৫.৯৯ পাউন্ডে ডেনিম জিন্স বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে জার্মান পোষাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ‘লিডল'৷ প্রশ্ন উঠেছে, প্রাইমার্ক-এর মতো প্রতিষ্ঠান যখন দাম ৮ পাউন্ডের নীচে আনতে পারে না, তখন লিডল কীভাবে এত কম দামে জিন্স দেবে?
বিজ্ঞাপন
৫.৯৯ পাউন্ডে লিডল যে জিন্স দিচ্ছে, তার নাম হলো ‘জেগিংস'৷ এটা এক ধরনের আঁটসাঁট লেগিংস, যা জিন্স দিয়ে তৈরি৷ এছাড়া এতে দেওয়া হয়েছে ‘আকর্ষণীয় ডেনিম ইফেক্ট'৷ ৭৭ শতাংশ কটন ফ্র্যাব্রিক্সের ওই জেগিংস-এ রয়েছে ওয়েস্ট ব্যান্ড ইলাস্টিক, একটি বোতাম, জিপার, দু'টি ব্যাক পকেট এবং দু'টি ফ্রন্ট পকেট৷
প্রতিষ্ঠানটি বিজ্ঞাপনে একে ‘ম্যাজিক' বললেও আসলে এখানে কোনো ম্যাজিক নেই৷ এর পেছনে রয়েছে সস্তা শ্রম৷ লিডল-এর একটি জিন্স বানানোর জন্য বাংলাদেশের একজন নারী শ্রমিককে দেওয়া হচ্ছে মাত্র ২ পেন্স৷
বাংলাদেশি জিন্স ফ্যাক্টরির উৎপাদন খরচের তালিকা অনুযায়ী, একটি জিপারের দাম পড়ে ১০ পেন্স, একটি বোতাম ৪ পেন্স, প্রতিটা রিভেট ১ পেন্স, এম্ব্রয়ডারির জন্য ৯ পেন্স, পকেটের জন্য ৬ পেন্স, লেবেলের জন্য খরচ হয় ৭ পেন্স এবং সেলাইয়ের জন্য আরও ১৯ পেন্স৷ ধোয়া এবং আনুষঙ্গিক খরচ মিলে একটা জিন্সের প্যান্টের পেছনে মোট খরচ হয় ৩.৯০ পাউন্ডের মতো৷ তার ওপর কারখানার খরচ পড়ে ৫৬ পেন্স৷ আর এ থেকে কারখানা মুনাফা করে ১৬ পেন্স৷ অর্থাৎ অন্যান্য খরচ বাদ দিলে একটি জিন্সের পেছনে ব্যয় হয় সাড়ে চার পাউন্ড৷
আমিরুল ইসলাম
এছাড়া রয়েছে ওয়্যারহাউজ চার্জ ও বন্দর ফি৷ এখানে আরও ৩০ পেন্স খরচ হয়৷ তাহলে একটি জিন্সের প্যান্টের পিছনে ব্যয় দাঁড়ায় ৪ পাউন্ড ৮০ পেন্স৷ এখানেও শেষ নয়৷ কারণ এরপর বন্দর থেকে প্যান্টগুলোকে দোকানে নিতে হয়৷ এতে ব্যয় হয় আরও ৫০ পেন্স৷ এতে মোট ব্যয় দাঁড়ায় ৫ পাউন্ড ৩০ পেন্স৷ এর পরেও আছে ভ্যাট৷
একজন শ্রমিক প্রতিদিন ২০ জোড়া থেকে ৩৩ জোড়া পর্যন্ত জিন্স প্যান্ট প্রস্তুত করেন৷ প্রতিটি জিন্স থেকে একজন শ্রমিক ২ থেকে ৯ পেন্স পর্যন্ত মজুরি পেয়ে থাকেন৷
বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের বেশিরভাগ শ্রমিকদের আইনত ন্যূনতম মজুরি ৫ হাজার ৩০০ টাকা (প্রায় ৪৮ পাউন্ড)৷ এক্ষেত্রে সপ্তাহে ছয় দিন ৮ ঘণ্টা করে হিসেব করলে তাঁদের মজুরি পড়ে ঘণ্টায় ২৩ পেন্সের মতো৷ অথচ ২০১৩ সালে এশিয়ান ফ্লোর ওয়েজ অ্যালায়েন্স-এর মতে, বাংলাদেশের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হওয়া দরকার ২৩০ পাউন্ড৷
এ নিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানা উইমসাম-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এত কম দামে ডেনিম দেয়া যায় না৷ এটা আসলের ডেনিমের মতো করে বানানো৷ আর ডেনিম শতভাগ কটনের৷ ৭৭ ভাগ কটন হলে এটা আর ডেনিম হয় না৷''
পোশাক শিল্পে শ্রমশোষণ: ব্রিটেন থেকে বাংলাদেশ
দু মুঠো অন্নের সংস্থান করতে রানা প্লাজায় গিয়ে লাশ হয়ে ফিরেছিলেন এগোরো শ-রও বেশি মানুষ৷ যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁদের অনেকেরই বাকি জীবন কাটবে দুর্বিষহ কষ্টে৷ পোশাক শ্রমিকদের জীবনের এই নির্মমতার ইতিহাস কিন্তু অনেক দীর্ঘ৷
ছবি: DW/M. Mohseni
বৈশ্বিক শিল্প
প্রতিটি পোশাকে মিশে থাকে শ্রমিকের শ্রম-রক্ত-ঘাম৷ ১৯৭০-এর দশক থেকে ইউরোপ আর যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলো এশিয়া আর ল্যাটিন অ্যামেরিকার কিছু দেশ থেকে পোশাক কিনতে শুরু করে৷ খুব কম মজুরিতে শ্রমিক পাওয়া যায় বলে দাম পড়ে কম, লাভ হয় বেশি৷ এমন সুযোগ ছাড়ে তারা! কম টাকায় পণ্য কিনবেন, ছবির মতো পোশক তৈরি হবে মিষ্টির দোকানে – তারপর আবার শ্রমিকের অধিকাররক্ষা, পরিবেশ দূষণ রোধ করবেন – তাও কি হয়!
ছবি: picture-alliance/dpa
সবার জন্য পোশাক
বড় আঙ্গিকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পোশাক তৈরি প্রথম শুরু হয়েছিল ব্রিটেনে, অষ্টাদশ শতাব্দীর সেই শিল্পবিপ্লবের সময়টাতে৷ এখন বিশ্বাস করতে অনেকের হয়ত কষ্ট হবে, তবে ইতিহাস বলছে, শিল্পবিপ্লবের ওই প্রহরে ব্রিটেনের লন্ডন আর ম্যানচেস্টারও শ্রমিকদের জন্য ছিল আজকের ঢাকার মতো৷ শতাধিক কারখানা ছিল দুটি শহরে৷ শিশুশ্রম, অনির্ধারিত কর্মঘণ্টার সুবিধাভোগ, অল্প মজুরি, কারখানার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ – সবই ছিল সেখানে৷
ছবি: gemeinfrei
সেই যুক্তরাষ্ট্র এখন কর্তৃত্বে
যুক্তরাষ্ট্রেও পোশাকশ্রমিকরা স্বর্গসুখে ছিলেন না সব সময়৷ সেখানেও এক সময় কারখানায় আগুন লাগলে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ভেতরে রেখেই সদর দরজায় তালা লাগাতো৷ ১৯১১ সালে তাই নিউ ইয়র্কের ট্রায়াঙ্গেল শার্টওয়েস্ট ফ্যাক্টরিতে পুড়ে মরেছিল ১৪৬ জন শ্রমিক৷ মৃতদের অধিকাংশই ছিলেন নারী৷ মজুরি, কর্মঘণ্টা, কর্মপরিবেশ, নিরাপত্তা – কোনো কিছুই এশিয়ার এখনকার কারখানাগুলোর চেয়ে ভালো ছিল না৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পোশাক শিল্পে চীন বিপ্লব
পোশাক রপ্তানিকারী দেশগুলোর মধ্যে চলছে সবচেয়ে কম খরচে পোশাক তৈরির প্রতিযোগিতা৷ রপ্তানিকারী দেশগুলোর মধ্যে চীনের অবস্থা সবচেয়ে ভালো৷ রপ্তানি সবচেয়ে বেশি, শ্রমিকদের মজুরিও খুব ভালো৷ চীনে একজন পোশাক শ্রমিক এখন মাস শেষে ৩৭০ ইউরো, অর্থাৎ, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৭ হাজার টাকার মতো পেয়ে থাকেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শ্রমশোষণ কাকে বলে...
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর সুমাংগলি৷ তামিল শব্দ ‘সুমাংগলি’-র অর্থ, ‘যে নববধু সম্পদ বয়ে আনে’৷ এলাকায় পোশাক এবং সুতা তৈরির প্রশিক্ষণের নামে খাটানো হয় প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মেয়েকে৷ দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করে তাঁরা হাতে পান ৬০ ইউরো সেন্ট, অর্থাৎ বাংলাদেশের মুদ্রায় ৬০ টাকা৷ সে হিসেবে মাস শেষে পান ১৮০০ টাকা৷ টাকাটা তাঁদের খুব দরকার৷ বিয়ের সময় বাবাকে তো যৌতুক দিতে হবে!
ছবি: picture-alliance/Godong
অধিকার আদায়ের করুণ সংগ্রাম
কম্বোডিয়াতেও অবস্থা খুব খারাপ৷ ৩ লক্ষের মতো পোশাক শ্রমিক আছে সে দেশে৷ কাজের পরিবেশ আর অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কেমন? মাসিক বেতন মাত্র ৫০ ইউরো, অর্থাৎ বাংলাদেশের মুদ্রায় বড় জোর ৫ হাজার টাকা৷ মালিকের কাছে শ্রমিকদের মানুষের মর্যাদা প্রাপ্তি সৌভাগ্যের ব্যাপার৷ মজুরি বাড়ানোর দাবিতে মিছিলে নেমে শ্রমিকরা মালিকপক্ষের গুলিতে মরেছেন – এমন দৃষ্টান্তও আছে সেখানে৷
ছবি: Reuters
ট্র্যাজেডি
গত ২৪শে এপ্রিল বাংলাদেশের রানা প্লাজা ধসে পড়ায় মারা যান ১১শ-রও বেশি তৈরি পোশাককর্মী৷ দেয়ালে ফাটল ধরার পরও সেখানে কাজ চালিয়ে যাওয়ায় এতগুলো জীবন শেষ হওয়াকে বিশ্বের কোনো দেশই ভালো চোখে দেখেনি৷ ঘটনার পর জার্মানির এইচঅ্যান্ডএম, কেআইকে এবং মেট্রোসহ বিশ্বের ৮০টির মতো পোশাক কোম্পানি শ্রমিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পোশাক রপ্তানিকারী কারখানাগুলোর সঙ্গে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে৷
ছবি: Reuters
আলোয় ঢাকা আঁধার
অভিজাত বিপণিবিতান কিংবা দোকানের পরিপাটি পরিবেশে ঝলমলে আলোয় ঝিকমিক করে থরে থরে সাজানো বাহারি সব পোশাক৷ দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যায়৷ ক্রেতাদের ক’জনের মনে পড়ে রানা প্লাজা কিংবা অতীতের ব্রিটেন বা যুক্তরাষ্ট্রের ভাগ্যাহতদের কথা?
ছবি: DW/M. Mohseni
8 ছবি1 | 8
তিনি বলেন, ‘‘ভালো প্রোডাক্টের জন্য ভালো দাম দিতেই হবে৷ আমরা হয়ত ‘প্রোফিট মার্জিন' কমিয়ে কম দামে দেই৷ আমাদের ব্যবসার নানা হিসাব আছে৷ যদি অর্ডার বেশি হয় তাহলে প্রোফিট মার্জিন কমানো সম্ভব৷''
তিনি আরো জানান, ‘‘একটি জিন্সের জন্য একজন শ্রমিকের মজুরি যা, তাই আমরা দেই৷ ক্রেতা দাম কম দিলেও আমাদের মজুরি কমানোর সুযোগ নেই৷''
তিনি দাবি করেন, ‘‘এখানে মজুরি তুলনামূলক কম৷ তবে মজুরি একটি দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা এবং জীবনযাপনের মানের ওপর নির্ভর করে৷ সর্বনিম্ন ৫ হাজার ৩০০ টাকা একজন শিক্ষানবীশ অদক্ষ শ্রমিকের জন্য৷ অর্থাৎ বেশি বেতনের শ্রমিকও আছেন৷''
আমিরুল বলেন, ‘‘কম দামের কথিত ডেনিম ছাড়া হয় কম আয়ের একটি গ্রুপকে টার্গেট করে৷ এতে করে ডেনিম তার জৌলুস ধরে রাখতে পারবে না৷''
রানা প্লাজার বিভীষিকার কথা জার্মানরা ভোলেনি...
বন শহরে ছোট্ট একটা জমায়েত৷ উদ্দেশ্যটা কিন্তু বড় এবং মহৎ৷ আয়োজকরা চান, বাংলাদেশের আর কোনো পোশাক কারখানায় যেন মৃত্যুর বিভীষিকা নেমে না আসে৷ সেই লক্ষ্যে সচেতনতা বাড়াতেই ‘স্বচ্ছ কাপড়’-এর দাবি নিয়ে হাজির হয়েছিল ফেমনেট৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
ক্ষতিপূরণ এবং ন্যায্য মূল্য দাও
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের দুরবস্থা সম্পর্কে ইউরোপকেও সজাগ করেছে৷ বাড়ছে সবার মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ৷ ‘ফেমনেট’ নামের সংগঠনটি সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে৷ জার্মান কোম্পানিগুলো যাতে বাংলাদেশ থেকে কাপড় কেনার সময় ‘ন্যয্য’ দাম দেয় এবং এর মাধ্যমে যাতে শ্রমিকদের দুর্ভোগ কমানোয় ভূমিকা রাখে – এই দাবি তুলছে তারা৷ বুধবার বন শহরে আয়োজিত সমাবেশেও তোলা হয়েছে এই দাবি৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
কারা আপনার পোশাক তেরি করছে তা কি জানেন?
দর্শকদের জন্য স্ট্যান্ডে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের কিছু নমুনা৷ পোশাকের সঙ্গে সাদা কাগজে বড় করে লেখা হয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের জার্মান ক্রেতা কোম্পানিগুলোর নাম৷ এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেই রানা প্লাজার ধসে নিহত, আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ এবং পোশাকের ন্যায্য মূল্য দাবি করেছে ফেমনেট৷ কাপড়ের স্ট্যান্ডটির অদূরে একটি ব্যানার, তাতে লেখা, ‘কারা আপনার পোশাক তেরি করছে তা কি জানেন?’
ছবি: DW/A. Chakraborty
বন্ধুর হাত....
কফিনের কাপড় দিয়ে তৈরি ‘বডি ব্যাগ’৷ বুধবারের সমাবেশে মৃতদেহ বহনের কাজে লাগে এমন কিছু ব্যাগও ছিল৷ বাংলাদেশের শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি, স্বাস্থ্যসম্মত এবং নিরাপদ কাজের পরিবেশ পায় না৷ অনেক সময় কাজ করতে গিয়ে লাশ হতে হয় তাদের৷ ‘বডি ব্যাগ’-এ হাতের ছাপ দিয়ে রানা প্লাজা ট্র্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণ এবং পোশাক শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের দাবি করা হলো৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
সহমর্মী...
স্থানীয় সাংবাদিকদের একজন দায়িত্ব পালন শেষে নিজের হাতদুটোও রংয়ে রাঙালেন৷ ‘বডি ব্যাগ’-এ হাতের ছাপ দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে হবে যে! ‘ক্লিন ক্লথ’ অর্থাৎ স্বচ্ছ পোশাক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে ফেমনেট৷ তাদের সঙ্গে আরো রয়েছে খ্রিশচান ইনিশিয়েটিভ রোমেরো, ইনকোটা-নেটওয়ার্ক এবং স্যুডভিন্ড ফাউন্ডেশন নামের তিনটি সংগঠন৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
৫ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে
স্বেচ্ছাসেবকদের সংগঠন ফেমিনেটের এক কর্মী৷ তাঁর হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘‘বেনেটন, পাঁচ মিলিয়ন ডলার দাও৷’’ তৈরি পোশাক ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টা ইতিমধ্যে সাফল্যের মুখ দেখেছে৷ ‘পার্টনারশিপ ফর সাস্টেনেবল টেক্সটাইল’ নামের একটি জোট তৈরি হয়েছে জার্মানিতে, যারা শ্রমিকদের স্বার্থকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
চলতে চলতে ছবি তোলা...
পোশাক কারখানার মালিকরা কম মজুরি দিয়ে যে পোশাক তৈরি করে, বিদেশি ক্রেতারা কম দামে যে কাপড় কেনে তাতে তো শ্রমিকের কষ্টের অদৃশ্য কালি লেগেই থাকে! সেই কালিমুক্ত কাপড়ের দাবি পূরণ করতে ফেমিনেট-এর এই ‘স্বচ্ছ কাপড়’ ক্যাম্পেন৷ তাদের সমাবেশের পাশ দিয়ে যাবার সময় ব্যস্ত পথচারীরা থমকে দাঁড়াচ্ছিলেন৷ কাজের তাড়া ছিল বলে যাঁরা বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তাঁদের অনেকেই যাবার আগে ছবি তুলে স্মৃতি রেখে দিতে ভুল করেননি৷