1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘এই বিল বাকস্বাধীনতা রোধ করার সামিল'

সমীর কুমার দে ঢাকা
৬ অক্টোবর ২০১৬

নতুন বিলে কোনো বেসরকারি সংস্থা বা ব্যক্তি সংবিধান ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিদ্বেষমূলক অথবা অশালীন বক্তব্য দিলে বা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড করলে, তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে৷ এমনকি এনজিও-টির নিবন্ধন বাতিলও হতে পারে৷

প্রতীকী ছবি, বাকস্বাধীনতা
ছবি: picture-alliance/dpa

‘‘এই বিল পাসের ফলে বিশ্ববাসীর কাছে দেশ সম্পর্কে একটা খারাপ বার্তা গেল৷'' ডয়চে ভেলের কাছে এমন মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক বা সুজন-এর সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার৷ তিনি বলেন, ‘‘সংবিধানে কিছু মৌলিক অধিকারের কথা বলা আছে, যা আইন দিয়ে রোহিত করা যাবে না৷ তার মধ্যে বাকস্বাধীনতা একটি৷ এই বিল পাস বাকস্বাধীনতা রোধ করার সামিল৷ এখন থেকে বিশ্ববাসী জানবে, বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা বলে কিছু নেই৷''

গত বুধবার সংসদে বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন বিল, ২০১৬ পাস হয়৷ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সংসদে বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করলে, তা কণ্ঠভোটে পাস হয়ে যায়৷

বদিউল আলম মজুমদার

This browser does not support the audio element.

এর আগে, গত বছরের ১লা সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন মতিয়া চৌধুরী৷ এর কয়েকদিন পর টিআইবি-র ‘পার্লামেন্ট ওয়াচ' প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান সংসদকে ‘পুতুলনাচের নাট্যশালা' বলে মন্তব্য করেন৷ বলা বাহুল্য, এই মন্তব্যকে ঘিরে সংসদে সমালোচনার ঝড় ওঠে৷ এক পর্যায়ে আইন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি টিআইবি-কে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানায়৷ ঐ মন্তব্যের পর সংসদীয় কমিটি বিলে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ‘কটাক্ষমূলক মন্তব্য ও অপরাধ'-সম্পর্কিত এই বিধান যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়৷

বিলটি পাসের পর ইফতেখারুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সরকারের তরফ থেকে আমাদের বলা হয়েছিল, চূড়ান্তভাবে উপস্থাপনের আগে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে৷ কিন্তু কিছুই করা হয়নি৷ আর বিদ্বেষমূলক বা অশালীন বক্তব্য কোনটা, তার কোনো ব্যাখ্যা নেই৷ কারও কাছে যেটা সমালোচনা, সেটা অন্য কারও কাছে অশালীন মন্তব্য বলে মনে হতে পারে৷ তাই এই আইনের যাতে কোনো অপপ্রয়োগ না হয় সেদিকে সরকারের খেয়াল রাখা উচিত৷''

ইফতেখারুজ্জামান

This browser does not support the audio element.

জানা যায়, সামরিক শাসনামলের আইন বাংলায় ও যুগোপযোগী করতে উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে আইনটির খসড়া তৈরি হয়৷ এ প্রসঙ্গে ফেডারেশন অফ এনজিওস ইন বাংলাদেশের (এফএনবি) পরিচালক তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘বেসরকারি সংস্থাগুলো সরকারের সম্পূরক হিসেবে, কোনো কোনো ক্ষেত্র সরকারের অংশীদার হিসেবে কাজ করে৷ সেখানে সংবিধান ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিদ্বেষমূলক বা অশালীন বক্তব্য দেওয়া বা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড করার প্রশ্নই আসে না৷ তাই এ সম্পর্কে নতুন করে মন্তব্য করারও কিছু নেই৷''

গতকাল সংসদে পাস হওয়া এই বিলে আরও বলা হয়, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে নিষিদ্ধঘোষিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বৈদেশিক অনুদান গ্রহণ করতে পারবে না৷ বিদেশ থেকে পাওয়া অনুদান যে কোনো তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে৷ কোনো প্রতিষ্ঠান নারী, শিশু, মাদক ও অস্ত্র পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকলে, তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে৷ এক্ষেত্রে এনজিও-টির নিবন্ধনও বাতিল করা হতে পারে৷

এনজিও-তে বিদেশি উপদেষ্টা নিয়োগের ক্ষেত্রেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা ছাড় নিতে হবে৷ এছাড়া বিদেশি অনুদান একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাবে (মাদার অ্যাকাউন্ট) থাকতে হবে৷ ব্যয়ের হিসাব অডিট করার পর এনজিও-বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালকের কাছে দিতে হবে৷ এনজিও-বিষয়ক ব্যুরো এ সব বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কার্যক্রম পরিদর্শন, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করবে৷

বন্ধুরা, এ বিলটি কি আপনি সমর্থন করেন? জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ