যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং রাজা চার্লসের সঙ্গে বৈঠক করে লিথুয়ানিয়ায় রওনা হলেন বাইডেন।
বিজ্ঞাপন
সোমবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই নিয়ে ছয়বার ঋষির সঙ্গে বৈঠক করলেন বাইডেন।
ব্রেক্সিট পরবর্তী যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যনীতি নিয়ে অ্যামেরিকার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল ডাউনিং স্ট্রিটের। বিশেষ করে যুক্তরাজ্য আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে যে বাণিজ্যচুক্তি করেছিল, তা নিয়ে তীব্র আপত্তি ছিল আইরিশ-অ্যামেরিকান বাইডেনের। সুনাক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এবিষয়ে একাধিকবার দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে চুক্তিও সই হয়েছে।
ব্রিটেন জুড়ে অভিষেক উৎসবের রং
৬ মে-র মহোৎসবকে সামনে রেখে আনন্দের রঙে সেজে উঠেছে ব্রিটেন৷ সেদিন অভিষেক হবে রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি কনসোর্ট কামিলার৷ ছবিঘরে বিস্তারিত...
ছবি: Maja Smiejkowska/REUTERS
ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবে প্রস্তুত
ছবিটি গত ২৯ এপ্রিলের৷ লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে স্টোন অব ডেস্টিনির সামনে সেদিন রাজাকে স্বাগত জানানো হয়৷ সেই আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে রাজপরিবারের দুই দেহরক্ষীকে৷
ছবি: Susannah Ireland/PA Wire/dpa
স্পিকারের আনন্দ
সতের শতকে এই ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে অনুষ্ঠানস্থলে এসেছিলেন তখনকার স্পিকার৷ ৬ মের অনুষ্ঠানের জন্য ঐতিহ্যবাহী স্টেট কোচটিকে নিয়ে আসা হয়েছে প্যালেস অব ওয়েস্টমিনিস্টারের সামনে৷ ব্রিটেনের হাউস অব কমন্সের বর্তমান স্পিকার লিন্ডসে হোয়েল এমন ঐতিহাসিক গাড়ির সঙ্গে নিজের স্মৃতি ধরে রাখার সুযোগটা ছাড়েননি৷
ছবি: UK Parliament/Jessica Taylor/REUTERS
সবকিছুতেই রাজা চার্লস
রাজ্যাভিষেককে সামনে রেখে অনেক স্যুভেনির তৈরি হয়েছে৷ ওপরে তারই কিছু নমুনা৷ দেখুন কফি মগ, চকলেট সবকিছুতেই শোভা পাচ্ছে রাজা তৃতীয় চার্লসের ছবি অথবা অভিষেক অনুষ্ঠানের কথা৷
ছবি: Maja Smiejkowska/REUTERS
ভক্তদের অপেক্ষা
জন লাফরে আর স্কাই লন্ডন রাজ পরিবারের ভক্ত৷ পরিবারটির প্রতি তাদের এমনই অনুরাগ যে কিং চার্লস (তৃতীয়) এবং কুইন কনসোর্ট কামিলার অভিষেক অনুষ্ঠান দেখতে সাতদিন আগেই অনুষ্ঠানস্থলে হাজির তারা৷ অনুষ্ঠানস্থলের কাছেই তাঁবু খাটিয়ে থাকছেন রাজ পরিবারের এই দুই ভক্ত৷
ছবি: Maja Smiejkowska/REUTERS
দোকান-ভরা স্মারক
লন্ডনের প্রায় সব দোকানের মতো এই দোকানটিও এখন কিং চার্লস (তৃতীয়) এবং কুইন কনসোর্ট কামিলার অভিষেক অনুষ্ঠানের স্যুভেনিরে বোঝাই৷
ছবি: Henry Nicholls/REUTERS
পতাকায় চার্লস
এই মুহূর্তে কোথায় নেই রাজা চার্লস? লন্ডনের রাস্তার পাশের এই পতাকাতেও রয়েছে তার ছবি!
ছবি: Henry Nicholls/REUTERS
নতুন সাজে ক্যারনাবি স্ট্রিট
লন্ডনের এই রাস্তার প্রায় প্রতিটি দোকানেই রয়েছে রাজা তৃতীয় চার্লস এবং কুইন কনসোর্ট কামিলার অভিষেক অনুষ্ঠানের কিছু না কিছু স্মারক৷ ক্যারনাবি স্ট্রিটের প্রবেশমুখে তৈরি হয়েছে নতুন ফটক, সেখানে বড় বড় করে লেখা ‘করোনেশন ইন ক্যারনাবি’৷
ছবি: Maja Smiejkowska/REUTERS
রেস্তোরাঁয় রাজা চার্লস
লন্ডনের এক রেস্তোরাঁর বাইরে বসে আছেন অনেকে৷ তাদের পিছনেই দেখা যাচ্ছে রাজা তৃতীয় চার্লসের ছবি৷
ছবি: Henry Nicholls/REUTERS
আরো চার্লস
লন্ডনের আরেকটি দোকান৷ সেখানেও রয়েছে রাজা তৃতীয় চার্লসের অনেক স্যুভেনির৷
ছবি: Maja Smiejkowska/REUTERS
চেলটেনহ্যামের এক রেস্তোরাঁ
চেলটেনহ্যামের আইভি রেস্তোরাঁ দেখে মনে হবে ৬ মে যেন সেখানেই হবে রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি কনসোর্ট কামিলার অভিষেক৷ একেবারে অভিষেক অনুষ্ঠানের মতো করেই সাজানো হয়েছে রেস্তোরাঁর প্রবেশপথ৷
ছবি: Simon Newman/REUTERS
পতাকাশোভিত রাস্তা
৬ তারিখের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বিশ্বের ২০৩টি দেশের ২২০০-রও বেশি অতিথি৷ ব্রিটেনের জন্য দিনটি মহা আনন্দের৷ ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে লন্ডনের রিজেন্ট স্ট্রিট ছেয়ে গেছে জাতীয় পতাকায়৷
ছবি: Maja Smiejkowska/REUTERS
11 ছবি1 | 11
এদিন এই বিষয়গুলি নিয়ে আরো একবার কথা হয় দুইজনের। এছাড়াও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। বৈঠকের পর বাইডেন জানিয়েছেন, ঋষি তার অন্যতম বিশ্বস্ত বন্ধু। ঋষি ক্ষমতায় আসার পরে অ্যামেরিকার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে।
চার্লসের সঙ্গে বৈঠক
এদিন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে বৈঠকের পরেই সোজা রাজার প্রাসাদে উড়ে যান বাইডেন। তৃতীয় চার্সলের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হয় তার। রাজপ্রাসাদে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কিছু বিশেষজ্ঞকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। প্রাথমিক বৈঠকের পর তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাইডেন।
বাইডেন চার্লসকে জানিয়েছেন, বিশ্বের প্রথম চারটি সমস্যার মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনকে রাখেন তিনি। এনিয়ে বহু কাজ হওয়া দরকার বলে জানিয়েছেন তিনি। চার্লসও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে তার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। এবিষয়ে আরো কাজ হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এর আগে চার্লসের অভিষেকের সময় বাইডেনের যুক্তরাজ্যে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষমুহূর্তে তিনি যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন। বাইডেন তখনই ঘোষণা দিয়েছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব তিনি চার্লসের সঙ্গে গিয়ে দেখা করবেন। এতদিনে তা সম্ভব হলো।
সোমবার রাতে ন্যাটোর বৈঠকে যোগ দিতে লিথুয়ানিয়া চলে গেছেন বাইডেন।