শিশুশ্রম এবং বৃদ্ধাশ্রম
৬ মার্চ ২০১৪আমার ব্লগে ইমরান ইমন লিখেছেন শিশুশ্রম নিয়ে৷ লেখার শিরোনাম ‘শিশুশ্রমের বাস্তবতা'৷ বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের প্রশংসা করে তিনি লিখেছেন, ‘‘শিশুশ্রম নিয়ে গতানুগতিক যে রিপোর্ট দেখা যায় তার সাথে আমার মতভেদ আছে৷ সবাই শুধু মালিক পক্ষকে দোষারপ করে যে তারা শিশু শ্রমিক কাজে লাগাচ্ছে৷ কিন্তু কথা হচ্ছে, যে সকল শিশু সেখানে কাজ করছে তারা আসলে যদি কাজ না করত বা মালিক পক্ষ তাদের কাজ না দিত তাহলে তাদের কী অবস্থা হতো? তাদের স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল, তারা তা না করে কেন কাজে যাচ্ছে? কারণ অভাব৷''
ইমরান ইমন মনে করেন, ‘‘অভাবের কারণেই তারা বাধ্য হচ্ছে এই ধরনের কাজে৷ কিন্তু ঢালাওভাবে মালিক পক্ষকে দোষারপ করার কি আছে? তাদের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ সত্য যে টাকা কম দেয় বা ঝুকিপূর্ণ কাজে শিশুদের ব্যবহার৷ এখানে শিশু অধিকার, সামাজিক দায়বদ্ধতা, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা – এসব বিষয় নিয়ে সুশীল সমাজের কোনো মানুষকেই কথা বলতে দেখা যায় না৷''
আমার ব্লগের এই ব্লগারের মতে, ‘‘শিশুশ্রম দূর করতে হলে সমাজের সকল মানুষকে, রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে৷ কারো যদি সামর্থ থাকে একজনকে সাহায্য করুন৷ এভাবে একজন একজন করে সাহায্য করলে অসহায় শিশুর সংখ্যা কমবে৷ এই সংখ্যা কমলে শিশুশ্রমের মতো ভবিষৎ ধ্বংসকারী কাজ বন্ধ হবে৷''
আমার ব্লগেই জাকির মাহদিন লিখেছেন প্রবীণদের নিয়ে৷ পরিবারের বাবা-মা-কে বৃদ্ধ হলে যে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেয়া হয়, তার বিরুদ্ধে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন তিনি৷ ‘বৃদ্ধদের স্থান বৃদ্ধাশ্রম নয়; আমাদের ঘর, পরিবার ও সমাজেই' – এই শিরোনামে তাঁর লেখায় তিনি বৃদ্ধদের প্রতি সম্মান এবং সহমর্মিতা প্রকাশের পেছনে ধর্মের সমর্থনের বিষয়টিও বিস্তারিতভাবে লিখে জানিয়েছেন৷
তাঁর লেখার শেষাংশ এ রকম: ‘‘বর্তমানে পরিবারগুলোয় যে অশান্তির আগুন, বিচ্ছিন্নতা ও একাকিত্ব, সমাজে যে অস্থিরতা, যুবসমাজের নৈতিক অবক্ষয়, অপসংস্কৃতি, নগ্নতার সয়লাব, অধার্মিকতার চূড়ান্ত মাত্রা তা রোধে নবীন-প্রবীণের সহযোগিতা ও সহমর্মিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার বিকল্প নেই৷ বিশেষ করে প্রবীণরা তো পরিবার ও সমাজের ভিত্তি৷ প্রত্যেক প্রবীণ ব্যক্তিই কোনো না কোনো দিক থেকে আমাদের শিক্ষক৷ তাঁদের থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা, প্রত্যক্ষ সহযোগিতা, তাঁদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ছাড়া আমরা সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখি কীভাবে? এটা হতেই পারে না৷''
সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ