1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাত্র ৩০ টাকায় চিকিৎসা?

কাটজা কেপনার/এসিবি২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

ছয় লক্ষ মানুষ জটিল রোগের চিকিৎসা করিয়েছেন হাসপাতালে৷ তাঁরা কেউ-ই তেমন স্বচ্ছলতা নন৷ অথচ চিকিৎসা করিয়েছেন এত অল্প খরচে যে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের দরিদ্র মানুষ এখন নিশ্চিন্ত থাকতে পারছেন একটি স্মার্ট কার্ড নিয়ে৷

Krankenversicherung in Indien Werbung RSBY
ছবি: DW/K. Keppner

রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বীমা যোজনা (আরএসবিওয়াই)৷ ভারতের জাতীয় স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প এটি৷ প্রকল্পটি দরিদ্র মানুষদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে রাষ্ট্রীয় সদিচ্ছা আর আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধার মেলবন্ধনের কারণে৷ ৩০ টাকার বিনিময়ে হতদরিদ্র মানুষরা পেতে পারেন তাঁদের পরিবারের সুচিকিৎসার নিশ্চয়তা৷ একটি স্মার্ট কার্ড নিয়ে গেলেই হাসপাতালে এক পরিবারের পাঁচজন সদস্য এক বছরে পান ৩০ হাজার টাকার চিকিৎসাসেবা৷

ছয় লক্ষ মানুষ জটিল রোগের চিকিৎসা করিয়েছেন হাসপাতালেছবি: DW/K. Keppner

আরএসবিওয়াই প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালে৷ বিমা করানো মানেই নানা ধরণের ফর্ম পূরণ করার ঝামেলা৷ টাকা-পয়সা থাকলেও লেখাপড়া না জানায় এতদিন অনেকে বিমা করাতে চাইতেন না৷ কিন্তু একটা ছোট্ট স্মার্ট কার্ডে যাবতীয় তথ্য রাখার ব্যবস্থা করে সেই ঝামেলা দূর করেছে আরএসবিওয়াই৷ তাছাড়া চিকিৎসার খরচও খুব কম৷ ফলে দরিদ্র মানুষদের মাঝে সাড়া জাগিয়েছে এই প্রকল্প৷ আত্মপ্রকাশের ৬ বছরের মধ্যে প্রকল্পের আওতায় এসেছে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ পরিবার৷

উত্তর প্রদেশের মথুরা জেলার ছোট্ট শহর কোসি কালানের একটি ভবনের সামনে সকাল থেকেই বেশ ভিড়৷ কয়েকশ মানুষ এসেছেন একটা স্মার্ট কার্ডের আশায়৷ রিঙ্কু হাঁশিও এসেছেন কোলের শিশুটিকে নিয়ে৷ এতদিন পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা করাতে হিমসিম খেয়েছেন তাঁর স্বামী৷ তবে আগের দিন শহরবাসীকে মাইকে জানানো হয় তাড়াতাড়ি ৩০ টাকায় একটি স্মার্ট কার্ড নিয়ে সারা বছরের জন্য নিশ্চিন্ত থাকার আহ্বান৷ স্বামীর সঙ্গে কথা বলে রিঙ্কুও তাই ৩০ টাকায় ৩০ হাজার টাকার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে ছুটে এসেছেন আরএসবিওয়াই কার্যালয়ে৷

আরএসবিওয়াই-কে দরিদ্ররা বন্ধু মনে করলেও ভারতের অনেক দরিদ্র মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারছেন না৷ এর কারণ জানিয়েছেন আরএসবিওয়াই কর্মকর্তা রাজেন্দ্র সিং৷ তিনি জানান, দরিদ্র হিসেবে কে কে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন তা ঠিক করা হয় ২০০২ সালের আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী৷ অথচ ১১ বছর আগে যাঁরা দরিদ্র ছিলেন তাঁদের অনেকেরই জীবনে স্বচ্ছলতা এসেছে, অনেক নতুন দরিদ্র নাগরিকও পেয়েছে ভারত৷

আরএসবিওয়াই প্রকল্পের আওতায় আসা দরিদ্ররা যাতে কোনো হেনস্থার শিকার না হন তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার এবং কিছু বেসরকারি বিমা কোম্পানিকে৷ লেখাপড়া না জানা দরিদ্রদের স্মার্ট কার্ড ব্যবহারে অভ্যস্ত করে তোলার দায়িত্বও পেয়েছে কয়েকটি বিমা কোম্পানি৷ এসবের পেছনে প্রচুর টাকা খরচ হয় বলেও আরএসবিওয়াই প্রকল্পের সমালোচনা করেন অনেকে৷ তাঁদের মতে, এই টাকা সাধারণ চিকিৎসাসেবায় ব্যয় করাই ভালো৷

তবে কিছু দুর্বলতা এবং সমালোচনা সত্ত্বেও দিনমজুর লীলে ধর-এর মতো অনেকেই আরএসবিওয়াই-কে পাশে পেয়ে খুশি৷ ক'দিন আগেও নিজের চিকিৎসার খরচ জোগাতে গিয়ে বাড়ির গরুও বিক্রি করেছেন৷ তারপরও হার্নিয়া অস্ত্রোপচার করাতে পারেননি৷ ৩০ টাকায় আরএসবিওয়াই-এর স্মার্ট কার্ড নিয়ে সম্প্রতি লীলে ধর অস্ত্রোপচার করিয়েছেন৷ একটি স্মার্ট কার্ডই তাঁকে দিয়েছে অল্প খরচে সুস্থ জীবনে ফেরার আনন্দ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ