এই রায় সব আইনি নজির ও যুক্তির পরিপন্থি: ইউনূস
১ জানুয়ারি ২০২৪শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং প্রতিষ্ঠানটির তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত৷ এছাড়া তাদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে৷ ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক এই মামলা দায়ের করেছিলেন৷
রায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ডয়চে ভেলেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে প্রফেসর ইউনূস এই রায়কে ‘আইনি নজির ও যুক্তির পরিপন্থী' হিসেবে অভিহিত করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি আমার সাধ্যমতো বাংলাদেশের জনগণের সেবা করে যাবো ও সামাজিক ব্যবসার আন্দোলনে কাজ করে যাবো৷ আমার আইনজীবীরা আদালতে দৃঢ়ভাবে যুক্তি দেখিয়েছেন, আমার বিরুদ্ধে এই রায় সব আইনি নজির ও যুক্তির পরিপন্থী৷ আমি বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককে অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে এক কণ্ঠে কথা বলার আহ্বান জানাই৷''
এদিকে ডয়চে ভেলেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, ‘‘তাকে (ড. ইউনূস) এখানে আটকানোর জন্য এবং হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য, হ্যারাসমেন্ট করার জন্য...এটা করা হয়েছে৷''
শ্রম আদালতে মামলা যেখানে পাঁচ বছরেও শেষ হয় না সেখানে এই মামলার শুনানি অস্বাভাবিক দ্রুত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি৷ জানান, এক মাসে আট-দশটি শুনানির তারিখ দেয়া হয়েছে৷ এই আইনজীবী বলেন, ‘‘এক সপ্তাহের ভেতরে শুনানি করে নজিরবিহীনভাবে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত সাড়ে নয় ঘণ্টা শুনানি করে এখানে রাখা হয়েছে যেটা শ্রম আদালতের ইতিহাসে হয় নাই৷''
ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা ড. ইউনূসের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন৷ রায়ের পর সাংবাদিকদের দেয়া প্রতিক্রিয়ায় ড. ইউনূস বলেন, ‘‘যে দোষ করিনি, সেই দোষের শাস্তি পেলাম৷ এটাকে ন্যায়বিচার যদি বলতে চান, তাহলে বলতে পারেন৷’’
এফএস/এসিবি