1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এএফডি নিষিদ্ধের ব্যাপারে 'সন্দিহান' ম্যার্ৎস

১৭ মে ২০২৫

জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করা অতি-ডানপন্থি পপুলিস্ট দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি বা এএফডি এর উপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবের যৌক্তিকতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস
পার্লামেন্ট নয়, বরং নির্বাহী বিভাগকেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে মনে করেন নতুন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসছবি: Markus Schreiber/AP Photo/picture alliance

জার্মান গণমাধ্যম ডি সাইটকে ম্যার্ৎস বলেন, "রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার পদ্ধতি সম্পর্কে আমি সবসময়ই খুব সন্দিহান।"

তিনি বলেন, "আমি সর্বদাই পার্লামেন্টের কেন্দ্রস্থলে থেকে এই ধরনের প্রক্রিয়া পরিচালনা করা থেকে বিরত থেকেছি। এটি আমার কাছে রাজনৈতিক বিরোধীদের তাড়ানোর মতো মনে হয়।"

এপ্রিলের শেষে জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা- বিএফভি এএফডিকে "নিশ্চিত ডানপন্থি চরমপন্থি" হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করে। এর বিরুদ্ধে আদালতে দলটির আপিলের ফল না আসা পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে এই শব্দবন্ধ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার কথা জানিয়েছে বিএফভি।

ম্যার্ৎস বলেন, এএফডি জার্মানিতে "উদার ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ও সহিংসভাবে" কাজ করছে, এটা "প্রমাণিত" হতে হবে। তিনি মনে করেন, এটা প্রমাণের দায়িত্ব পার্লামেন্ট নয় বরং রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের উপর বর্তায়।

বিএফভি তাদের সিদ্ধান্তে বলেছে, এএফডি "স্বতন্ত্র জাতিগত এবং বংশগত ধারণার ভিত্তিতে কাজ করে, যার ফলে জার্মানির সামগ্রিক জনগোষ্ঠীকে অবমূল্যায়ন করা হয় এবং তাদের মানবিক মর্যাদা লঙ্ঘন হয়।"

জনমত জরিপে এএফডি এর সমর্থন প্রায় ২০ শতাংশ। তবে জার্মানির প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো, যেমন ম্যার্ৎসের রক্ষণশীল খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী সিডিইউ এবং মধ্য-বামপন্থি সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি উগ্র ও ডানপন্থি এই দলের সঙ্গে জোট গঠন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

বেশিরভাগ জার্মান মনে করেন, এএফডি এর এজেন্ডা গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং মানবিক মর্যাদার পরিপন্থি। কিন্তু অতি-ডানপন্থি এই দলকে কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, এটি হয়ে উঠেছে বড় এক আলোচনার বিষয়। এর পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত রয়েছে। অনেক মনে করেন, দলটিকে নিষিদ্ধ না করলে জার্মানির গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়তে পারে। অনেকে মনে করেন, এমন সিদ্ধান্ত জার্মান সমাজকে আরও বিভক্ত করতে পারে।

এডিকে/এআই (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ