উহানফেরত বাংলাদেশি পাইলটদের অন্য দেশে ঢুকতে বাধা
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০![Biman Bangladesh Airlines Flugzeug](https://static.dw.com/image/47666046_800.webp)
এ পরিস্থিতিতে আরও ১৭১ বাংলাদেশিকে উহান থেকে ফেরানো নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নভেল করোনা ভাইরাস নিয়ে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারির পর গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পাইলট এবং কেবিন ক্রুরা চীনে ফ্লাইট বন্ধের দাবি জানায়৷ আমেরিকান এয়ারলাইন্সের পাইলটরা এ দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলেও শোনা যায়৷
এদিকে, বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয় বলে জানায় ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷
গত শনিবার বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট উহান থেকে নারী ও শিশুসহ ৩১২ জনের প্রথম দলকে দেশে ফিরিয়ে আনে৷
ওই ফ্লাইটে পাইলট ও চিকিৎসকসহ মোট ১৯ জন ক্রু ছিলেন৷ সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক, সানিটাইজার, ডিসপোজেবল গাউনসহ বিভিন্ন সরঞ্জামও তাদের সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া ‘আকাশ প্রদীপ' নামে ওই উড়োজাহাজকে ১২ ঘণ্টা ধরে স্প্রে করে ‘জীবাণুমুক্ত' করা হয়েছে।
তারপরও ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত ও যুক্তরাজ্যসহ মোট ১১টি দেশ ‘আকাশ প্রদীপে' থাকা ক্রুদের প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে৷ ফলে তাদের এখন শুধু অভ্যন্তরীণ রুটে কাজ করতে হবে৷
যে কারণে উহান থেকে বাকি বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে এখন সরকারকে বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে৷
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখনো উহানে যারা আছেন তারা দেশে ফিরতে চাইছেন৷
"সমস্যা হল, আমাদের প্লেন পাঠালে অসুবিধা হচ্ছে। তাই তাদের আনতে যদি চার্টার করা প্লেন পাওয়া যায় তবে তা সেরা বিকল্প হবে৷ এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে, চায়নিজ চার্টার করা প্লেনে যদি আনা যায় সেটাকে ফার্স্ট প্রেফারেন্স দিতে হবে।”
চীনের উহান শহরে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর এক মাসে ৩৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ছড়িয়েছে। চীনের বাইরেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে৷
করোনা ভাইরাসের কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন নেই ৷ ফলে আপাতত নিরাপদ থাকার একমাত্র উপায় হল, যারা ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন বা এ ভাইরাস বহন করছেন- তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা এবং কিছু স্বাস্থ্য বিধি ও পরিচ্ছন্নতার নিয়ম মেনে চলা।
বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড, কানাডা, ইইউভূক্ত দেশ, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, তুরস্ক ও মিশর নিজ নিজ নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে৷
শনিবার ফিরিয়ে আনাদের কারও মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের তথ্য পাওয়া না গেলেও সাবধানতার অংশ হিসেবে তাদের আশকোনা হজ ক্যাম্পে ১৪ দিনের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে৷
তবে আটজনের শরীরে জ্বর থাকায় তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়৷ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সোমবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ওই আটজনের নমুনা পরীক্ষা করে কারো শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি।
এসএনএল/কেএম(বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)