1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিশুটি আবার ভাইরাসে আক্রান্ত

গুডরুন হাইসে/আরবি৩১ জুলাই ২০১৪

কয়েক বছর আগের কথা: এইডস রোগের ভাইরাস নিয়ে জন্ম নেওয়া একটি নবজাত শিশুর ভাইরাসকে জয় করার ঘটনা এইডস গবেষণায় এক মাইলফলক বলে ধারণা করা হয়েছিল৷

Bildergalerie - Hunde feiern Halloween
ছবি: Getty Images/Afp/Timothy Clary

যদিও সংশয়ও ছিল অনেকের মনে৷ আজ সেটাই সত্যে পরিণত হয়েছে৷

ভাইরাস প্রায় ছিলই না

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি রাজ্যে এইচআইভি নিয়ে জন্ম নিয়েছিল এক মেয়ে শিশু৷ তিনটি ওষুধের সমন্বয়ে চিকিৎসা দেওয়ার এক মাস পর দেখা যায় তার শরীরে ভাইরাস প্রায় ছিলই না৷ বলেন বাল্টিমোরের জন-হপকিন্স-ইউনিভার্সিটির ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ডেবোরা পারসড৷

আজ মেয়েটির বয়স চার৷ কিন্তু এক রুটিন পরীক্ষায় অপ্রত্যাশিতভাবে এইডস ভাইরাসের অ্যান্টিবডি খুঁজে পান চিকিত্সকরা৷ এতে বোঝা যায় এই ভাইরাস আবার বিস্তৃত হচ্ছে৷ ইমিউন সিস্টেমের টি-সেল অর্থাৎ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়েছে৷

এর কারণ হিসাবে গবেষকরা মনে করেন, ওষুধগুলি সব ভাইরাসকে ধ্বংস করেনি৷ কেন এইরকম হলো, কেন আবার জীবাণুর অস্তিত্ব প্রমাণিত হলো, তা অনুসন্ধান করতে চান গবেষকরা৷

নতুন চ্যালেঞ্জ

বিশেষজ্ঞরা হতাশ৷ চিকিৎসকরা নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হলেন এখন৷ ছোট মেয়েটি তো বটেই৷ কয়েক বছর আগের কথা৷ মিসিসিপির নবজাত বাচ্চাটির এইডস ভাইরাস মুক্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গবেষকরা বিস্মিত হয়েছিলেন৷ কেউ কেউ সংশয়ও প্রকাশ করেছিলেন৷ এর মধ্যে ছিলেন নরবার্ট বকমায়ার৷ সেই সময় ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বকমায়ার বলেন, তিনি ‘আরোগ্যলাভের' কথা বলতে চান না৷ কেননা জিনগত সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি তখনও৷ তবে গবেষণা যে ঠিক পথেই এগুচ্ছে, সে ব্যাপারে সন্দেহ ছিল না তাঁর৷

বকমায়ার বলেন,গবেষণা যে ঠিক পথেই এগুচ্ছেছবি: picture-alliance/dpa

বিস্তৃতি রোধ করা যায়

এক্ষেত্রে যে শব্দটা বার বার শোনা যায় তা হলো: ‘কার্যকরী আরোগ্য'৷ বকমায়ার-এর মতে, ভাইরাসের অস্তিত্ব প্রমাণিত হলেও বিভক্ত হওয়ার মতো ক্ষমতা তাদের নেই৷ থেরাপির সাহায্যে ভাইরাসের বিস্তৃতি রোধ করা যায়৷ ওষুধ ছেড়ে দিলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভাইরাসের সংখ্যা আবার বেড়ে যায়

মিসিসিপির বাচ্চাটির ক্ষেত্রে বিষয়টি কিছুটা ভিন্নরকম: মেয়েটি দীর্ঘদিন কোনো ওষুধ নেয়নি৷ তা সত্ত্বেও কোনো ভাইরাস প্রমাণিত হয়নি তাদের দেহে৷ কিন্তু এক পরীক্ষায় ভাইরাসের অস্তিত্ব আবার ধরা পড়ায় হতাশ হন গবেষকরা৷ এখন মেয়েটিকে আবার চিকিত্সা দেওয়া হবে৷ গবেষকদের মতে, যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়, ভাইরাসকে বাগে আনার সম্ভাবনা ততই বেশি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ