1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজআফ্রিকা

একটা জঙ্গল ও ১১টি গ্রামের গল্প

৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২

বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের একটা অভিনব উপায় বের করেছেন আফ্রিকার দেশ আইভরি কোস্টের একদল গবেষক৷ তারা গ্রামবাসীদের নিয়ে সমিতি করেছেন৷ সমিতির আয়ের ব্যবস্থা করেছেন৷ সেই আয় বন ও মানুষ উভয়ের কাজে লাগাচ্ছেন৷

Stills aus der Eco Africa-Sendung (03.12.2021)
ছবি: CSRS, RASAPCI, ReWild, WAPCA, Zoo de Mulhouse, UICN, Noé / Ciel Azur, European Union.

মোনিইউ ইয়াইয়া কুলিবালি ও তার গবেষক দল প্রতি মাসেই তানো-এ-এহি জঙ্গলে পশুপাখি পর্যবেক্ষণে যান৷

একটা সময় শিকারী ছিলেন তিনি৷ তার সহজাত ধারণা তাকে সাহায্য করত৷ এখন অবশ্য তিনি প্রাণী সুরক্ষায় কাজ করেন৷ বিশেষ করে বানরদের জন্য৷ পর্যবেক্ষণ মিশনগুলোতে এ অঞ্চল সম্পর্কে তার জ্ঞান তাকে সাহায্য করে৷

আইভোরি কোস্টের দক্ষিণ-পূর্বে তানো-এ-এহি বনে ছয়টি ভিন্ন প্রজাতির বানর বাস করে৷ তাদের মধ্যে রয়েছে রোলোওয়ে - এক বিপন্ন প্রজাতির বানর, যা শুধু এখানেই দেখা যায়৷

গেল 50 বছরে, আইভোরি কোস্ট ৮০ ভাগেরও বেশি বনভূমি হারিয়েছে চোরাশিকার ও মনোকালচারের কারণে৷

তবে গহীন হবার কারণে তানো-এ-এহি জঙ্গল এখনো টিকে আছে৷ এর চারপাশে জলাভূমি৷ তাই বছরের একটা বড় অংশ জুড়ে এখানে ঢোকা কঠিন৷ এই ১২ হাজার হেক্টর এলাকা এখনো বিপন্ন স্তন্যপায়ীদের অভয়ারণ্য৷

সমিতির মাধ্যমে বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ

04:22

This browser does not support the video element.

সুইস সেন্টার ফর সায়েন্টিফিক রিসার্চ পর্যবেক্ষণের জন্য এই বৈজ্ঞানিক মিশনগুলোর উদ্যোগ নিয়েছে৷ তাদের কাজ বন সংরক্ষণ এবং পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ৷ গবেষক ড. কফি জাহা আন্দ্রের ভাষায়, ‘‘বনের কোন এলাকার সংরক্ষণে আরও মনোযোগী হতে হবে, তা বায়ো-মনিটরিংয়ের মাধ্যমে জানা সম্ভব৷ কারণ, কোথাও প্রাণীরা বেশি থাকে, কোথাও মানুষের কর্মকাণ্ড বেশি৷''

গবেষকরা স্থানীয় গ্রামে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করেন৷

যেমন এখানে, তারা একটি নতুন, উচ্চ ফলনশীল জাতের কাসাভা রোপণ শেখাচ্ছেন৷ কারণ গ্রামবাসীদের উপার্জনের যথেষ্ট উপাদান থাকলে তারা বনে সম্পদ খুঁজতে যাবেন না৷

স্থানীয় নারীদের একটি দল একটি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন উদ্যোগে যোগ দিতে সম্মত হয়েছেন৷ স্থানীয় কৃষক নিয়ামকে আদজোবা বলেন, ‘‘কাসাভা বিক্রি করে আমার যে লাভ হয় তা আমি সমিতির তহবিলে রাখি৷ যদি বন সংরক্ষণের কাজে অর্থ প্রয়োজন হয়, বা যদি কেউ অসুস্থ হয়, আমরা এখান থেকে টাকা তুলি৷ তাই এটি বন ও মানুষ উভয়ের কাজে লাগে৷''

আয়ের ১০ ভাগ বন সুরক্ষায় নিয়োজিত মনিটরিং দলগুলিকে দেয়ার জন্য রাখা হয়৷ গবেষকরা ১১টি গ্রামের মানুষকে এই প্রকল্পে যোগ দিতে রাজি করিয়েছেন৷

‘‘দীর্ঘমেয়াদে, স্থানীয় মানুষকেই এই কাজ চালু রাখতে হবে৷ এমনকি আমরা এখানে না থাকলেও৷ তাই পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমটি কেমন করে টেকসই করা যায়, তাই শেখাচ্ছি আমরা,'' বলেন ড. আন্দ্রে৷

১১টি গ্রাম একটিই সংরক্ষণ ও উন্নয়ন সমিতির অন্তর্গত, এবং কুলিবালি এর সভাপতি৷ নিজের ক্ষেতে আর গাছ না কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি৷  তিনি বনে কৃষিকাজের পরীক্ষা করছেন৷ কমলা, কোকো আর নারকেল গাছ বেড়ে তুলছেন৷ তার আয়ের সিংহভাগ আসে এখান থেকেই৷

মোনিইউ ইয়াইয়া কুলিবালির ভাষায়, ‘‘আমি এভাবেই অবসরে যাচ্ছি৷ আমি যখন থাকব না, তখন আমার ছেলেমেয়েরা দেখবে যে তাদের বাবা ভালো কিছু করে গেছে এবং তারাও শিকারী হবে না৷ শিকারী হয়ে কতটাই বা খাবার জোটে?''

গ্রামবাসী আর গবেষক দল মিলে বনটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করার জন্য আবেদন করেছেন৷ এখন তারা কেবল রাষ্ট্রপতির আদেশের অপেক্ষায়৷

ক্লেলিয়া বেনার্ড/জেডএ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ