1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ই-বই'এর রমরমা বাড়ছে

১৯ জুলাই ২০১২

আজকাল বই মানে আর শুধু বই নয়৷ মানে কাগজে ছাপা, বাঁধানো, মলাট দেওয়া বই নয়৷ ছাপার অক্ষরের বই ফুটে উঠছে প্রায় বইয়ের আকারের কম্পিউটারের পর্দায়৷ সেই ‘ই-বুক' এই প্রথম ছাপানো বইকে পেছনে ফেলে দিলো৷

ছবি: picture alliance/dpa

২০১১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ই-বুক'এর জনপ্রিয়তা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে৷ এবার এক সমীক্ষার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, প্রাপ্তবয়স্কদের বইয়ের ক্ষেত্রে এই প্রথম ই-বুক ছাপানো বইকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে৷ ২০১০ সালে ই-বুক বিক্রির হার যেখানে ছিল মাত্র ৬ শতাংশ, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ শতাংশে৷ মার্কিন প্রকাশক ও বই শিল্প সংগঠনের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে৷ তবে ছাপানো বইয়ের আকর্ষণ একেবারে শেষ হয়ে যায় নি৷ বিশেষ করে বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে প্রকাশকদের কাছে আজও মুনাফার প্রধান উৎস সেই ছাপানো বই৷ ২০১১ সালে অ্যামেরিকায় এ ক্ষেত্রে মুনাফার মাত্রা ছিল প্রায় ১,১১০ কোটি ডলার৷ একই সময়ে ই-বুক বিক্রি করে ২০০ কোটি ডলার কামিয়েছেন প্রকাশকরা৷ প্রথম দিকে অনেক প্রকাশক ই-বুক সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ করলেও বর্তমানে প্রায় সব বড় প্রকাশকই নতুন এই মাধ্যমের দিকে ঝুঁকেছেন৷ কারণ এটা তো একটা বাড়তি ব্যবসা৷ একই বইয়ের ছাপানো এবং ই-বুক সংস্করণ বিক্রি করতে পারলে শেষ পর্যন্ত প্রকাশকই লাভবান হন৷

ছোট্ট আইপ্যাড’এর মধ্যেই আস্ত লাইব্রেরি!ছবি: picture-alliance/dpa

ছাপানো বইয়ের আকর্ষণ নতুন করে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই৷ বই তো শুধু পড়ার জন্য নয়, তা স্পর্শ করা, তার গন্ধ শোঁকা, তাক ভর্তি করে সাজিয়ে রাখার আনন্দই আলাদা৷ কিন্তু ‘ই-বুক'এরও কিছু সুবিধা আছে৷ তাছাড়া ‘ই-বুক'এর ক্ষেত্রেও একাধিক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে৷ যেমন ‘অ্যামাজন কিন্ডল'এর মতো শুধু বই-সর্বস্ব ডিভাইসে ‘ই-বুক'এর ‘কালি' প্রায় ছাপার অক্ষরের মতো৷ পর্দায় প্রায় কোনো কম্পন নেই৷ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে পড়া যায় সেই বই৷ ছোট্ট ডিভাইসের মধ্যেই পুরে ফেলা যায় আস্ত লাইব্রেরি৷ বই কিনতে দোকানে ছোটারও প্রয়োজন নেই৷ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বই কিনে ডাউনলোড করে ফেললেই হলো৷ ‘অ্যামাজন কিন্ডল' আবার প্রায় গোটা বিশ্বের মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে বন্দোবস্ত করে রেখেছে৷ থাইল্যান্ডের সমুদ্র সৈকতে বসেও আপনি সদ্য প্রকাশিত টাটকা জার্মান বই একবার ডাউনলোড করে তারপর পছন্দমতো পড়ে নিতে পারেন৷ পর্দার উপর পছন্দের জায়গায় দাগ কাটা, শব্দের অর্থ খোঁজার মতো কিছু বাড়তি গুণাগুণও রয়েছে ই-বুক'এ৷

তবে ‘ই-বুক' পড়তে গেলে আলাদা ‘ই-বুক রিডার' থাকতেই হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই৷ যে কোনো কম্পিউটারেই ই-বুক পড়া সম্ভব৷ তবে আকার-আয়তনের কারণে ট্যাবলেট কম্পিউটারই বই পড়ার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত৷ অ্যাপল কোম্পানির আইপ্যাড, অথবা অ্যান্ড্রয়েড'এর মতো অপারেটিং সিস্টেম ভরা ট্যাবলেট কম্পিউটার'এর মধ্যেও ‘ই-বুক' পড়ার আলাদা ‘অ্যাপ' বা প্রোগ্রাম থাকে৷ ফলে ‘অ্যামাজন'এর মতো বইয়ের দোকানে কেনা ই-বুক যে কোনো ডিভাইসেই পড়ে নিতে পারেন ক্রেতা৷

এসবি / ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ