ঢাকার সড়কে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা ভিআইপিদের জন্য আলাদা লেন করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন নগর পরিকল্পনাবিদ, পরিবহণ বিশেষজ্ঞ ও পরিবহণ মালিকরা৷ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও বইছে সমালোচনার ঝড়৷
বিজ্ঞাপন
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, ‘‘ঢাকায় একই সড়কে ভিআইপি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ পুলিশের জরুরি সেবা দিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থার গাড়ি চলাচলে রাজধানীতে আলাদা লেন করার সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাইয়ের প্রস্তাব দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ৷ সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়কে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সম্প্রতি এ প্রস্তাব দেয়৷''
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘‘বিশেষ করে ইমার্জেন্সি সার্ভিসের জন্য আলাদা লেন দরকার৷ ভিআইপিরা এত গুরুত্বপূর্ণ নন৷ অ্যাম্বুলেন্সে যে লোকটা মারা যাচ্ছেন, তাঁর জন্য ইমার্জেন্সি সার্ভিস দরকার৷ এছাড়া ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের অনেক সময় ইমার্জেন্সি সার্ভিস দরকার হয়৷''
মন্ত্রিসভা সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগকে ভিআইপিদের জন্য আলাদা একটা লেন করার জন্য কোনো নির্দেশনা দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘‘মন্ত্রিসভা এটা বলেনি৷ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটা ‘নর্মাল' অনুরোধ করা হয়েছে, বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখার জন্য৷''
ঢাকার প্রধান সমস্যা যানজট
এক কোটিরও বেশি জনসংখ্যার শহর ঢাকা৷ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এ শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো থমকে থাকে যানজটে৷ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্র্যাফিক জ্যামে আটকে পড়ে মানুষ, যার প্রধান কারণ অব্যবস্থাপনা ও জনগণের অসচেতনতা৷
ছবি: DW/M. Mamun
গোড়া থেকেই শুরু
বিশাল জনগোষ্ঠীর শহর ঢাকায় যানজটের ফলে যে শুধু সময় নষ্ট হয়, তা নয়৷ ক্ষতি হয় বিপুল পরিমাণ জ্বালানিরও৷ আর এই যানজট শুরু হয় সপ্তাহের একেবারে প্রথম দিনটি থেকেই৷ সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসের সকালে তোলা ছবিটি দেখুন৷ রাজধানী ঢাকার কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ-এর যানজট এটি৷
ছবি: DW/M. Mamun
যেখানে-সেখানে ওঠা-নামা
ঢাকার যানজটের কারণগুলোর একটি হলো যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানো৷ এক্ষেত্রে চালকদের যেমন সচেতনতার অভাব আছে, তেমনি অসচেতন যাত্রীরাও৷
ছবি: DW/M. Mamun
আরো বেশি যাত্রী!
ঢাকার ব্যস্ততম বিমানবন্দর সড়কের মাঝখানে গাড়িগুলোকে এভাবে আকাবাঁকা করে দাঁড় করানোর আরো একটি কারণ যাত্রী ওঠানোর প্রতিযোগিতা৷ সাধারণত একই রুটের বাসগুলো বেশি যাত্রী উঠানোর জন্য এরকম প্রতিযোগিতায় নামে৷ ফলে সৃষ্টি হয় যানজট৷
ছবি: DW/M. Mamun
অপ্রতুল পার্কিং স্পেস
ঢাকার প্রগতি সরণীর একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রের সামনের সড়কের ফুটপাথটি দখল করে রেখেছে গাড়ি৷ এ শহরের বেশিরভাগ ভবনেরই নেই নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা৷ ফলে এ সব ভবনে আসা গাড়িগুলো পার্ক করা হয় ফুটপাথে কিংবা সড়কের ওপর, যেটা যানজটের অন্যতম একটি কারণ৷
ছবি: DW/M. Mamun
সচেতনতার অভাব
ঢাকার যানজটের অন্যতম আরেকটি কারণ যত্রতত্র পথচারী পারাপার৷ এ শহরের বেশিরভাগ বাসিন্দাই ‘ট্র্যাফিক ম্যানার’ জানেন না৷ ব্যস্ততম সড়কে যত্রতত্র পারাপার তাই যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ অবশ্য ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত ওভার ব্রিজ অথবা জেব্রা ক্রসিং না থাকাও এর একটা কারণ৷
ছবি: DW/M. Mamun
জীবনের ভয় নেই?
পর্যাপ্ত ফুট ব্রিজ বা ওভার ব্রিজ না থাকলেও, যে কটি আছে তাও ব্যবহার করতে চান না পথচারীরা৷ ছবিতে দেখুন রাজধানীর প্রগতি সরণীর ওভার ব্রিজের নীচ থেকেই কেমন রাস্তা পার হচ্ছেন পথচারীরা৷ এই দলে আছে বৃদ্ধ থেকে শুরু করে স্কুল শিক্ষার্থীরা৷
ছবি: DW/M. Mamun
কখনও হকার, কখনও ছিনতাইকারী
যেসব পথচারী ওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে চান, তাদের অনেকসময়ই শিকার হতে হয় নানা বিড়ম্বনার৷ দিনেরবেলায় ওভার ব্রিজগুলো হকারদের দখলে চলে গেলেও, দেখার নেই কেউ৷ আর রাতেরবেলা এ সব ওভার ব্রিজে মানুষ উঠতে চান না ছিনতাইকারীর ভয়ে৷
ছবি: DW/M. Mamun
বেপথে গাড়ি
যে কোনো বড় রাস্তারই দু’টো দিক থাকে – গাড়ি আসার একদিক আর যাওয়ার একদিক৷ ঢাকা শহরে যানজটের একটা প্রধান কারণ উল্টো পথে গাড়ি চালানো৷ হ্যাঁ, রাস্তায় ট্র্যাফিক জ্যাম হলে অনেককেই দেখা যায় গাড়ি ঘুরিয়ে ঝট করে উল্টো দিকের চলে যেতে৷ এতে করে যানজট তো বাড়েই, দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও থেকে যায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
রাস্তার ভাঙার কারণে জ্যাম
ঢাকার যানজটের অন্যতম একটি কারণ দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তা খোড়াখুড়ি৷ ঢাকার গুলশানের এ সড়কটিতে স্যুয়ারেজের লাইন মেরামতের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে কাজ চলছে৷ ফলে দিনেরবেলায় সড়কটিতে লেগেই থাকছে যানজট৷
ছবি: DW/M. Mamun
সেতু নির্মাণের জন্য...
ঢাকা শহরের যানজটের কারণের মধ্যে আছে দীর্ঘ সময় ধরে উড়াল সেতু নির্মাণও৷ উড়াল সেতু নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখা হচ্ছে সড়কের বেশিরভাগ জায়গায়৷ ফলে তৈরি হচ্ছে যানজট৷ তাছাড়া এ সব উড়াল সেতু নির্মাণে সঠিক পরিকল্পনারও অভাব আছে বাংলাদেশে৷
ছবি: DW/M. Mamun
বাঁধ সাধলো রেল ক্রসিং
ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রেই আছে কমপক্ষে ২০টি রেল ক্রসিং৷ এ সব ক্রসিং থেকে দিনে কমপক্ষে ৭০টিরও বেশি রেলগাড়ি চলাচল করে৷ এক হিসেব মতে, এই ক্রসিংগুলোর কারণে দিনে প্রায় ছয় ঘণ্টা যানবাহন আটকে থাকে ঢাকায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
ডাস্টবিনের কারণেও যানজট
ঢাকা শহরের বেশিরভাগ ডাস্টবিনই সড়কের ওপরে৷ এ সব ডাস্টবিনে উপচে পড়া ময়লা আবর্জনা সড়কের ওপরেও ছড়িয়ে পড়ে৷ ফলে সেসব জায়গায় স্লথ গতিতে চলে যানবাহন৷ তাছাড়া রাতেরবেলা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের নিয়ম থাকলেও তা মানা হয় না৷ যত্রতত্র এ সব ডাস্টবিনের কারণেও যানজটের সৃষ্টি হয় মহানগরীতে৷
ছবি: DW/M. Mamun
12 ছবি1 | 12
তিনি আরো বলেন, ‘‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভিআইপিদের জন্য আলাদা লেন আছে, আমাদের দেশেও সেটা করা যায় কিনা, সেটা পরীক্ষা করে দেখার অনুরোধ করা হয়েছে মাত্র৷ ভিআইপিরা প্রায় সময় ডান দিক দিয়ে যান, উলটো দিক দিয়ে যান৷ এতে নানা ধরনের অসুবিধা হয়৷ ভিআইপিদের অনেক সময় (উলটো পথে) যাওয়ার প্রয়োজন হয়৷''
নগর পরিকল্পনাবিদ মোবাশ্বের হোসেন সরকারের এই ভিআইপি লেনের চিন্তা-ভাবনার ব্যাপারে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ফ্লাইওভার বানিয়ে যেমন সড়কের নীচের ৮০ শতাংশ রাস্তা কমিয়ে ফেলা হয়েছে, তেমনি এই সিদ্ধান্ত আরো নতুন সংকট তৈরি করবে৷ রাস্তার ধারণক্ষমতা না বাড়িয়ে সরকারের এমন সিদ্ধান্ত সড়ক ব্যবস্থাপনায় আরও বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে৷ কারণ ঢাকা শহরে যে রাস্তা আছে, সেখান থেকেই আরেকটি নতুন ভিআইপি লেন তৈরি করা হবে৷ শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ গণপরিবহণে যাতায়ত করেন৷ তাঁদের রাস্তার বড় একটি অংশ কেড়ে নিয়ে খুবই খুদ্র একটি অংশকে সুবিধা দিতে এই প্রস্তাব দেয়া হয়েছে৷''
তিনি বলেন, ‘‘ভিআইপিদের পথ ‘হালাল' করতে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবার কথা বলা হচ্ছে৷ অ্যাম্বুলেন্স বা পুলিশের জরুরি গাড়ি উলটো পথে চলতে বাধা নাই৷ ঢাকা শহরে যে যানজট তাতে ভিআইপিরা যদি ভিআইপি লেনে চলাচল করেন, তাহলে তাঁরা জনরোষের মুখে পড়ে গণপিটুনির শিকার হতে পারেন৷ তাছাড়া ভিআইপি লেন ন্যায়-নীতি বিরোধীও৷''
মোবাশ্বের হোসেন
ঢাকায় সড়কের পরিমাণ মোট আয়তনের ৭ ভাগের বেশি নয়৷ কিন্তু একটি শহরে মোট আয়তনের কমপক্ষে ৩০ ভাগ সড়ক থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷ এর মানে হলো, প্রয়োজনের মাত্র এক তৃতীয়াংশ সড়ক আছে এই শহরে৷ ঢাকা শহরের মোট এলাকা ১৩৫৩ বর্গ কিলোমিটার আর বর্তমান রাস্তার আয়তন ২,২০০ কিলোমিটার, যার মধ্যে ২১০ কিলোমিটার প্রধান সড়ক৷ সুতরাং প্রয়োজনের তুলনায় সড়ক আছে এক তৃতীয়াংশ৷ বিপরীতে গত পাঁচ বছরে যানবাহন বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি৷
এমনিতেই ঢাকায় ১৫ ভাগ যাত্রী দখল করে আছেন মোট সড়কের ৭০ ভাগ৷ স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান বা এসটিপি-র হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ঢাকায় কম-বেশি ১৫ ভাগ যাত্রী প্রাইভেট কারে যাতায়াত করেন৷ এই প্রাইভেট কারের দখলে থাকে ৭০ ভাগেরও বেশি রাস্তা৷ বাকি ৮৫ ভাগ যাত্রী অন্য কোনো ধরনের গণপরিবহণ ব্যবহার করেন৷ অর্থাৎ তারা গণপরিবহণ সড়কের মাত্র ৩০ ভাগ এলাকা ব্যবহারের সুযোগ পান৷ জনসংখ্যার হিসেবে শতকরা এক ভাগের মতো মানুষের প্রাইভেট কার আছে৷ কিন্তু সড়ক চলে গেছে তাদের দখলে৷
মোবাশ্বের হোসেন বলেন, ‘‘এই যখন অবস্থা, তখন ভিআইপিদের জন্য আলাদা লেন করা মানে হচ্ছে ওই ৩০ ভাগ জায়গায়ও ভাগ বসানো৷ স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান বা এসটিপি বাস্তবায়ন করলে ঢাকায় যানজট কমবে৷ এতে গণপরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত এবং সড়কের পরিকল্পিত ব্যবহারে কথা বলা আছে৷ ব্যক্তিগত যানবাহন কমানোর কথা আছে৷''
খন্দকার এনায়েতুল্লাহ
এছাড়া গণপরিবহণবিশেষজ্ঞ বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল হক সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘ঢাকার সড়কগুলোতে ছ'টি লেনের বেশি নেই৷ কোথাও কোথাও এক বা দুই লেনও রয়েছে৷ এর মধ্যে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিটের (এমআরটি) জন্য একটি ও বাস র্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) জন্য একটি, মোট দু'টি লেন চলে যাচ্ছে৷ এর সঙ্গে যদি ভিআইপি বা জরুরি সেবার নামে আরও একটি লেন চলে যায়, তাহলে তো আর সড়কই থাকছে না৷ একটি গণতান্ত্রিক জনবান্ধব হিসেবে পরিচিত সরকার এমন অ-জনবান্ধব সিদ্ধান্ত নিতে পারে না৷''
ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতুল্লাহ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আলাদা লেন হতে পারে, তবে তা হতে হবে গণপরিবহণের জন্য৷ যেহেতু নগরীর ৮০ ভাগ মানুষ গণপরিবহণ ব্যবহার করেন, তাই শুধু গণপরিবহণের জন্য যদি আলাদা লেন করা হয় তাহলে যানজট কমবে৷ অধিকাংশ মানুষ উপকৃত হবেন৷ সেখানে ভিআইপিদের গাড়িও চলতে পারে৷ কিন্তু শুধু ভিআইপিদের জন্য আলাদা লেন করলে, তাতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে৷''
এদিকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এই ভিআইপিদের জন্য আলাদা লেন করার বিষয়টি সমালোচনার মুখে পড়েছে৷ কেউ বলেছেন, ভিআইপিদের জন্য আলাদা শহর করতে৷ আবার কেউ বলেছেন তাঁদের জন্য আলাদা হেলিকপ্টার সার্ভিস চালু করতে৷''
ভয়াবহ যানজটের আটটি শহর
৩৮টি দেশের ১ হাজার ৬৪টি শহরের অবস্থা পর্যালোচনা করে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ যানজটের শহরের তালিকা করেছে ইনট্রিক্স৷ সেই তালিকায় অ্যামেরিকা আর ইউরোপের শহরই বেশি৷
ছবি: picture alliance/dpa/W.Lei
সবচেয়ে ভয়াবহ যানজটের শহর
ট্রাফিক বিশ্লেষণ করাই ইন্ট্রিক্সের কাজ৷ এবার সে কাজ করতে গিয়ে তারা দেখেছে, অফিস শুরু আর শেষের সময়টায় ট্রাফিক পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ থাকে যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসে৷ পরিসংখ্যান বলছে, সেখানকার গাড়িচালকদের প্রতি বছর পিক আওয়ারে অন্তত ১০৪ ঘণ্টা গাড়িতে বসে থাকতে হয়৷
ছবি: picture-alliance/Frank Duenzl
দ্বিতীয় স্থানে মস্কো
মস্কোর গাড়িচালকদের বছরে পিক আওয়ারে অন্তত ৯১ ঘণ্টা বসে থাকতে হয় গাড়িতে৷
ছবি: Getty Images/Y.Kadobnov
নিউ ইয়র্কও কম যায় না
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কেও বলতে গেলে সারা বছরই পিক আওয়ারে যানজট লেগে থাকে৷ সেখানে বছরে কমপক্ষে ৮৯ ঘণ্টা যানজটের কারণে গাড়িতেই বসে থাকতে হয় চালকদের৷
ছবি: picture alliance/dpa/blickwinkel
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক শহর
সান ফ্রান্সিসকোর গোল্ডেন গেট ব্রিজ এলাকায় পিক আওয়ারে গাড়ি যেন চলতেই চায় না৷ আর সারা শহরে যানজটের কারণে প্রতি বছর প্রত্যেক চালকের অন্তত ১৪শ ডলারের ক্ষতি হয়৷ সব চালকের ক্ষতি যোগ করলে যোগফলটা ৩০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে৷
ছবি: Getty Images/J.Sullivan
ব্রাজিলের সাও পাওলো
তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছে ব্রাজিলের সাও পাওলো৷ সেই শহরে বছর কমপক্ষে ৭৭ ঘণ্টা জ্যামের কারণে চালকদের গাড়িতেই বসে থাকতে হয়৷
ছবি: picture alliance/dpa/C.Faga
লন্ডন
ইউরোপের যে দেশগুলোতে ট্রাফিক জ্যামের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি, ইংল্যান্ড তার অন্যতম৷ ইউরোপের সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রাফিক জ্যামের তিনটি দেশের একটি ইংল্যান্ড৷ ইংল্যান্ডের শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যানজট থাকে লন্ডনে৷ সেখানে বেশি ট্রাফিক জ্যাম হয় নাকি উইন্ডো শপিংয়ের কারণে৷
ছবি: Getty Images/S.Barbour
চীন, জাপান নেই কেন?
ইনট্রিক্স চীন এবং জাপানসহ এশিয়ার বেশ কিছু দেশের যানজট পরিস্থিতি বিশ্লেষন করেনি৷ সে কারণে তালিকায় চীন, জাপানসহ এশিয়ার অনেক দেশই নেই ৷ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাও হয়ত সে কারণেই তালিকার বাইরে৷
ছবি: picture alliance/dpa/W.Lei
আফ্রিকাও বাদ
আফ্রিকার বেশির ভাগ দেশেই যানজট নিত্যদিনের ব্যাপার৷ তারপরও তালিকায় আফ্রিকার কোনো শহরের নাম আসেনি, কারণ, ইন্ট্রিক্স এখনো ওই মহাদেশ নিয়ে কাজ শুরু করেনি৷