগ আসনই সামরিক কর্মকর্তাদের দখলে৷ রাজনৈতিক দল ইউনিয়ন সলিডারিটি এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ইউএসডিপি দলের সদস্যদের বেশিরভাগই হল সাবেক সামরিক কর্মকর্তা৷ প্রায় আশি শতাংশ আসনে তারা অধিষ্ঠিত৷

উপ-নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে নাম নিবন্ধন করলেন সু চিছবি: dapd

এপ্রিল মাসের উপ-নির্বাচনে নিম্নকক্ষের প্রায় ৪৮টি আসনের জন্য প্রার্থীরা লড়বেন৷ তবে মাত্র ৪৮টি আসন দিয়ে সামরিক সরকারের মোকাবিলা করা একটু কঠিনই হবে৷ তবে অনেকেই মনে করছেন, সু চি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন তাতে হয়তো অনেকেই জোর পাবেন, হারিয়ে যাওয়া শক্তি খুঁজে পাবেন৷ মিয়ানমার গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তা নির্বাচনে সু চির অংশগ্রহণ মধ্যে দিয়েই প্রমাণিত হচ্ছে৷

২০১০ সালের নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের অনেকেই এখন মন্ত্রী এবং উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷ তাদের আসনগুলো শূন্য৷ সেই আসনগুলোই পূরণ করা হবে এপ্রিলের উপ-নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে৷

এপ্রিলের নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, নিরপেক্ষ হবে – আশ্বাস দিল সরকার

পশ্চিমের চাপ আছে মিয়ানমারের উপর৷ সুষ্ঠু গণতন্ত্রের পথে না গেলে তার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হবেনা৷ সরকার তাই নিজেও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে৷ বার্তা সংস্থা এএফপিকে সোমবার সামরিক সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, ‘‘গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া মিয়ানমারের সামনে আর কোন পথ খোলা নেই৷'' তিনি বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, এপ্রিল মাসের নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে৷ সংসদের নিম্নকক্ষের স্পিকার শোয়ে মান জানান,‘‘আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে এপ্রিলের নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে, সুষ্ঠু হবে৷''

বুধবারই ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনৈতিক সূত্রে বলা হয়েছে, আরও সংস্কারের পথ প্রশস্ত করতে ইইউ এমনকি ফেব্রুয়ারি নাগাদ মিয়ানমারের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার কথা বিবেচনা করতে পারে৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ