1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এএফডির সমর্থন নেওয়ায় সিডিইউ, ম্যার্ৎসের জনপ্রিয়তা কমেছে

৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জার্মান পার্লামেন্টের দুটি প্রস্তাব পাসের জন্য অভিবাসনবিরোধী দল এএফডির সমর্থন নেওয়ায় সিডিইউ দল ও তার চ্যান্সেলর প্রার্থীর প্রতি জনসমর্থন কমেছে৷

জার্মানির লাইপজিস শহরে কট্টর ডানপন্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
পার্লামেন্টে অতি-ডানপন্থি এএফডি এর সঙ্গে সহযোগিতা করার পর সিডিইউ/সিএসইউ জোট নির্বাচনে পিছিয়ে পড়েছেছবি: Paul-Philipp Braun/epd/IMAGO IMAGES

মঙ্গলবার প্রকাশিত জরিপে এই তথ্য জানা গেছে৷

সিডিইউ বা খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী দলটির প্রতি এখন ২৮ শতাংশ মানুষের সমর্থন আছে৷ অর্থাৎ ,আগের চেয়ে সমর্থন দুই শতাংশ কমেছে৷ আর এই দলের চ্যান্সেলর প্রার্থী ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসের সমর্থন তিন শতাংশ কমে ২২ হয়েছে৷

জনপ্রিয়তা কমলেও সিডিইউ এখনও সবচেয়ে বেশি জনসমর্থন পাওয়া দল৷ এবং ম্যার্ৎসও সবচেয়ে বেশি সমর্থন থাকা চ্যান্সেলর প্রার্থী৷ দল হিসেবে সিডিইউর পরে আছে এএফডি (২০ শতাংশ), সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি (১৬ শতাংশ) ও সবুজ দল (১৫ শতাংশ)৷ আর চ্যান্সেলর প্রার্থী হিসেবে ম্যার্ৎসের সঙ্গে একই অবস্থানে আছেন সবুজ দলের প্রার্থী রব্যার্ট হাবেক (বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর)৷ আর এসপিডির ওলাফ শলৎস (বর্তমান চ্যান্সেলর) ও এএফডির আলিস ভাইডেল ১৬ শতাংশ সমর্থন নিয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন৷

জার্মানির গণমাধ্যম আরটিএল ও এনটিভির জন্য জরিপটি করেছে ফোরসা ইনস্টিটিউট৷ ২৮ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জরিপটি পরিচালনা করা হয়৷

অভিবাসন ইস্যুতে গত বুধ ও শুক্রবার সংসদে দুটি প্রস্তাব এনেছিলেন ম্যার্ৎস৷ দুটিতেই তিনি এএফডির সমর্থন পেয়েছিলেন৷ তবে বুধবারের প্রস্তাবটি পাস হলেও শুক্রবারেরটি অল্পের জন্য পাস হয়নি৷ বুধবারের প্রস্তাবটি পাস হলেও সেটি বাস্তবায়নে আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা নেই৷ তবে শুক্রবারের প্রস্তাবটি পাস হলে তা বাস্তবায়নে আইনি বাধ্যবাধকতা ছিল৷

এএফডিকে নিয়ে সমস্যা কেন?

এএফডি হচ্ছে জার্মানির অভিবাসনবিরোধী দল৷ উগ্র ডানপন্থি সন্দেহে নিরাপত্তা বাহিনী সবসময় এই দলের কর্মকাণ্ডের উপর নজর রাখে৷ এএফডির সঙ্গে কোনো পর্যায়ে কাজ করা না নিয়ে জার্মানির অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে একধরনের সমঝোতা ছিল৷ তাই গত সপ্তাহে যখন ম্যার্ৎস তার প্রস্তাব পাস করতে এএফডির সমর্থন নেন তখন দেশব্যাপী বিক্ষোভ হয়েছিল৷ অন্যান্য দলও তার সমালোচনা করেছিল৷

তবে সপ্তাহান্তে ডিডাব্লিউর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ম্যার্ৎস নিজেকে ও তার দলকে এএফডির কাছ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার বার্তা সবসময় খুব স্পষ্ট ছিল: আমরা সেই (এএফডি) দলের সাথে কাজ করছি না৷ বিষয়টি গত সপ্তাহে এমন ছিল না, এবং এই সপ্তাহেও নয়, পরের সপ্তাহে বা তার পরের সপ্তাহেও থাকবে না৷''

কেট হেয়ারসিন/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ