উরুগুয়ের অন্যরকম ‘বিচ বাস’
১৩ আগস্ট ২০২৫
তবে সেখানে একটি অন্যরকম ট্রাক চলে৷ এই ট্রাকে উঠতে প্রতিবছর কয়েক হাজার পর্যটক সেখানে ছুটে যান৷
কাবো পোলোনিওতে স্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা ১০০ জনেরও কম৷ গ্রীষ্মের ছুটির সময় কয়েক হাজার পর্যটক সেখানে যান৷ বেশিরভাগ দর্শনার্থীর জন্য সেখানে পৌঁছানোর একমাত্র উপায় একটি অনন্য ট্রাক, যা ‘বিচ বাস' নামেও পরিচিত৷ এডিসন লরেঞ্জো এমন এক ট্রাক চালান৷ তিনি বলেন, ‘‘এটিই একমাত্র জায়গা যেখানে আপনি এই ধরণের পরিবহণ পাবেন৷ কারণ কাবো পোলোনিও স্বতন্ত্র৷ এখানে আপনি ট্রাকে করে আট কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করতে পারেন, যে পথের প্রাকৃতিক দৃশ্য খুব সুন্দর৷''
বিরল প্রজাতির ব্যাঙ এবং উদ্ভিদের আবাসস্থল হওয়ায় ট্রাকগুলোকে শুধুমাত্র একটি সরু রাস্তা ধরে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়৷
সবধরনের পথে চলতে পারা এসব ট্রাক উরুগুয়ের সেনাবাহিনী ব্যবহার করতো৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামরিক বাহিনী থেকে এগুলো কেনা হয়েছিল৷ প্রতিটির আলাদা নাম আছে, সজ্জাও ভিন্ন৷ বেশিরভাগই চার চাকার ট্রাক, তবে কিছু ছয় চাকারও আছে৷
সেখানে ট্রাক চালানো একটি পারিবারিক ব্যবসা৷ বংশ পরম্পরায় এটি চলে আসছে৷ একজন চালক ফেডেরিকো কার্ডোজা জানান, ‘‘আমার বাবা এই কোম্পানির মালিক৷ তিনি সারা জীবন এখানেই কাটিয়েছেন৷ আমার ১৩ বছর বয়স থেকে আমি গাড়ি চালাচ্ছি৷''
আরেকজন চালক আগুস্টিনা নুনিয়েজ৷ একই বংশের সদস্য নুনেজ রঙিন ট্রাক চালান৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি মা'র কাছ থেকে শিখেছি৷ তিনি ১৯৮৯ সালে এই ট্রাকগুলো চালানো প্রথম নারী ছিলেন৷ তাই আমি যখন ছোট ছিলাম তখন সবসময় তার সঙ্গে চড়তাম৷ এই ট্রাকের নাম মেডুসা, কারণ, আমি মেডুসার গল্পটি সত্যিই পছন্দ করি৷ আর সাপ আর রঙ৷''
যাত্রীদের জন্য কাবো পোলোনিওতে আসার অন্যতম আকর্ষণের হলো এই লাফানো, দোলানো ট্রাক যাত্রা৷
জোয়েল ডুলরয়/জেডএইচ