1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
ব্যবসা-বাণিজ্যবাংলাদেশ

একদিকে বন্ধ হয় শিল্প কারখানা, অন্যদিকে বাড়ে রপ্তানি

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গত ছয় মাসে তৈরি পোশাক খাতের শতাধিক কারখানা বন্ধ হয়েছে। বন্ধের আশঙ্কায় রয়েছে আরো কিছু কারখানা৷ তা সত্ত্বেও আশার কথা- সার্বিকভাবে রপ্তানি আয় বাড়ছে৷

বাংলাদেশের একটি তৈরি পোশাক কারখানা
কারখানা বন্ধ হওয়া সত্ত্বেও রপ্তানি বাড়ার পেছনে দক্ষ শ্রমিক, নতুন কারখানা চালুসহ বেশ কিছু কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরাছবি: Joy Saha/ZUMA Press Wire/picture alliance

তবে বিশ্লেষকরা রপ্তানি বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করে বলছেন, সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে সংকট দেখা দিতে পারে৷

গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়ায় বন্ধ ৬৮ কারখানা

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২-এর পুলিশ সুপার (এসপি) একেএম জহিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, "বিভিন্ন কারণে জেলায় ৫১টি শিল্প কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি অস্থায়ীভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।” ঢাকার সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই ও গাজীপুর মিলিয়ে ৬৮টি শিল্পকারখানা বন্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ৫৮টি স্থায়ী ও ১০টি অস্থায়ী ভিত্তিতে বন্ধ। এ ছাড়া আগামী মে মাস থেকে ছয়টি কারখানা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কেয়া গ্রুপ। বন্ধ হওয়া কারখানাগুলোর অধিকাংশই তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খেলাপি ঋণ নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করায় অনেক কারখানা খেলাপি হয়ে পড়েছেন এবং এ কারণে কিছু কারখানা বন্ধ হয়েছে৷আবার ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ অনেক কারখানার মালিক আত্মগোপনে থাকায় বেশ কিছু কারখানা রুগ্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া কিছু কারখানা উৎপাদন-ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না৷ বন্ধ হওয়া কারখানাগুলোর মধ্যে রয়েছে সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের ১৭টি কারখানা। এসব কারখানার শ্রমিকদের অনেকেই কারখানা খুলে দেওয়া ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের আন্দোলনের কারণে প্রায়ই বন্ধ থাকছে সড়ক-মহাসড়ক।

আন্দোলনরত শ্রমিকদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

আমরা এখন দামি কিছু পণ্যও রপ্তানি করছি: মহিউদ্দিন রুবেল

This browser does not support the audio element.

ব্যাংক ও বায়ারদের ‘অসহযোগিতা'?

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন(বিকেএমইএ)-র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ডয়চে ভেলেকে বলেন, "বন্ধ তো কেবল শুরু। আরো কারখানা বন্ধ হবে। ব্যাংকগুলো আমাদের সঙ্গে যা করছে, তাতে প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখা কঠিন। পাশাপাশি বায়াররা আমাদের সঙ্গে অনৈতিক আচরণ করছেন। কাঁচামাল ফ্যাক্টরিতে আনার পর বায়াররা অর্ডার বাতিল করছেন। আবার ডেলিভারি নেওয়ার অনেকদিন পর পেমেন্ট দিচ্ছেন। এতে অনেক ছোট ও মাঝারি আকারের কারখানা এমন সমস্যায় পড়ে যা থেকে তারা পুনরুদ্ধার করতে পারে না। আবার গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সেটা যদি হয়, তাহলে আমাদের ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।”

কারখানা কমলেও রপ্তানি বেড়েছে

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-র তথ্য বলছে, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত, অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। আর একক মাসের হিসাবে ডিসেম্বরে রপ্তানির হার আরো বেশি। ওই মাসে বেড়েছে ১৮ শতাংশ। আগের মাস নভেম্বরে পোশাক খাতের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে ওভেন পোশাক রফতানি বেড়েছে ২০ শতাংশ। ইপিবির হিসাব অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩০ কোটি ৬১ লাখ ডলারে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২৮৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার। অক্টোবর মাসে তৈরি পোশাক খাত ৩ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২২ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।

এত কারখানা বন্ধ হওয়ার পরও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির সম্ভাব্য কারণ জানতে চাইলে বিজিএমইএ'র সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল ডয়চে ভেলেকে বলেন, "কিছু কারখানা বন্ধ হওয়ার পরও বেশ কয়েকটি কারণে রপ্তানি আয় বেড়েছে। আমাদের কর্মীদের দক্ষতা যেমন বেড়েছে, তেমনি অনেক নতুন কারখানাও চালু হয়েছে। বড় কারখানাগুলোতে নতুন উইং খোলা হচ্ছে। আবার শ্রমিকরা আগের তুলনায় দক্ষ হওয়ার কারণে চালু থাকা বেশিরভাগ কারখানার উৎপাদনশীলতা বেড়েছে। আমরা এখন দামি কিছু পণ্যও রপ্তানি করছি। বড় কারখানাগুলো উৎপাদন বাড়িয়েছে। ফলে মোট রপ্তানি আয় কমেনি, বরং কিছু ক্ষেত্রে বেড়েছে। আবার আগের বছরের তুলনায় গত বছর রপ্তানি কমেছিল। ফলে এবার আমরা আগের বছরের কাছাকাছি যেতে চাচ্ছি।”

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সার্বিকভাবে রপ্তানি আয় বাড়লেও পোশাকের ব্যবসায় ব্যবসায়ীদের মুনাফা বা আয় বাড়েনি। বায়ারদের লিডটাইম পূরণ করতে অনেক মালিককে সাম্প্রতিককালে বাধ্য হয়ে অর্ডারের পোশাক এয়ার ফ্রেইটের মাধ্যমে নিজস্ব খরচে পাঠাতে হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতেও হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে। খেলাপি ঋণ নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করায় অনেক কারখানা খেলাপি হয়ে পড়ছে। উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গেও তাল মেলাতে পারছে না কিছু কারখানা।

ব্যাংকগুলো আমাদের সঙ্গে যা করছে, তাতে প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখা কঠিন: মোহাম্মদ হাতেম

This browser does not support the audio element.

বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির নির্বাহী পরিচালক কল্পনা আক্তার ডয়চে ভেলেকে বলেন, "এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে কত কারখানা বন্ধ হয়েছে সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। তবে বর্তমানে যে চিত্র তা ভয়াবহ। সরকারের পক্ষ থেকে যে উদ্যোগগুলো নেওয়া দরকার, সেগুলো নেওয়া হচ্ছে না। আমরা বলেছি, প্রতিষ্ঠানের মালিক যেই হোন না কেন অন্তত প্রতিষ্ঠানটি চালু রাখার চেষ্টা করুন। সেটাও যদি সম্ভব না হয়, তাহলে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওয়া পরিশোধ করতে হবে। সেটাও হচ্ছে না। আমি শ্রমিক ভাই-বোনদের বলবো, পাওনা যেমন চাইতে হবে, তেমনি নতুন কাজেরও সন্ধান করতে হবে।”

বন্ধ হচ্ছে বেক্সিমকো শিল্প পার্কের ১৪টি প্রতিষ্ঠান

আগামী ৯ মার্চ থেকে বেক্সিমকো গ্রুপের লে অফ করা প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ শুরু হবে। এ পাওনা পরিশোধে সরকারকে খরচ করতে হবে ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এ তথ্য জানান। শুক্রবার থেকে বেক্সিমকো শিল্প পার্কের ১৪টি প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করা হবে। শ্রম উপদেষ্টা জানান, ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা পরিশোধ করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ৩২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কেন্দ্রীয় তহবিলের বিভিন্ন হিসাব থেকে দেওয়া হবে ২০০ কোটি টাকা। বেক্সিমকো গ্রুপের পাওনাদারদের মধ্যে শ্রমিক রয়েছেন ৩১ হাজার ৬৭৯ জন আর কর্মচারী ১ হাজার ৫৬৫ জন।

শ্রম উপদেষ্টা জানান, শুক্রবার বেক্সিমকো শিল্প পার্কের ১৪টি প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করা হলেও বেক্সিমকো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন ৯ মার্চ থেকে। বেক্সিমকো শিল্প পার্কের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জনতা ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ প্রদানের জন্য দায়ী ও জড়িত কর্মকর্তা, ব্যাংকের বোর্ড সদস্য, কোম্পানি বোর্ড সদস্য, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ (বিএসইসি) সংশ্লিষ্ট অন্য সবার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঋণ প্রদানের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা যেন দেশের বাইরে যেতে না পারেন, সে জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হবে।

সরকারের পক্ষ থেকে যে উদ্যোগগুলো নেওয়া দরকার, সেগুলো নেওয়া হচ্ছে না: কল্পনা আক্তার

This browser does not support the audio element.

তৈরি পোশাকের রপ্তানি ক্রয়াদেশ না থাকা ও কাঁচামাল আমদানির জন্য ঋণপত্র খুলতে না পারায় গত ১৫ ডিসেম্বর বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা লে-অফ বা বন্ধ ঘোষণা করে বেক্সিমকো গ্রুপ কর্তৃপক্ষ। ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো গ্রুপের প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বেক্সিমকোর শ্রমিকেরা আন্দোলন করছেন ।

বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) এস এম আবদুল লতিফ তখন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, "শ্রমিকেরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। কারখানার লে-অফ তুলে নিতে আমরা সরকারের সহযোগিতা চেয়েছি।”

‘কারখানার শ্রমিকের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে'

শ্রম অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ। বর্তমানে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। কারখানা বন্ধ ও বেকার শ্রমিকদের বিষয়ে ডয়চে ভেলেকে বলেন, "রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বন্ধ হওয়া কারখানার শ্রমিকের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে। কোনো কারখানা শ্রমিকের বকেয়া বেতন ও সার্ভিস বেনিফিট না দিলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি বিক্রি করে হলেও তা পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে। চাকরি হারানো শ্রমিকদের একটি তালিকা করে তাদের দক্ষতা অনুযায়ী অন্য শিল্পে কর্মসংস্থানের উদ্যোগও নিতে পারে সরকার।”

বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন কেয়া গ্রুপের কর্ণধার আব্দুল খালেক পাঠান ও কয়েকজন ব্যাংকারের বিরুদ্ধে প্রায় ৫৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করে। শুধু কেয়া গ্রুপের শ্রমিকরাই নন, ২০২৪ সালে আরো কয়েক হাজার গার্মেন্টসকর্মী চাকরি হারিয়েছেন। কারণ, ওই সময় অন্তত ১০০ গার্মেন্টসের পাশাপাশি অন্য আরো কিছু কারখানা হয় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে, না হয় কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে।

সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই একের পর এক কারখানা বন্ধ হতে থাকে। গ্যাস সরবরাহজনিত সমস্যা, ব্যাংক থেকে সহায়তার অভাব ও শ্রমিক অসন্তোষের কারণে একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। নিটওয়্যার, টেক্সটাইল ও অন্যান্য খাতের বন্ধ কারখানার সংখ্যা যদি হিসাব করা হয় তাহলে চাকরি হারানো শ্রমিকের সংখ্যা আরো অনেক বেশি হবে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলোর একটি হলো বেক্সিমকো গ্রুপ, যার কর্ণধার ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগী সালমান এফ রহমান। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে গ্রুপটি তাদের ১৫টি কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয়। এতে অন্তত ৪০ হাজার শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শেখ হাসিনার আরেক অন্যতম সহযোগী ছিলেন এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম। ডিসেম্বরে গ্রুপটি নয়টি কারখানার কর্মী বাদ দেওয়ার কথা জানায়। গত ৫ জানুয়ারি প্রকাশিত ত্রৈমাসিক শ্রম শক্তি জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এক লাখ ৭৬ হাজার বেশি বেকার ছিল। সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত দেশে বেকারের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৬ লাখের বেশি। ধীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কারখানা বন্ধের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৮ শতাংশ, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬ শতাংশ।

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ