1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এইডসের ত্রিশ বছর

২১ মে ২০১৩

ফরাসি বিজ্ঞানীরা তিন দশক আগে এই মারণব্যাধির ভাইরাস আবিষ্কার করেন৷ সে যাবৎ এইচআইভি ভাইরাস ও এইডসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চলেছে৷ বর্তমানে বিজ্ঞানীরা এইডসের বিভিন্ন ওষুধ, এমনকি ‘‘নিরাময়’’ সম্পর্কেও আশাবাদী৷

At top: A new form of a human T-cell leukemia virus, or HTLV, discovered by U.S. Dr. Robert Gallo and his team at the National Cancer Institute, a division of the National Institute of Health in Bethesda, Md. Bottom shows a lymphadenopathy-associated virus, or LAV, discovered by French Dr. Luc Montagnier of the Pasteur Institute. Both Gallo and Montagnier are credited with isolating the HIV virus that causes AIDS, or the human immunodeficiency virus. A 1984 photo. (ddp images/AP Photo)
ছবি: dpad

সোমবার প্যারিসে একটি তিনদিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হয়েছে ‘‘ভবিষ্যতের কল্পনা'', এই শীর্ষক দিয়ে, কেননা ত্রিশ বছর আগে ঠিক ঐ দিনেই লুক মঁতানিয়ের-এর নেতৃত্বে পাস্তুর ইনস্টিটিউটের একদল বিজ্ঞানী সেই ‘খুনি' ভাইরাস আবিষ্কার করেন, ইংরিজিতে যার নাম দেওয়া হয় হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস বা এইচআইভি৷ পরে নোবেল পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয় সেই আবিষ্কারকে৷

১৯৮৩ সালে এইচআইভি আবিষ্কার ও পৃথক করা হয়৷ ১৯৮৪ সালে প্রমাণ হয় যে এই ভাইরাসই এইডস রোগের কারণ৷ তারপর থেকেই রক্তপরীক্ষা করে এইডস-এর সংক্রমণ যাচাই করা শুরু হয়, শুরু হয় অ্যান্টিরিট্রোভাইরাল ওষুধপত্রের বিকাশ৷ বহু বছর গবেষণার পর ১৯৯৬ সালে অ্যান্টিরিট্রোভাইরাল ড্রাগস চালু করা হয়, যা আজও মানুষের প্রাণ বাঁচিয়ে চলেছে৷

প্রয়োজন সচেতনতাছবি: ATTA KENARE/AFP/Getty Images

খড়ের গাদায় ছুঁচ খোঁজা

এই ড্রাগগুলি রোগীর শরীরে ভাইরাসের মাত্রা কমিয়ে কোনো এইচআইভি আক্রান্ত মা যেন তাঁর বাচ্চাকে সংক্রমিত না করতে পারেন, অথবা যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে যা-তে ভাইরাসটি সংক্রমিত না হতে পারে, তার ব্যবস্থা করে৷ কিন্তু এইচআইভি-র টিকা আবিষ্কারে অনুরূপ সাফল্য পাওয়া যায়নি৷ ঐ রহস্যজনক ভাইরাস, যা অনায়াসে মিউটেট করে বা নিজের রূপান্তর ঘটায়, তার অ্যান্টিবডি খুঁজে পাওয়া প্রায় খড়ের গাদায় ছুঁচ খোঁজার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে৷

‘নিরাময়ের' পথ?

কাজেই নিরুপায় হয়েই আবার দৃষ্টি পড়েছে ‘‘নিরাময়ের'' দিকে৷ এক্ষেত্রে রণকৌশলটি বাতলান ফ্রঁসোয়াজ বারে-সিনুসি, যিনি ২০০৮ সালে মঁতানিয়ের-এর সঙ্গে নোবেল প্রাইজ পান৷ বছর তিনেক আগে বারে-সিনুসি এইচআই ভাইরাসের ‘‘আধারটি'' আক্রমণ করার কথা বলেন৷ এটি কোষের মধ্যে একটি নিরাপদ স্থান, অ্যান্টিরিট্রোভাইরাল ওষুধের মুখোমুখি হয়ে ভাইরাসটা যেখানে আত্মগোপন করে৷ পরে ওষুধ বন্ধ করলেই ভাইরাস আবার তার নিরাপদ স্থান থেকে বেরিয়ে রক্তস্রোতে মিশে পড়ে এবং শরীরে ছড়িয়ে যায়৷

কাজেই বিজ্ঞানীরা চান বুঝতে, ভাইরাস ঠিক কোথায় আশ্রয় নেয়; তা এরকম কার্যকরিভাবে আত্মগোপন করে কিভাবে; তাদের গোপন আস্তানা থেকে বার করে আনার পন্থাটাই বা কি৷ ভাইরাসকে তার আস্তানা থেকে বার করে আনার প্রচেষ্টা চলেছে একটি অ্যান্টি-ক্যানসার ড্রাগের মাধ্যমে৷ বিশজন পেশেন্টের মধ্যে ১৮ জনের ক্ষেত্রে ক্যানসার ড্রাগটি ভাইরাসকে তার আস্তানা থেকে টেনে বার করতে পেরেছে৷

‘ফাংশনাল কিউর'

অপর পন্থাটি হল যাকে বলা হচ্ছে ‘‘ফাংশনাল কিউর''৷ সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যাপকভাবে অ্যান্টিরিট্রোভাইরাল দিলে এই ধরনের ‘‘নিরাময়ের'' আশা থাকে: যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি-তে একটি সদ্যোজাত শিশুকে তার জন্মের ৩০ ঘণ্টার মধ্যে আগ্রাসী অ্যান্টিরিট্রোভাইরাল ট্রিটমেন্ট দিয়ে দৃশ্যত ভাইরাসমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে৷

নিরুপায় হয়েই আবার দৃষ্টি পড়েছে ‘‘নিরাময়ের'' দিকেছবি: Bilderbox

ফ্রান্সে ১৪ জন এইচআইভি পেশেন্টকে সংক্রমণের দশ সপ্তাহের মধ্যে অ্যান্টিরিট্রোভাইরাল দিয়ে সুফল পাওয়া গিয়েছে৷ তিন বছর ধরে এদের এই ট্রিটমেন্ট চলে৷ সে যাবৎ তারা দৃশ্যত সুস্থই আছে৷

যে মারণব্যাধি সারা বিশ্বে তিন কোটি মানুষের প্রাণ নিয়েছে, যে রোগে আজও সারা বিশ্বে তিন কোটি চল্লিশ লাখ মানুষ আক্রান্ত, যে রোগে আজও বছরে প্রায় ১৮ লাখ মানুষ প্রাণ হারায় – তার বিরুদ্ধে সংগ্রামে যে কোনো প্রগতি একটি বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করতে হবে৷

এসি/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ