সচক্ষে ও ক্যামেরার চোখ দিয়ে উষ্ণায়ন প্রত্যক্ষ করেছেন এক জার্মান আলোকচিত্রী: একা গ্রিনল্যান্ডের উপকূলে ঘুরে বেরিয়েছেন, গ্রিনল্যান্ডের চিরতুষার কীভাবে গলছে, তাও দেখেছেন ও তার ছবি তুলেছেন৷
বিজ্ঞাপন
ওলাফ অটো বেকার ২০০৩ সাল যাবৎ হিমশৈল আর হিমবাহের জগতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন – নিজের চোখে দেখেছেন, সেই আশ্চর্য জগত কীভাবে ধীরে ধীরে উধাও হচ্ছে৷ শতাব্দী শেষ হওয়ার আগে যদি বিশ্বের তাপমাত্রা পাঁচ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বৃদ্ধি পায়, তাহলে বেকারের তোলা ছবিগুলো বাস্তবে আর দেখতে পাওয়া যাবে না৷
ওলাফ বলেন, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তনের কথা জানা থাকলে আর এ ধরনের একটা হিমশৈল দেখলে মনে হয়, হিমশৈলটা যেন গরমে ঘামছে! হিমশৈলের গায়ের গোটা বরফটাই ভেজা, আলোয় যেন চকচক করছে৷ চতুর্দিক থেকে পানি চুঁইয়ে সাগরে পড়ছে৷ তখন বোঝা যায়, কি তাড়াতাড়ি এই পরিবর্তন ঘটছে৷’’
উষ্ণায়ন কল্পকাহিনি নয়...
04:31
ওলাফ তাঁর ক্যামেরা নিয়ে গ্রিনল্যান্ডের গোটা পশ্চিম উপকূলে ঘুরে বেরিয়েছেন – একটি রাবারের ডিঙিতে ৪,০০০ কিলোমিটার যাত্রা করেছেন৷ এভাবেই তাঁর ‘‘ব্রোকেন লাইন’’ পর্যায়ের আলোকচিত্রগুলি সৃষ্টি হয়েছে৷ মুগ্ধ করার মতো সব ছবি৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘হিমশৈল যখন পানির উপর ভাসে, তখন কাচ ঘষলে যেমন আওয়াজ হয়, তেমন একটা শব্দ শোনা যায়৷ হিমশৈলের নতুন কোনো অংশ ভেঙে পড়লে, বরফের টুকরোগুলো পানিতে ফুঁসিয়ে ওঠে, সোডা গ্যাঁজানোর মতো আওয়াজ হয়৷ এ যেন বরফের গান, সাথের গেলাসে শ্যাম্পেন৷’’
বড় ফরম্যাটের ছবি
ওলাফ অটো বেকার বড় ফরম্যাটের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলেন৷ ছবিগুলো দেখলে মনে হয় যেন পুরনো আমলের স্ট্যান্ড ক্যামেরা দিয়ে তোলা৷ ওলাফ বলেন, এ যেন চিত্রশিল্পীদের মতো খোলা আকাশের নীচে ইজেল খাড়া করে ছবি আঁকা৷ প্রতিটি ক্যাসেটে মাত্র দু'টি করে ছবি তোলার ব্যবস্থা আছে৷ কাজেই ওলাফকে মনের মতো দৃশ্য খুঁজে পাবার জন্য দিনের পর দিন ঘুরে বেড়াতে হয়৷ পরে ডার্করুমে ফিল্ম ডেভেলপ করার সময় কোনো ভুল হলে গোটা কাজটাই মাটি৷
ওলাফ এককালে ছুতোর মিস্ত্রির কাজ করেছেন, গ্র্যাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেছেন – কিন্তু সে সব কাজে তাঁর মন বসেনি৷ তাই তিনি আইসল্যান্ড ও গ্রিনল্যান্ড সফরে যান৷ আজ তাঁর তোলা ছবি বিশ্বের অনেক বড় বড় মিউজিয়ামে ঝোলে৷
বিশ্ব উষ্ণায়নে আক্রান্ত শীতের দেশের পশুরা
সাধারণত শীতের দেশের পশুদের গায়ে সাদা লোম থাকে৷ বরফের রঙের সঙ্গে মিশে থাকার জন্যই প্রকৃতির এই সৃষ্টি৷ কিন্তু গবেষকরা বলছেন, তাদের শরীরেও গরমের দাগ তৈরি হতে শুরু করেছে৷ উষ্ণায়নই তার মূল কারণ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ঠান্ডা দেশের জন্তুরা
প্রকৃতির রঙের সঙ্গে নিজেদের মিশিয়ে ফেলা যে কোনো পশুর ক্ষেত্রেই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ এভাবেই তারা শত্রুর চোখের আড়ালে নিজেদের মিশিয়ে রাখে৷ কিন্তু উষ্ণায়নের ফলে সবই বদলে যাচ্ছে৷ উঁচু পর্বতের পশু থেকে শুরু করে উত্তর মেরুর জন্তু, তাদের শরীরে পুরু সাদা লোম থাকে৷ ঠান্ডার মোকাবিলা করার জন্যই এই লোম৷
ছবি: Irene Quaile
ছিল খয়েরি, হলো সোনালি
সারা পৃথিবীতে ২১ রকমের পশু আছে, মরশুমের সঙ্গে সঙ্গে যাদের রং বদলায়৷ গরম কালে হরিণ প্রজাতির এই ধরনের প্রাণীদের গায়ের রং থাকে খয়েরি৷ কিন্তু শীত পড়তে না পড়তেই দেখা যায় সেই রং বদলে ক্রমশ বাদামি সোনালি হয়ে যাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/Mary Evans/K. W. Fink
বেঁচে থাকাই সমস্যা
কিন্তু এই ধরনের অতি শীতল দেশের প্রাণীরা এখন সমস্যার মুখে৷ শীত পড়ছে দেরিতে৷ বরফ গলে যাচ্ছে দ্রুত৷ কিন্তু পশুদের শরীরে থেকে যাচ্ছে শীতের সাজ৷ ফলে তাদের বেঁচে থাকাই মুশকিল হয়ে পড়ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শীতেই গরমের সাজ
সম্প্রতি বিখ্যাত বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল ‘সায়েন্স-’এ প্রকাশিত হয়েছে যে, শীতের মরশুমেই বরফের খরগোশেরা গরমের কালো রংয়ে সেজে উঠছে৷
ছবি: picture-alliance/Prisma/Kunz Rolf E.
লুপ্ত হওয়ার পথে
প্রাণিবিজ্ঞানী এল স্কট সম্প্রতি একটি গবেষণা করেছেন৷ গবেষণায় দেখেছেন, কোনো কোনো শীতের দেশের পাখি চরম সংকটে৷ বিশেষ করে বালি হাঁসের মতো পাখি৷ ইউরেশিয়া, সাইবেরিয়া এবং মেরু অঞ্চলের পাখিরা দ্রুত তাদের চরিত্র বদলাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/P. Cairns
নেকড়েও রং বদলায়
মেরু অঞ্চলের হিংস্র নেকড়েরাও তাদের রং বদলাচ্ছে৷ আগে যারা ছিল সম্পূর্ণ সাদা, উষ্ণায়নের কারণে তাদের রং ক্রমশ বাদামি হয়ে যাচ্ছে৷ অনেক সময়েই শিকারিরা যা বুঝতে পারছেন না এবং আক্রমণের শিকার হচ্ছেন৷ শুধু তাই নয়, রং বদলাচ্ছে মেরু অঞ্চলের ঈগলেরাও৷
কাঠবেড়ালির রং
তবে সকলের ক্ষেত্রেই একরকম ঘটছে না৷ এক ধরনের কাঠবেড়ালি উষ্ণায়নের সঙ্গে সঙ্গে আরো বেশি উঁচুর দিকে চলে যাচ্ছে৷ তাদের গায়ের রংও ক্রমশ আরো সাদা হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/Arco Images/Sunbird Images
যুঝে নেওয়ার উপায়
দক্ষিণ ইউরোপে এদের শরীরের লোম সবসময়ই বাদামি থাকে৷ বিজ্ঞানীদের ধারণা, জেনেরিক কারণেই এরা আরো কিছুদিন প্রকৃতির সঙ্গে যুঝে থাকতে পারবে৷
ছবি: picture-alliance/R. Bernhardt
বাদামির প্রাধান্য
যেসব অঞ্চলে একই জন্তু দু’ধরনের রঙের পাওয়া যায়, বিজ্ঞানীদের ধারণা, সেখানে পরবর্তীকালে বাদামি রঙের প্রাধান্যই বেশি হবে৷ সাদা ক্রমশ বিলুপ্ত হবে৷ কিন্তু সেভাবে তারা বেঁচে থাকতে পারবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷
ছবি: L.S. Mills/Jaco & Lindsey Barnard
কার্বন কমান
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পৃথিবী থেকে কার্বন ফুটপ্রিন্টের পরিমাণ কমানো না গেলে যে কোনো প্রাণীর পক্ষেই বেঁচে থাকা মুশকিল হবে৷ কারণ, অতিরিক্ত কার্বনডাইঅক্সাইড প্রাণের বিনাশ ঘটাবে৷
ছবি: picture-alliance/Arco Images/C. Bosch
10 ছবি1 | 10
বিপদসঙ্কুল সব যাত্রায় ওলাফ সাধারণত কাউকে সাথে নেন না৷ একবার তিনি দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন – সেই কাহিনি শোনালেন তিনি:-
‘‘তখন প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে আমি নৌকোতে একাই পথ চলেছি৷ রাত তিনটে বা চারটের সময় আমি খুব সম্ভবত সোজা উত্তরে যাচ্ছিলাম, যেদিকে সূর্য দিগন্তের উপর ঝুলে ছিল৷ সূর্যের আলোয় আমার চোখ ধাঁধিঁয়ে গিয়েছিল৷ তার পরেই সব কিছু অন্ধকার হয়ে গেল... কিছুক্ষণ পরে জ্ঞান ফিরলে মনে হল আমার খুতনির কাছে ঠান্ডা, সুঁচলো কিছু একটা আছে – আর আমি ঠিকমতো নড়াচড়া করতে পারছি না৷ চোখ খুলে দেখি, বরফ৷ তখন বুঝলাম যে আমি একটা হিমশৈলের ওপরে এসে পড়েছি, আর আমার বোধহয় একটা কংকাসান হয়েছে৷ মাথা থেকে রক্ত পড়ছে, একটা পাঁজর ভেঙে গেছে, নৌকোটাও কোথায় ভেসে গেছে৷ চারপাশে কোথাও কেউ নেই৷’’
তবে প্রাণে বেঁচেছেন৷ কাজেই কাজ বন্ধ করার কোনো প্রশ্ন ওঠে না৷ দিনের পর দিন কোনো মানুষের দেখা নেই৷ কোনো সহযোগী নেই, নেই কোনো সময় কাটানোর পন্থা৷ এমনকি ফিল্মের ছবিগুলোও তিনি নিজেই তোলেন৷
বরফ গলছে...
গ্রিনল্যান্ডের অভ্যন্তরে চিরতুষারের উপর তিনি চারটি নদীর যাত্রাপথ উৎস থেকে সাগর পর্যন্ত ঘুরে দেখেছেন – উষ্ণায়নের নাটকীয় ফলশ্রুতি নিজের চোখে দেখার এর চাইতে ভালো জায়গা আর হতে পারে না৷ গ্রিনল্যান্ডে নাকি প্রতিবছর সাতাশ হাজার কোটি টন বরফ গলতে চলেছে!
ওলাফ জানালেন, ‘‘গ্রিনল্যান্ডের অভ্যন্তরে আমি বিজ্ঞানী ও গবেষকদের সঙ্গে তাদের মাপজোকের কেন্দ্র পর্যন্ত গেছি৷ বিজ্ঞানীরা সেখানকার তথ্য সংগ্রহ করে যা দেখেছেন, তা তাদের নিজেদের ভবিষ্যদ্বাণীকেও ছাড়িয়ে গেছে – এতো দ্রুত আর এতো বেশি পরিবর্তন ঘটেছে৷ দেখে বিজ্ঞানীরা নিজেরাই চমকে গেছেন৷’’
গ্রিনল্যান্ডে প্রতিবছর বরফ গলে যে পরিমাণ পানি সৃষ্টি হচ্ছে, তা দিয়ে গোটা জার্মানিকে মাটি থেকে এক মিটার উচ্চতা পর্যন্ত ঢেকে দেওয়া যায়৷ হিমশৈলগুলো গলে যাচ্ছে৷ ওলাফ অটো বেকারের ছবিগুলি তার নীরব সাক্ষী৷
আন্দ্রেয়াস ক্রিগার/এসি
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে ভূমিকা রাখতে পারেন যেভাবে
লক্ষ্যটি খুবই সহজ৷ কার্বন ডাই অক্সাইড জলবায়ুর সবচেয়ে বড় শত্রু৷ আর গাড়ি, স্মার্টফোনের মতো কিছু জিনিস, যা থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপাদিত হয়, সেগুলোর ব্যবহার কম করলে অর্থ খরচ কমবে, জলবায়ুর জন্যও মঙ্গল বয়ে আনবে৷
ছবি: picture-alliance/AP Images/Chinatopix
এ বিষয়ে কথা বলা
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন রোধে আপনার কোন ছোট পদক্ষেপ বড় প্রভাব ফেলতে পারে? এটা নিয়ে কথা বলুন পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে৷ আর এটা নিশ্চিত করুন যে, এ বিষয়ে তারা যাতে ভালো সিদ্ধান্ত নেয়৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে৷
ছবি: Gemeinde Saerbeck/U.Gunnka
নিজের বাড়িতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার
বাড়িতে বৈদ্যুতিক সেবা দেয়ার জন্য এমন কোম্পানিকে বেছে নিতে হবে যারা তাদের বিদ্যুত উৎপাদনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাতাস বা সৌরশক্তি ব্যবহার করে এবং যাতে তারা ‘গ্রিন ই এনার্জি’র অনুমোদনপ্রাপ্ত হয়৷ যদি এটা সম্ভব না হয়, তাহলে নিজের বিদ্যুৎ বিলের দিকে নজর রাখুন৷ অনেক কোম্পানি বিলে লিখে দেয়, তাদের বিদ্যুত উৎপাদনে কতটা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Images/Chinatopix
আবহাওয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা
ঠান্ডার সময় বাড়ির তাপমাত্রা বাড়ানো বা গরমের সময় শীতল করতে প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ হয়৷ তাই নিজের আবাসস্থলকে ‘এনার্জি এফিসিয়েন্ট’ বা জ্বালানি সাশ্রয়ী হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন, যাতে ঘরে বাতাস চলাচল এবং বাতাস বন্ধ রেখে উত্তাপ বাড়ানোর সহজ ব্যবস্থা থাকে৷
ছবি: Imago/Westend61
জ্বালানি সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি
১৯৮৭ সালে প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের যন্ত্রপাতির প্রচলন হয়৷ এ ধরনের বেশ কিছু যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে এ পর্যন্ত সেখানকার বাতাসকে ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড মুক্ত রাখা গেছে, যা বছরে ৪৪ কোটি গাড়ি থেকে নিঃসরণ হয়৷ জ্বালানি সাশ্রয়ী খুব কম খরচে কার্বন নিঃসরণ রোধের সহজ উপায়৷ তাই রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন এবং এ ধরনের যন্ত্রপাতি কেনার সময় ‘এনার্জি স্টার’ লেবেল দেখে কেনা উচিত৷
ছবি: picture alliance/blickwinkel/C. Ohde
পানি খরচ কমানো
পানির অপচয় রোধ করেও কার্বন দূষণ কমানো যায়, কেননা, পানি পাম্প করতে, গরম করতে বা ঠাণ্ডা করতে প্রচুর জ্বালানি খরচ হয়৷ তাই গোসল করার সময় কম পানি খরচ করুন৷ প্রয়োজন না হলে দাঁত মাজার সময় পানির কল বন্ধ রাখুন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Wuestenhagen
যেসব খাবার কিনছেন পুরোটা খান, মাংসের উপর চাপ কমান
যুক্তরাষ্ট্রে ১০ ভাগ জ্বালানি খরচ হয় খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, প্যাকেটজাত করা এবং সরবরাহে৷ তাই খাবার কম অপচয় করলে জ্বালানি বা শক্তি কম খরচ হয়৷ গবাদি পশু পালনে প্রচুর জ্বালানি অপচয় হয়৷ তাই মাংস খাওয়া কমালে বিরাট পরিবর্তন আসতে বাধ্য৷
ছবি: Colourbox
ভালো বাল্ব কিনুন
অন্য সব বাল্বের চেয়ে এলইডি বাল্ব শতকরা ৮০ ভাগ পর্যন্ত কম বিদ্যুৎ খরচ করে৷ এসব বাল্ব দীর্ঘস্থায়ী এবং খরচও কম৷ ১০ ওয়াটের এলইডি বাল্ব, সাধারণ ৬০ ওয়াটের বাল্বের কাজ দেয় এবং এতে অনেক কম খরচ হয়৷
ছবি: AP
প্লাগ খুলে রাখুন
বাড়ির সব যন্ত্রপাতি যোগ করলে হয়ত দেখা যাবে ৬৫টি আলাদা যন্ত্রপাতি আছে যেগুলো বিদ্যুতের সাহায্যে চলে৷ তাই যেসব যন্ত্রপাতি পুরোপুরি চার্জ হয়ে গেছে, সেগুলো চার্জে দিয়ে না রাখা, বা কোনো টাইমার সেট করা যাতে নির্দিষ্ট সময় পর চার্জিং বন্ধ হয়ে যায়৷ এছাড়া কম্পিউটার বা ট্যাব, ফোনের মনিটর কম পাওয়ার মোডে দিলেও জ্বালানির কম অপচয় হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Pape
জ্বালানি সাশ্রয়ী যানবাহন ব্যবহার
গ্যাস-স্মার্ট গাড়ি, যেমন হাইব্রিড বা ইলেকট্রিক যান চালালে জ্বালানি এবং অর্থ দুটোই সাশ্রয় হয়৷
ছবি: picture-alliance/CTK Photo/P. Mlch
বিমান, ট্রেন এবং অটোমোবাইলের ক্ষেত্রে আর একবার ভাবুন
বড় শহরগুলোতে যতটা পারেন হাঁটুন বা গণ পরিবহন ব্যবহার করুন৷ এর ফলে ব্যয়ও কমবে, জ্বালানির অপচয়ও কম হবে৷ সবচেয়ে বড় কথা এর ফলে বায়ু দূষণ অনেক কমবে৷ এছাড়া অনেক মানুষ যদি বিমানে চড়া কমিয়ে দেয়, তাহলে বড় ধরনের পার্থক্য লক্ষ্য করা যাবে৷ কেননা, আকাশ পথে চলাচল জলবায়ু দূষণের অন্যতম বড় মাধ্যম৷ বিমানের বিকল্প হিসেবে যদি ট্রেনে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকে, সেটাই বেছে নিন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Balzarini
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ধান
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ এরইমধ্যে লবণ সহিষ্ণু ধান নিয়ে কাজ শুরু করেছে৷ মাটি লবণ সহিষ্ণু হওয়ায় সূর্যমুখীর ফুলের আবাদও বেড়েছে৷ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় সক্ষম কিছু ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট৷ প্রচলিত ধানের বদলে এ ধরনের ধান চাষ যত বাড়বে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ততই সহজ হবে৷