এইডসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরেকটি সাফল্য
১৬ মার্চ ২০২০স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক ব্রিটিশ জার্নাল ‘দ্য ল্যান্সেট এইচআইভি'তে অ্যাডামকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে৷ প্রতিবেদনে চিকিৎসকরা বলেন, অ্যাডাম সুস্থ হয়ে উঠলেও সেটা ওষুধের কারণে নয়, বরং ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ায় তাকে ‘স্টেম-সেল থেরাপি' দেওয়া হচ্ছিল৷
তাকে যিনি ‘স্টেম-সেল' দান করেন তার শরীরে একটি বিরল জিন থাকায় অ্যাডামের শরীর এখন এইচআইভি প্রতিরোধে সক্ষম হয়ে উঠেছে৷ ২০১১ সালে টিমোথি ব্রাউন প্রথম এইচআইভি মুক্ত হন, যিনি ‘বার্লিন পেশেন্ট' নামে অধিক পরিচিত৷ প্রায় সাড়ে তিন বছর স্টেম-সেল থেরাপি নিয়ে এইডস রোগ থেকে সেরে ওঠেন৷
যেভাবে চিকিৎসা হয়
স্টেম-সেল প্রতিস্থাপনের পর সেগুলো মানবদেহে নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ কোষের জায়গা নিয়ে নেয়৷ এভাবেই অ্যাডামের শরীরে এইচআইভি সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে৷ ৪০ বছরে অ্যাডাম তার মুক্তির কথা সবাইকে জানাতে চান৷ এ কারণেই তিনি নিজের পরিচয় প্রকাশ করেছেন৷ এক বছর আগে তাকে এইডসমুক্ত ঘোষণা করা হয়৷
অ্যাডাম পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন একথা শতভাগ জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না৷ তবে পরীক্ষায় দেখা গেছে, স্টেম-সেল দাতার কোষ তার শরীরের ৯৯ শতাংশ ইমিউন সেলের জায়গা নিয়ে নিয়েছে৷ তবে তার শরীরের অবশিষ্ট কোষে এখনো ভাইরাস রয়ে গেছে৷ তাই এইডস তার শরীরে ফিরে আসবে না এ কথা বলা যাচ্ছে না বলে জানান চিকিৎসকরা৷
নিউ ইয়র্ক টাইমসকে অ্যাডাম বলেন, ‘‘এটা খুবই অসাধারণ কিছু৷ আমি আশার দূত হতে চাই৷ আমি চাই না লোকে ভাবুক আমি ভাগ্যবান৷ বরং এটাই সত্যি যে, আমি সঠিক জায়গায় আছি এবং সম্ভবত সঠিক সময়েও৷''
এসএনএল/এসিবি