৫ জুন থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত চলার পরে মেলায় ঈদের বিরতি৷ ঈদের পরে ১ জুলাই শুরু হয়ে ১২ জুলাই পর্যন্ত চলবে মেলা৷ সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১২৪টি স্টলে ফলদ, বনজ গাছ, নানা ফুলের সমারোহ আর ইনডোর- আউটডোর গৃহসজ্জার গাছ ও লতাপাতায় সেজে ওঠা মেলায় প্রবেশ করতে কোনো টাকা লাগে না৷

এই বনসাই গাছটির দাম চাওয়া হয়েছে ১২ লাখ টাকা৷ আশুলিয়া নার্সারি দাবি করছে থাইলান্ডের ‘ফিকাস’ নামের এই গাছটি ৩৫ বছর ধরে বনসাই করেছেন তারা৷

ভারত থেকে আনা এই দৃষ্টিনন্দন ক্যাকটাসটি বড় হয়েছে বাংলাদেশের মহানন্দা নার্সারিতে৷ দাম চাওয়া হচ্ছে ছয় হাজার ৫০০ টাকা৷

নানা জাতের আম গাছ উঠেছে বৃক্ষমেলায়৷ পুরো মেলায় এক হিসেবে আমসহ আম গাছই বেশি৷ চিয়াংমাই নামের এই আম মেলায় সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে৷

মেলায় পাওয়া যাচ্ছে নানা ধরনের ঔষধি গাছ৷ স্টলগুলোও সাজানো হয়েছে ঔষধি বাগানের মতো করে৷

রাবার গাছ নিয়ে এসেছে বন শিল্প কর্পোরেশন৷ তারা রাবার গাছের চারাও বিক্রি করছে মেলায়৷

গৃহসজ্জার এই লতা ঘাছটির নাম ‘লাভ লিফ’৷ হৃদয় আকৃতির পাতা অনেকেরই দৃষ্টি কেড়েছে৷

আমলকি গাছ নিয়ে মেলায় হাজির হয়েছে বেশ কয়েকটি নার্সারি৷ আছে মাল্টাসহ আরো অনেক ফলের গাছ৷

মেলায় ফলদ কদবেল গাছও উঠেছে প্রচুর৷ ফলসহ এই কদবেল গাছটির দাম চাওয়া হচ্ছে ৪০ হাজার টাকা৷ তবে চারার দাম অনেক কম৷

করমচা মেলার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে৷ কেউ কিনুক না আর না কিনুক রঙিন এই করমচার কাছে একটু দাঁড়াবেনই৷

মালয়েশিয়ার তোতাপুরি আম গাছও বিক্রি হচ্ছে মেলায়৷ এই আম টবেও চাষ করা যায়৷ তবে গাছের দাম বেশি৷ এই গাছটির দাম চাওয়া হচ্ছে ৩০ হাজার টাকা৷

মেলায় মিলছে নানা জাতের ফুল গাছ৷ দেশি-বিদেশি সব ধরনের ফুল গাছই পাওয়া যাচ্ছে৷ শুধু গোলাপ ফুল গাছই আছে ১০-১২ রকমের৷

ঘর সাজানোর জন্য আছে নানা লতা আর সেই লতার সঙ্গে মানানসই ফ্রেম৷

প্রক্রিয়াজাত করা ও নানা শুকনো ফলের স্টলও আছে মেলায়৷ আছে মধু৷

বাংলাদেশে কয়েক বছর ধরেই আলোচনায় ‘ব্যানানা আম’৷ বাহারি এই আম দেশের বাইরেও যাচ্ছে৷ মেলায়ও পাওয়া যাচ্ছে ব্যানানা আম গাছ৷

ঘর সাজানোর জন্য ফার্ন৷ থাইল্যান্ডের এই ‘চিকেন ফার্ন’ নিয়ে এসেছে একটি নার্সারি৷ একটি ফার্নের দাম চাওয়া হচ্ছে আট হাজার টাকা৷

মেলা সময় নিয়ে ঘুরে দেখার জন্য নানা ব্যবস্থা আছে৷ তারই অংশ হিসেবে আছে ব্রেস্ট ফিডিং সেন্টার৷

স্টলগুলো যেন ফুলে-ফলে সাজানো একেকটি উদ্যান৷ গাছ কেনার বাইরেও বৃক্ষ আর সৌন্দর্যপ্রেমীর সময় কাটানোর সব আয়োজন আছে সেখানে৷

গাছ রাখার টবও পাওয়া যাচ্ছে মেলায়৷

অটোমেটিক ফগার ইরিগেশন যন্ত্রপাতিরও স্টল আছে৷ কেউ কয়েকদিনের জন্য বাসা ছেড়ে বাইরে বেড়াতে গেলে কোনো চিন্তা নেই৷ স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাছে পানি দেবে এই যন্ত্র৷

লাল আঙুর ছাড়াও নানা জাতের আঙুর গাছ পাওয়া যাচ্ছে মেলায়৷ এসব গাছের যত্ন নেয়ার উপায়ও বলে দেয়া হচ্ছে৷

বৃক্ষ মেলায় জাতীয় ফল কাঁঠাল গাছ থাকবে না তা কি হয়? বেশ কয়েকটি নার্সারি বিক্রি করছে ফলসহ কাঁঠাল গাছ ও গাছের চারা৷