নাগরিক ঐক্যের প্রধান মাহমুদুর রহমান মান্না নানা সমালোচনার জন্ম দিয়ে অবশেষে আটক হয়েছেন৷ বেশি আলোচনা হচ্ছে বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে তাঁর কথোপকথন নিয়ে, যা ইন্টারনেট আর ইউটিউব-এ ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে৷
বিজ্ঞাপন
পরিবারের সদস্যদের দাবি, মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মঙ্গলবার ভোররাতে বনানীর এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে দিয়ে কয়েকজন নিয়ে গেছে৷ তবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘তাঁকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগসহ কোনো বিভাগই আটক করেনি৷ এর বাইরে কেউ আটক করে থাকলে আমাদের জানা নেই৷''
মঙ্গলবার বিকেলে নাগরিক ঐক্যের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে মান্নার অবস্থান জানাতে সরকারের কাছে দাবি করা হয়৷ এছাড়া মান্নার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি বা জিডি-ও করা হয়েছে৷ গুলশান থানা পুলিশ জানিয়েছে, তারা জিডিটি গ্রহণ করে মান্নার অবস্থান জানার চেষ্টা করছেন৷
এর আগে সোমবার বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা এবং মাহমুদুর রহমান মান্নার কথোপকথন প্রকাশ পায়৷ এই কথোপকথন বাংলাদেশের গোয়েন্দারাই রেকর্ড করেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে৷ খোকা-মান্নার এই কথোপকথনে বর্তমান সরকারবিরোধী আন্দোলন এবং এর কৌশল নিয়ে বক্তব্য রয়েছে৷
সাংবাদিকদের জন্য দুঃসময়
একটি সমীক্ষা অনুযায়ী গত দশ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিস্থিতি এতো খারাপ দেখা যায়নি৷ বিশ্ব জনসংখ্যার ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষ বাস করেন যে সব দেশে, সে সব দেশে সাংবাদিকদের কাজে হস্তক্ষেপ করা হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images
মধ্য এশিয়ার পরিস্থিতি
ফ্রিডম হাউস নামে একটি প্রতিষ্ঠান ১৯৯৭টি দেশের ওপর একটি সমীক্ষা চালিয়েছে, যার ফলাফলে দেখা গেছে, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান এবং বেলারুশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সবচেয়ে কম৷ অন্যদিকে সাংবাদিকদের সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা রয়েছে নেদারল্যান্ডস, সুইডেন এবং নরওয়েতে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সাংবাদিকদের ওপর হামলা
তুরস্কে অনেক সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়েছে৷ সাংবাদিক গ্যোকহান বিচিচি-কে প্রেপ্তার করা হয় গেজি পার্কে বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে৷ সাংবাদিকদের স্বার্থরক্ষা কমিটির মতে গত ডিসেম্বরের শুরুতে তুরস্কে ৪০জন সাংবাদিকদের আটক করা হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images
অপ্রিয় রিপোর্ট
ইউক্রেনেও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়৷ বিশেষ করে কিয়েভের ময়দান স্কোয়ারে প্রতিবাদ বিক্ষোভের সময়৷ সরকারের সমালোচক সাংবাদিক টেটিয়ানা চর্নোভোল ঐ হামলার শিকার হন৷ তিনি পদচ্যুত প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ বিলাসী জীবনযাত্রার ওপর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন৷ হাজারো মানুষ এই সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন৷
ছবি: Genya Savilov/AFP/Getty Images
মিথ্যা বলা বন্ধ করুন!
চীন এবং রাশিয়াতেও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সমালোচনার মুখে৷ দুই দেশের সরকারই মিডিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে এবং সরকারের মতামত মিডিয়াকে জানানোর জন্য একটি আইনও প্রণয়ন করে৷ এমনকি রাশিয়ায় সংবাদ সংস্থা ‘রিয়া নভোস্তি’ বন্ধ করে সেটা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব করা হয়৷ অনেক রুশ নাগরিকের তা পছন্দ না হওয়ায় তারা ‘মিথ্যা বলা বন্ধ করুন’ প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মার্কিন সরকারের আড়িপাতা
অ্যামেরিকায় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রয়েছে৷ কিন্তু মার্কিন তথ্যনীতি ক্রমঃশই প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে৷ সমীক্ষা অনুযায়ী, সরকার সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে গেছে৷ শুধু তাই নয়, এমনকি সরকার সাংবাদিকদের কাছে তথ্য সূত্রও জানতে চায়৷ এছাড়া, মার্কিন সরকার সংবাদ সংস্থা এপি-র সাংবাদিকদের টেলিফোনেও আড়ি পেতেছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
মুবারক জমানায় প্রত্যাবর্তন
মিশরে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে৷ প্রেসিডেন্ট মুরসির পতনের পর সেখানকার পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে৷ সমীক্ষা প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউস-এর মতে, ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে সামরিক অভ্যুথ্যানের পর থেকে বেশ কিছু সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয় হয় এবং পাঁচজন মারা যান৷
ছবি: AFP/Getty Images
মালিতে পরিস্থিতির উন্নতি
মালিতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ইতিবাচক উন্নতি হয়েছে৷ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ইসলামি বিদ্রোহীদের দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিতাড়নের পর মালির আইন ও শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়৷ ২০১২ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর বেশ কিছু মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো৷ সেগুলো এখন আবার কাজ করছে৷
ছবি: AFP/Getty Images
কিরগিজিস্তান ও নেপালে ইতিবাচক প্রবণতা
যে সব দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বাড়ছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে কিরগিজিস্তান৷ সেখানকার সাংবাদিকরা ২০১৩ সালে খুব কম আক্রমণের শিকার হয়েছেন৷ নেপালেও মিডিয়ার ওপর রাজনৈতিক প্রভাব কমেছে, যদিও সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়া বন্ধ হয় নি৷ সমীক্ষা অনুযায়ী ইসরায়েলেও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার উন্নতি হয়েছে এবং এখন তাঁরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন৷
ছবি: AFP/Getty Images
8 ছবি1 | 8
যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, ‘‘মান্না নাশকতা করে আন্দোলন সফল করার কথা বলেছেন৷ তিনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি হল দখল এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিতে হবে৷ এতে কয়েকটা লাশ পড়লেও কিছু করার নেই৷ এছাড়া তাঁর সমাবেশে বিএনপি থেকে লোক সরবরাহের অনুরোধ করেছেন তিনি৷''
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আরেকটি কথোপকথনে মান্না সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপের কথাও বলেছেন৷''
মাহমুদুর রহমান মান্না ও সাদেক হোসেন খোকার কথোপকথনের রেকর্ড সংবাদমাধ্যমগুলো প্রচার করেছে, যা ইউটিউবসহ নানা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে৷ এরপর, অর্থাৎ কথোপকথন প্রচার হওয়ার পর সোমবার বিকেলে প্রেসক্লাবের সামনে তাঁর পূর্ব নির্ধারিত গণমিছিল কর্মসূচি স্থগিত করেন মান্না৷
ঐ দিনই অবশ্য তিনি ফেসবুকে আত্মপক্ষ সমর্থন একটি ‘স্ট্যাটাস' দেন৷ তাতে তিনি খোকার সঙ্গে কথোপকথনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘‘এমনিতেই তো লোকজন মারা যাচ্ছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে দু-একটা লাশ পড়লে আর কি করা যাবে!'' বলা বাহুল্য, এতেও ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে৷
মান্নার কথোপকথন নিয়ে সুশীল সমাজের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক ড. শান্তনু মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘সরকারকে যে কেউ রাজনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন৷ কিন্তু মান্না যেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলে আন্দোলন সফল করার কথা বলেছেন, তা ন্যাক্কারজন৷ তাঁর এই অধঃপতন আমাকে ব্যথিত করেছে৷ তিনি আনুষ্ঠানিভাবে তাঁর চরিত্র প্রকাশ করেছেন৷''
শান্তনু মজুমদারের কথায়, ‘‘মান্নার দু'টি বক্তব্যের রেকর্ডই আমি শুনেছি৷ তিনি অগণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার উত্খাতের কথা বলেছেন, যা খুবই দুঃখজনক৷ তবে মঙ্গলজনক এটাই যে, তাঁর এই পরিকল্পনা ফাস হয়ে গেছে৷''
ড. মজুমদার বলেন, ‘‘ঊনবিংশ শতাব্দিতে বাংলা নবজাগরণের মাধ্যমে এখানে সুশীল সমাজের উদ্ভব৷ এবং এই সমাজ এখন অনেক বিস্তৃত৷ কিন্তু বর্তমানে সুশীল সমাজের নামে কেউ কেউ অরাজনৈতিক শক্তিকে ক্ষমতায় এনে দেশকে বিরাজনীতিকরণ করতে চান, যা দেশের গণতন্ত্রের জন্য চরম ক্ষতিকর৷''
অস্থির বাংলাদেশ
বাংলাদেশে দশম সংসদীয় নির্বাচনের বছরপূর্তিতে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷ এতে একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে৷ ৫ই জানুয়ারি রাজনৈতিক অস্থিরতার কয়েকটি ছবি পাবেন এখানে৷
ছবি: picture alliance/ZUMAPRESS.com
অবরুদ্ধ খালেদা
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে তাঁর গুলশান কার্যালয়ে আটকে রেখেছে পুলিশ৷ যদিও সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, তবে সোমবার তিনি বাইরে যেতে চাইলে পুলিশ তাঁর গেটে তালা লাগিয়ে দেয়৷ ফলে অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন গেটের মধ্যেই৷
ছবি: AFP/Getty Images
অবরোধ ঘোষণা
অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন৷ গুলশানের কার্যালয়ে সোমবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘আজ আমাদের কালো পতাকা কর্মসূচি ছিল৷ সমাবেশ করতে দেওয়া হয় নাই৷ পরবর্তী কর্মসূচি না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলবে৷’’
ছবি: picture-alliance/epa/A. Abdullah
খালেদার কার্যালয় ঘিরে পুলিশ
প্রসঙ্গত, গত দু’দিন ধরে খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ৷ ছবিতে পুলিশে একটি গাড়ি রাস্তায় আড়াআড়িভাবে রেখে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ এভাবে আরো কয়েকটি বালু এবং ইটভর্তি ট্রাকও রাখা হয়েছে৷
ছবি: picture alliance/Landov
গাড়িতে আগুন
রবিবার থেকেই ঢাকায় সভা, সমাবেশ, শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছিল৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও সমাবেশ করার সিদ্ধান্তে অটল থাকে বিএনপিসহ বিশ দল৷ ঢাকায় একটি সিএনজি এবং মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ছবি এটি৷ বিএনপি সমর্থকরা এটা করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা৷
ছবি: picture alliance/ZUMAPRESS.com
পার্ক করা গাড়িতে আগুন
পার্ক করে রাখা একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দিচ্ছে বিএনপির সমর্থকরা৷ ছবিটি ঢাকা থেকে তোলা৷
ছবি: picture-alliance/epa/A. Abdullah
রাজপথে সরব আওয়ামী লীগ
পুলিশ সভা, সমাবেশ নিষিদ্ধ করলেও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হন৷ বিষয়টি সমালোচনা করে ফেসবুকে সাংবাদিক প্রভাষ আমিন লিখেছেন, ‘‘...নিষেধাজ্ঞা কি শুধু বিএনপির জন্য? আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তো দেখি শহরজুড়ে মিছিল করছে, উল্লাস করছে, গান শুনছে, গান গাইছে৷’’ ছবিতে ঢাকায় বিএনপির এক সমর্থককে পেটাচ্ছে আওয়ামী লীগের কর্মীরা৷
ছবি: picture-alliance/epa/A. Abdullah
‘শান্তির পথে আসুন’
এদিকে সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে বিএনপি নেত্রীকে শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ তবে মধ্যবর্তী নির্বাচনের যে দাবিতে বিএনপিসহ বিশদল আন্দোলন করেছে, সেই দাবির প্রতি কোন নমনীয়তা দেখাননি তিনি৷ হাসিনা মনে করেন, সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেয়াটা বিএনপির রাজনৈতিক ভুল ছিল৷
ছবি: Oli Scarff/Getty Images
‘একতরফা’ নির্বাচন
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল অংশ নেয়নি৷ সেই নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনে কোন ভোটাভুটি হয়নি৷ বাকি আসনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল বেশ কম৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেটিকে ‘একতরফা’ নির্বাচন আখ্যা দিয়েছে৷
ছবি: DW
8 ছবি1 | 8
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. সফিউল আলম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘অডিওতে যা শুনেছি তা যদি মান্না সাহেব বলে থাকেন তাহলে এটি নিশ্চিত যে তিনি দেশ এবং গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন৷ তিনি রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করেছেন৷ তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়াই স্বাভাবিক৷''
তবে তিনি এ কথাও বলেন, ‘‘মাহমুদুর রহমান মান্নাকে যদি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে থাকে তাদের তা মান্নার পরিবারকে জানান উচিত৷''
অন্যদিকে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘মান্না কী বলেছেন তা আমি শুনিনি বা এ সংক্রান্ত কোনো প্রতিবেদনও পড়িনি৷ তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না৷''
মাহমুদুর রহমান মান্না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণিত বিভাগে মাস্টার্সে ভর্তি হয়ে ১৯৭৯ সালে জাসদ ছাত্রলীগ থেকে ঢাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নির্বাচিত হন৷
এর আগে ১৯৭২ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় জাসদ ছাত্রলীগ থেকেই চাকসু-র ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন৷ মান্না পরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন৷ আওয়ামী লীগ তাঁকে দল থেকে অব্যাহতি দিলে তিনি নাগরিক ঐক্য নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন৷ ঐ দল গঠন করার আগে তিনি সুশীল সমাজের ব্যানারে নানা কর্মসূচি পালন করেন৷
সম্প্রতি সুশীল সমাজ যে সংলাপের উদ্যোগ নেয় তাতেও যুক্ত ছিলেন মান্না৷ পরে অবশ্য তাঁকে বাদ দেয়া হয়৷