ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের উরিতে যে জঙ্গি হামলার হয়ে গেল, তার সমুচিত জবাব কী হওয়া উচিত তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কঠিন পরিস্থিতির সন্মুখীন আজ৷ দিল্লির অভিযোগ, পাকিস্তানের নেপথ্য মদতেই জঙ্গি গোষ্ঠী জয়স-ই-মহম্মদের কাজ এটা৷
বিজ্ঞাপন
উরি সেনা শিবিরের ওপর গত রবিবারের জঙ্গি হানার পর, তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মোদী সরকারের তরফে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলা হয়, এর সমুচিত শাস্তি দিতে হবে৷ ১৮ জন ভারতীয় সেনার জীবনদানকে বিফলে যেতে দেওয়া হবে না৷
আর সেটা ঠিক কী হতে পারে, কীভাবে হতে পারে – তা নিয়ে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে চলে দীর্ঘ বৈঠক৷ একাংশ চাইছে যুদ্ধে না গিয়ে সীমান্তের ওপারে পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নির্দিষ্ট জঙ্গি ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করতে, সামরিক ভাষায় যাকে বলা হয় ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক'৷ বিশেষজ্ঞরা অবশ্য সতর্ক করে দিয়েছেন যে, সেটা করতে গেলে পরিস্থিতি হয়ত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে৷ আর তেমনটা হলে হিতে বিপরীত ফল হতে পারে৷ অতীতে এ ধরনের জঙ্গি হামলার পর সেই কারণেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি৷ যেমন ২০০১ সালে সংসদে হামলা, ২০০৮ সালে কাবুলে ভারতীয় দূতাবাসের জঙ্গি হামলা, আবার ঐ একই সালে মুম্বই সন্ত্রাসীকাণ্ড এবং এ বছর পাঠানকোট বিমান ঘাঁটিতে জঙ্গি হানা৷ এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে ভারত ও পাকিস্তান – দু'টি দেশই পরমাণু শক্তিধর৷
নিশ্চিতভাবে কিছু বলার সময় না আসলেও, প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ বলছে পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী জয়স-ই-মহম্মদ এবং তার নেপথ্য মদতদাতা পাকিস্তান এর জন্য দায়ী৷
আবার এমনও হতে পারে যে, ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর কথিত দমন-পীড়নের বদলা নিতে স্থানীয় জঙ্গিরাই এ হামলা চালিয়েছে৷ তবে যেভাবে অতি সুসংহত ও পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয় এবং যে ধরনের অত্যাধুনিক সাজ-সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়, তা স্থানীয় জঙ্গিদের পক্ষে সম্ভব নয়৷ অর্থাৎ কোনো না কোনো পর্যায়ে সীমান্তপারের হাত ছিল৷ সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের ভূমিকা উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷ পাকিস্তান অবশ্য ভারতের অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, পাকিস্তানকে দায়ী করা ভারতের একটা স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
কাশ্মীর সমস্যার সমাধান কি সম্ভব?
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সাম্প্রতিক সহিংসতা আবারো এই প্রশ্নকে উস্কে দিয়েছে৷ কি চায় কাশ্মীরের জনগণ? আর ভারত সরকার কি সেখানকার পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে? কাশ্মীরের বর্তমান সংকট নিয়েই এই ছবিঘর৷
ছবি: Getty Images/AFP/T.Mustafa
সংঘর্ষের সূত্রপাত
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ৮ জুলাই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কথিত সংঘর্ষে স্থানীয় হিজবুল মুজাহিদীন কমান্ডার বুরহান ওয়ানি নিহত হওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে৷ বুরহান নিহত হওয়ার প্রতিবাদে হাজার হাজার ক্ষুব্ধ জনতা সড়কে নেমে নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর ইট পাটকেল ছুড়লে পাল্টা গুলি চলে তাদের ওপর৷ সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৪০ এরও বেশি নিহত হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/D. Yasin
কারফিউয়ে জনজীবন অচল
কাশ্মীরি নেতাদের বনধের ডাকে সমগ্র কাশ্মীর উপত্যকার জনজীবন স্তব্ধ হয়ে গেছে৷ কারফিউ জারি করেও নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছে না প্রতিবাদকারীদের৷ অন্যদিকে, খাবার ও ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে৷ মোবাইল ও ইন্টারনেট এবং ট্রেন সার্ভিস বন্ধ রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Khan
আরো সেনা মোতায়েন
সাম্প্রতিক উত্তেজনার কারণে চলতি সপ্তাহে ওই অঞ্চলে বাড়তি ৮শ’ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Khan
নিহতদের বেশিরভাগই তরুণ
সাম্প্রতিক সহিংসতার নিহত ৪৪ জনের মধ্যে বেশিরভাগই বয়সে তরুণ৷ তাদের বয়স ১৬ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে৷ আহতদের মধ্যে অনেক শিশু ও নারী রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Khan
দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারে শতাধিক মানুষ
চিকিৎসকদের আশঙ্কা, কারফিউয়ের কারণে প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং রক্তের অভাবে আরো অনেকের মৃত্যু হতে পারে৷ প্রায় শতাধিক মানুষের চোখে শটগানের গুলি লেগেছে বলে জানিয়েছেন তারা৷ দ্রুত চিকিৎসা না হলে তারা দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন৷
ছবি: Reuters/D.Ismail
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক
কাশ্মীরে চলমান সহিংসতা নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তান অভিযোগ করায় দু’পক্ষের সম্পর্ক আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে৷ পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে ভারত সরকারের অস্বস্তি বেড়েছে৷ ইসলামাবাদে সার্কভুক্ত দেশগুলোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ যাবেন কি না, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Press Information Bureau
চাপে মোদী সরকার
কাশ্মীর পরিস্থিতির কারণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী অভ্যন্তরীণ চাপের মুখেও পড়তে পারেন বলে সরকারের একাংশের আশঙ্কা৷ প্রশ্ন উঠতে পারে, মোদীর পাকিস্তান নীতি নিয়েও৷ নরেন্দ্র মোদী সরকারের শুরুটাই হয়েছিল পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির বার্তা দিয়ে৷ পাঠানকোট হামলার পর পরিস্থিতি বদলে যায়৷ আর কাশ্মীর ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিন্দায় চাপে পড়েছে মোদী সরকার৷
ছবি: DW/J. Akhtar
কাশ্মীর কার ভূখণ্ড?
ভারত ও পাকিস্তান উভয় রাষ্ট্রই কাশ্মীরকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে৷ দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে ওই অঞ্চলটি নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে আছে পরমাণু শক্তিধর এই দুই রাষ্ট্র৷ এই সময়ের মাঝে দুটি দেশই দুইবার বড় ধরনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Singh
যে কারণে সহিংসতা
মুসলিম অধ্যুষিত ওই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাশ্মীরের স্বাধীনতার লক্ষ্যে অস্ত্র তুলে নেয়৷ এরপর থেকে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি এবং সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায়ই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাশ্মীর পরিস্থিতি৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Tauseef
9 ছবি1 | 9
ভারতের বিশেষজ্ঞ মহলের অভিমত, সামরিক হঠকারিতায় না গিয়ে ভারতে উচিত কূটনৈতিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক ইস্যু করে তোলা এবং পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিচ্ছিন্ন করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করা৷ এই যেমন, জাতিসংঘের চলতি অধিবেশনে পাকিস্তানের ভূমিকা তুলে ধরা৷ পাশাপাশি পাকিস্তানের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতা বন্ধ করা৷ বিশ্বের কাছে এটাও প্রমাণ করা যে, ভারত এক উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি এবং এক শান্তিকামী রাষ্ট্র৷ এছাড়া কূটনৈতিকভাবে তুলে ধরা প্রয়োজন বালুচিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন৷ দ্বিতীয়ত, সমস্যার শীর্ষবিন্দু কাশ্মীর ইস্যুর সমাধান করা৷ সেজন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলিকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসা দরকার৷ সেই লক্ষ্যে এক সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল হালে গিয়েছিলেন শ্রীনগরে৷ কিন্তু বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দরজা খোলেনি৷ তাই জাতিসংঘ কিংবা আন্তর্জাতিক মহলের উচিত এক গ্রহণযোগ্য সমাধানে আসতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলির ওপর চাপ বাড়ানো৷ বলা বাহুল্য, ভারতের অখণ্ডতার সঙ্গে আপোষ না করে৷
এছাড়া আরও একটা বড় প্রশ্ন উঠেছে৷ সেটা হলো, ভারতের সামরিক ঘাঁটিগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গলদ আছে কিনা, তাই নিয়ে৷ তা না হলে পাঠানকোট বিমান ঘাঁটি এবং উরি সেনা ছাউনির মতো এলাকার দুর্ভেদ্য নিরাপত্তার বেড়া ভেঙে কীভাবে জঙ্গিরা হামলা চালাতে পারে? কেন জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে বারংবার ব্যর্থ হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী? তবে কি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগসাজস আছে, যাদের মাধ্যমে জঙ্গিরা আগাম সব খোঁজখবর পাচ্ছে? এক্ষেত্রে ভারতের গোয়েন্দা ব্যবস্থার দিকেই উঠেছে আঙুল৷
ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পেছনে কি পাকিস্তানের হাত আছে? লিখুন নীচের ঘরে৷
বিশ্বের কয়েকটি বিপজ্জনক সীমান্ত
দুই দেশের মধ্যে সীমানা নিয়ে যুদ্ধ কিংবা উন্নত জীবনের আশায় এক দেশের নাগরিকের প্রতিবেশী দেশে যাওয়া – ইত্যাদি কারণে বিশ্বের কয়েকটি সীমান্ত বিপজ্জনক বলে পরিচিত৷ ছবিঘরে থাকছে সেগুলোর কথা৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত
এই সীমান্তের ৪০টি ‘স্পর্শকাতর’ অংশে ‘লেজার’-এর বেড়া দেয়া হবে বলে জানিয়েছে ভারত৷ পাকিস্তান থেকে ভারতে অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে এই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে৷ এর ফলে বেড়ার সংস্পর্শে কিছু আসলে উচ্চস্বরে সাইরেন বেজে উঠবে৷ ২০১১ সালের জুনে ‘ফরেন পলিসি’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৮০০ মাইল দীর্ঘ এই সীমান্তে নিহত হয়েছে এক লক্ষ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ৷ প্রতিবেদনটি পড়তে উপরে ‘+’ চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: Arif Ali/AFP/Getty Images
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ এর হাতে ৪৬ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে৷ আহত হয়েছে ৭৩ জন৷ এছাড়া অপহরণ করা হয়েছে ৫৯ জনকে৷ কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত শিগগিরই বেড়া দেয়ার কাজ শেষ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানান৷
ছবি: Str/AFP/Getty Images
যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত
উন্নত জীবনের আশায় মেক্সিকো থেকে প্রতিবছর অনেক মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করেন৷ আর তা করতে গিয়ে প্রাণ যায় অনেকের৷ আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম-এর ২০১৪ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, গত ১৪ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে ৬,০০০ এর বেশি লোক নিহত হয়েছে৷ প্রতিবেদনটি পড়তে উপরে ‘+’ চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: Gordon Hyde
ভূমধ্যসাগর
যুদ্ধ আর সংঘাত এড়াতে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরোপে শরণার্থী প্রবেশ করছে৷ এদের একটি বড় অংশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগরপথে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করে৷ এতে প্রাণ যায় অনেকের৷ জার্মান ম্যাগাজিন ‘ডেয়ার স্পিগেল’ গত অক্টোবরে এক প্রতিবেদনে ভূমধ্যসাগরকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সীমান্ত বলে আখ্যা দেয়৷ ২০১৫ সালে ভূমধ্যসাগরে নিহতের সংখ্যা ছিল ৩,৭৭০৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/S. Palacios
আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত
প্রায় দেড় হাজার মাইল দীর্ঘ ‘ডুরান্ড লাইন’ নামে পরিচিত সীমান্ত এখনও মেনে নেয়নি আফগানিস্তান৷ পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখা রাজ্যের পশতুন অধ্যুষিত এলাকা নিজেদের বলে দাবি করে আফগানিস্তান৷ এই সীমান্তকে ঘিরে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে৷
ছবি: Reuters
উত্তর কোরিয়া-দক্ষিণ কোরিয়া
বিশ্বের সবচেয়ে সামরিক সজ্জায় সজ্জিত সীমান্ত বলা হয় একে৷ ১৯৫৩ সালে কোরিয়া যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর প্রায় দেড়শো মাইল দীর্ঘ এই সীমান্তের দুই পাশ থেকে সৈন্যদের সরিয়ে দেয়া হয়৷ তখন থেকেই দুই দেশের সৈন্যরা প্রায় আড়াই মাইল প্রশস্ত এই সীমান্তের দুই পাশে অবস্থান করছে৷