প্যারিস চুক্তি সফলভাবে বাস্তবায়ন হলেও বৈশ্বিক তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা৷ তাঁদের মতে, এটা হলে নিউ ইয়র্ক ও সিডনির মতো উপকূলীয় অনেক শহর ও দ্বীপে আর মানুষের বসতি থাকবে না৷
বিজ্ঞাপন
জার্মানি, সুইডেন, ডেনমার্ক ও অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানীর একটি যৌথ গবেষণায় হতাশাজনক এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে৷ তাঁরা বলেছেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্য অর্জন হলে এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধি প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলেও জলবায়ু পরিবর্তন বিপর্যয়কর পর্যায়ে চলে যেতে পারে৷
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সুইডিশ রিসার্চ ইনস্টিটিউট স্টকহোম রেজিলিয়েন্স সেন্টারের জলবায়ু গবেষক উইল স্টেফেন এই গবেষক প্রতিবদনের লিড অথোর৷
তিনি বলেন, ‘‘মানুষ যে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করে, সেটাই পৃথিবীর তাপমাত্রার মূল নিয়ামক নয়৷ আমাদের গবেষণা বলছে, মানবসৃষ্ট কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে তা পৃথিবীর অন্যান্য ব্যবস্থায়ও প্রভাব ফেলবে, যাকে ‘ফিডব্যাক' বলা হয়৷ এটা আরও উষ্ণতা তৈরি করতে পারে, এমনকি আমরা গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ বন্ধ করলেও তা হতে পারে৷''
এ ঘটনায় বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দীর্ঘমেয়াদে প্রাক-শিল্প যুগের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি হতে পারে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে৷
২০১৭ সালে পরিবেশবান্ধব ঘটনা কী ঘটেছে?
২০১৭ সালটিকে মোটেই পরিবেশবান্ধব বছর বলা যায় না৷ ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো পরিবেশবিরোধী মানুষ ক্ষমতায় এসেছেন এ বছর৷ পরিবেশের ক্ষতি হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে অসংখ্য৷ কিন্তু একেবারে ভেঙে পড়ার কারণ নেই৷ দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাই বাই ডিজেল
ভারত, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের মতো বেশ কিছু দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, গ্যাস এবং ডিজেল চালিত গাড়ির সংখ্যা কমিয়ে ইলেকট্রিক চালিত গাড়ি তৈরিতে জোড় দেওয়ার৷ বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গাড়ি প্রস্তুত করে চীন৷ তারাও কেবলমাত্র জৈব জ্বালানি দিয়ে চালিত গাড়ি ‘ব্যান’ করার একটি পরিকল্পনা করেছে৷ পরিবেশবান্ধব জ্বালানির দিকে এক ধাপ এগোতেই পারে ২০১৮৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/McPHOTOs
মৌমাছির স্বপ্ন
জীববৈচিত্রে মৌমাছিদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ৷ কিন্তু সেই মৌমাছিরাই এখন অস্তিত্বসংকটে৷ নিওনিকোটিনয়েডসের মতো কীটনাশকের ব্যবহারের কারণে, মৌমাছিরাও বিলুপ্তির পথে৷ আশার কথা, ইউরোপীয় কমিশন তিনটি ক্ষতিকারক নিওনিকোটিনয়েডস বন্ধের পরিকল্পনা করেছে৷ যদিও এখনো অনেক কাজ বাকি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul
কার্বনহীন ভবিষ্যৎ
জার্মানির মতো বিশ্বের বহু দেশেই শক্তি উৎপাদনে কয়লা এখনও প্রাথমিক জ্বালানি৷ বিকল্প শক্তির দাবিতে ও কয়লার ব্যবহার বন্ধ করতে ২০১৭ সালে এই দেশগুলিতে আন্দোলন হয়েছে৷ ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লার ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ইইউ-র বহু দেশ৷ নতুন কারখানাগুলিতে কয়লার ব্যবহার যাতে না হয়, তার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে ইউরোপের অধিকাংশ জাতীয় এনার্জি কোম্পানি৷ তবে পোল্যান্ড ও গ্রিস এখনও এ বিষয়ে সহমত হয়নি৷
ছবি: DW
সমুদ্র মন্থন
পরিবেশ আলোচনার অন্যতম বিষয় এখন সামুদ্রিক দূষণ৷ ২০১৭ সালে ২০০টি দেশ সামুদ্রিক দূষণ কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিও সমুদ্রে মাইক্রোপ্লাস্টিক ছড়ানো বন্ধ করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে৷ ই-ওয়েস্টের বিষয়ে আরো কড়া মনোভাব নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot
ট্রাম্পকে পোছে কে?
ক্ষমতায় আসার পর থেকে পরিবেশবিরোধী একের পর এক মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ কিন্তু এরও সদর্থক দিক আছে৷ ট্রাম্পের মন্তব্যের বিরোধিতা করছে বহু মার্কিন সংস্থা এবং সাধারণ মানুষ৷ পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতাও বাড়ছে৷ নভেম্বরে ‘কপ২৩’ সম্মেলনে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর জেরি ব্রাউন জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট যা-ই বলুন, পরিবেশ আন্দোলন বন্ধ হবে না৷ ট্রাম্পের মন্তব্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন তার প্রমাণ৷
ছবি: Reuters/W. Rattay
ফরাসি পরিবেশ
উষ্ণায়ন বিরোধী পরিবেশ আন্দোলনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ৷ তাঁর ভূমিকা ‘সিম্বোলিক’ হতে পারে, কিন্তু তাঁর জন্যই পরিবেশচর্চা জনসমক্ষে আসছে৷ ১৮ জন আবহাওয়া বিষয়ক গবেষককে তিনি গ্রান্ট দিয়েছেন৷ বহু মার্কিন গবেষক তাঁদের আবহাওয়া সংক্রান্ত কাজ নিয়ে ফ্রান্সে চলে আসছেন ট্রাম্পের বিরোধিতা করে৷
ছবি: Getty ImagesAFP/P. Wojazer
বিন্দু জমেই সিন্ধু
বিশ্ব জুড়ে সাধারণ মানুষ পরিবেশ বান্ধব কাজ করছেন৷ সব খবর শিরোনামে আসে না৷ বিন্দু জমেই সিন্ধু হয়৷ যা ভবিষ্যত উন্নতির সোপান হতে পারে৷ উদাহরণ হিসেবে ফিজির মামানুকা দ্বীপপুঞ্জের কথা বলা যায়৷ সেখানে কোরাল গ্রোয়িং প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে৷ আবার নিগারের পরিবেশকর্মীরা জিরাফদের জন্য অভয়ারণ্যের দাবিতে আন্দোলন করছেন৷
ছবি: Getty Images/C.De Souza
স্বপ্ন দেখব বলে
গত বছরের এপ্রিলে, ব্রিটেনে প্রথম কনজারভেশন অপটিমিসম সামিট অনুষ্ছিত হয়েছে৷ যেখানে পরিবেশবান্ধব বেশকিছু সদর্থক কাজের কাহিনি আলোচিত হয়েছে৷ অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, মধ্য ইউরোপে লিনসেক্স বা এক ধরনের বিলুপ্তপ্রায় বনবিড়ালকে ফিরিয়ে আনা গিয়েছে৷ ভারতে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ এই শতাব্দীতে প্রথম এই সংখ্যাবৃদ্ধির ঘটনা ঘটল৷ সমস্যা থাকবে৷ কিন্তু এই সামিটের লক্ষ্যই হলো সমস্যার মোকাবিলা করে স্বপ্ন রচনা করা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
8 ছবি1 | 8
এতে বলা হয়, উষ্ণতা এভাবে বাড়লে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা ১০ থেকে ৬০ মিটার বাড়বে৷ ভেনিস, নিউ ইয়র্ক, টোকিও ও সিডনির মতো উকূলীয় অনেক শহর প্লাবিত হবে৷ এ ধরনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ শহরে আর মানুষের বসবাস থাকবে না৷
বিজ্ঞানীরা একে ‘হটহাউজ আর্থ' ক্লাইমেট সিনারিও বলছেন৷
সোমবার প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস বা পিএনএএসে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বৈষ্ণিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রি বৃদ্ধিতে ক্লাইমেট সিস্টেম কেমন হবে, তা বেশ কয়েকটি মডেলে বিশ্লেষণ করা হয়েছে৷
হিমবাহের গলন, হিমৈশল গলে যাওয়া, সমুদ্রে ব্যাকটেরিয়া ও কার্বন সিংক দুর্বল হয়ে পড়ার মধ্যে সম্পর্ক ও চেইন রিঅ্যাকশন দেখা গেছে৷
ফিডব্যাক প্রক্রিয়া হিসেবে জলবায়ুর পরিবর্তন, বনের ওপর প্রভাব ও হিমৈশলের গলনে তাতে বিদ্যমান কার্বন ডাই-অক্সাইড ও মিথেনের মতো গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ ঘটে তা পরিবেশের অন্যান্য ‘শত্রুদের‘ ওপর প্রভাব ফেলে৷ এতে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিভিন্ন উপাদানে সংরক্ষিত কার্বন নিঃসরণ ঘটে তা বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে৷
ফিডব্যাক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তুষারপাত, বজ্রঝড় হয়ে থাকে বলে জানান স্টকহোম রেজিলিয়েন্স সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক জোহান রকস্ট্রম৷
‘‘এ সব টিপিং এলিমেন্ট সারিবদ্ধ ডোমিনোর মতো আচরণ করে৷ একবার কোনোটা দুর্বল হলে সেটা পৃথিবীর সিস্টেমের আরেকটিকে আঘাত করে৷ সব ডোমিনোকে ধসের হাত থেকে রক্ষা করা খুব কঠিন বা অসম্ভব হয়ে ওঠে৷''
এরপর পৃথিবী ক্রমশ বাড়তে থাকা তাপমাত্রায় উষ্ণ হতে থাকে৷ এমনকি মানুষ পুরোপুরি গ্রিন হাউস নিঃসরণ বন্ধ করলেও তা হতে থাকবে৷
‘‘যদি ‘হটহাউজ আর্থ' বাস্তবে হয়, তাহলে পৃথিবীর অনেক জায়গা বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়বে,'' বলেন রকস্ট্রম৷
এএইচ/ডিজি
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে ভূমিকা রাখতে পারেন যেভাবে
লক্ষ্যটি খুবই সহজ৷ কার্বন ডাই অক্সাইড জলবায়ুর সবচেয়ে বড় শত্রু৷ আর গাড়ি, স্মার্টফোনের মতো কিছু জিনিস, যা থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপাদিত হয়, সেগুলোর ব্যবহার কম করলে অর্থ খরচ কমবে, জলবায়ুর জন্যও মঙ্গল বয়ে আনবে৷
ছবি: picture-alliance/AP Images/Chinatopix
এ বিষয়ে কথা বলা
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন রোধে আপনার কোন ছোট পদক্ষেপ বড় প্রভাব ফেলতে পারে? এটা নিয়ে কথা বলুন পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে৷ আর এটা নিশ্চিত করুন যে, এ বিষয়ে তারা যাতে ভালো সিদ্ধান্ত নেয়৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে৷
ছবি: Gemeinde Saerbeck/U.Gunnka
নিজের বাড়িতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার
বাড়িতে বৈদ্যুতিক সেবা দেয়ার জন্য এমন কোম্পানিকে বেছে নিতে হবে যারা তাদের বিদ্যুত উৎপাদনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাতাস বা সৌরশক্তি ব্যবহার করে এবং যাতে তারা ‘গ্রিন ই এনার্জি’র অনুমোদনপ্রাপ্ত হয়৷ যদি এটা সম্ভব না হয়, তাহলে নিজের বিদ্যুৎ বিলের দিকে নজর রাখুন৷ অনেক কোম্পানি বিলে লিখে দেয়, তাদের বিদ্যুত উৎপাদনে কতটা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Images/Chinatopix
আবহাওয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা
ঠান্ডার সময় বাড়ির তাপমাত্রা বাড়ানো বা গরমের সময় শীতল করতে প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ হয়৷ তাই নিজের আবাসস্থলকে ‘এনার্জি এফিসিয়েন্ট’ বা জ্বালানি সাশ্রয়ী হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন, যাতে ঘরে বাতাস চলাচল এবং বাতাস বন্ধ রেখে উত্তাপ বাড়ানোর সহজ ব্যবস্থা থাকে৷
ছবি: Imago/Westend61
জ্বালানি সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি
১৯৮৭ সালে প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের যন্ত্রপাতির প্রচলন হয়৷ এ ধরনের বেশ কিছু যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে এ পর্যন্ত সেখানকার বাতাসকে ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড মুক্ত রাখা গেছে, যা বছরে ৪৪ কোটি গাড়ি থেকে নিঃসরণ হয়৷ জ্বালানি সাশ্রয়ী খুব কম খরচে কার্বন নিঃসরণ রোধের সহজ উপায়৷ তাই রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন এবং এ ধরনের যন্ত্রপাতি কেনার সময় ‘এনার্জি স্টার’ লেবেল দেখে কেনা উচিত৷
ছবি: picture alliance/blickwinkel/C. Ohde
পানি খরচ কমানো
পানির অপচয় রোধ করেও কার্বন দূষণ কমানো যায়, কেননা, পানি পাম্প করতে, গরম করতে বা ঠাণ্ডা করতে প্রচুর জ্বালানি খরচ হয়৷ তাই গোসল করার সময় কম পানি খরচ করুন৷ প্রয়োজন না হলে দাঁত মাজার সময় পানির কল বন্ধ রাখুন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Wuestenhagen
যেসব খাবার কিনছেন পুরোটা খান, মাংসের উপর চাপ কমান
যুক্তরাষ্ট্রে ১০ ভাগ জ্বালানি খরচ হয় খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, প্যাকেটজাত করা এবং সরবরাহে৷ তাই খাবার কম অপচয় করলে জ্বালানি বা শক্তি কম খরচ হয়৷ গবাদি পশু পালনে প্রচুর জ্বালানি অপচয় হয়৷ তাই মাংস খাওয়া কমালে বিরাট পরিবর্তন আসতে বাধ্য৷
ছবি: Colourbox
ভালো বাল্ব কিনুন
অন্য সব বাল্বের চেয়ে এলইডি বাল্ব শতকরা ৮০ ভাগ পর্যন্ত কম বিদ্যুৎ খরচ করে৷ এসব বাল্ব দীর্ঘস্থায়ী এবং খরচও কম৷ ১০ ওয়াটের এলইডি বাল্ব, সাধারণ ৬০ ওয়াটের বাল্বের কাজ দেয় এবং এতে অনেক কম খরচ হয়৷
ছবি: AP
প্লাগ খুলে রাখুন
বাড়ির সব যন্ত্রপাতি যোগ করলে হয়ত দেখা যাবে ৬৫টি আলাদা যন্ত্রপাতি আছে যেগুলো বিদ্যুতের সাহায্যে চলে৷ তাই যেসব যন্ত্রপাতি পুরোপুরি চার্জ হয়ে গেছে, সেগুলো চার্জে দিয়ে না রাখা, বা কোনো টাইমার সেট করা যাতে নির্দিষ্ট সময় পর চার্জিং বন্ধ হয়ে যায়৷ এছাড়া কম্পিউটার বা ট্যাব, ফোনের মনিটর কম পাওয়ার মোডে দিলেও জ্বালানির কম অপচয় হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Pape
জ্বালানি সাশ্রয়ী যানবাহন ব্যবহার
গ্যাস-স্মার্ট গাড়ি, যেমন হাইব্রিড বা ইলেকট্রিক যান চালালে জ্বালানি এবং অর্থ দুটোই সাশ্রয় হয়৷
ছবি: picture-alliance/CTK Photo/P. Mlch
বিমান, ট্রেন এবং অটোমোবাইলের ক্ষেত্রে আর একবার ভাবুন
বড় শহরগুলোতে যতটা পারেন হাঁটুন বা গণ পরিবহন ব্যবহার করুন৷ এর ফলে ব্যয়ও কমবে, জ্বালানির অপচয়ও কম হবে৷ সবচেয়ে বড় কথা এর ফলে বায়ু দূষণ অনেক কমবে৷ এছাড়া অনেক মানুষ যদি বিমানে চড়া কমিয়ে দেয়, তাহলে বড় ধরনের পার্থক্য লক্ষ্য করা যাবে৷ কেননা, আকাশ পথে চলাচল জলবায়ু দূষণের অন্যতম বড় মাধ্যম৷ বিমানের বিকল্প হিসেবে যদি ট্রেনে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকে, সেটাই বেছে নিন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Balzarini
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ধান
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ এরইমধ্যে লবণ সহিষ্ণু ধান নিয়ে কাজ শুরু করেছে৷ মাটি লবণ সহিষ্ণু হওয়ায় সূর্যমুখীর ফুলের আবাদও বেড়েছে৷ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় সক্ষম কিছু ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট৷ প্রচলিত ধানের বদলে এ ধরনের ধান চাষ যত বাড়বে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ততই সহজ হবে৷