স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক৷
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন সাতজন৷ সব মিলিয়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা ৯১ জনে দাঁড়িয়েছে৷ এখন পর্যন্ত নয়জনের চিকিৎসায় ভেন্টিলেশন বা কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাসযন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল৷ কিন্তু তাদের আটজনই মারা গেছেন৷
গত ২৪ ঘন্টায় করোনা সংক্রমণ মুক্ত হয়েছে নয়জন রোগী৷ মোট আরোগ্য লাভ করা রোগীর সংখ্যা ৭৫ জন৷
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা এখন আক্রান্তের সপ্তম সপ্তাহে রয়েছি৷ এই সময় ইউরোপ, অ্যামেরিকায় লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল ও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে না চলি তাহলে আমাদের ফলাফলও ভালো হবে না৷’’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো জানান, ‘‘গত কয়েকদিন ধরে আক্রান্তের সংখ্য ৩০০-র মধ্যে রয়েছে৷ এর মধ্যে থাকলে আমরা ভাগ্যবান৷ বাড়তে থাকলে তা আশংকার কারণ৷’’
লকডাউন কার্যকরে প্রশাসনের বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি৷ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে কয়েক হাজার মানুষের অংশগ্রহণে একটি জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷ বলেন, ‘‘গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বিশেষ জানাজায় হাজার হাজার লোক শরীক হয়েছে৷ এই সময়ে এই ধরনের জমায়েত খুবই ক্ষতিকর৷ অনেক লোকের আক্রান্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে৷ এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করা উচিত না৷ এখানে প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে৷’’
এফএস/জেডএ
রাস্তাঘাট, বাজার, জানাজা, ত্রাণ বিতরণ কিংবা বিক্ষোভ; বাংলাদেশে সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ অনেক ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না৷ ঘটছে অবাক করা সব ঘটনাও৷ তারই কয়েকটি নমুনা থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: Ujjal chakrabortyব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের একটি জানাজার চিত্র এটি৷ কয়েক হাজার মানুষ সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ তোয়াক্কা না করে জড়ো হয়েছিলেন সেখানকার একটি মাদ্রাসায়৷ মানুষের ভিড় মাদ্রাসার সীমানা ছাড়িয়ে পৌঁছায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও৷
ছবি: Ujjal chakrabortyখেলাফত মজলিশ নেতা মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় মানুষের এই জমায়েত ঠেকাতে কেন প্রশাসন আগে থেকে ব্যবস্থা নেয়নি তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে৷ সরাইল থানার ওসি মো. শাহাদাৎ হোসেন টিটু গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ছাড়াও ঢাকা থেকে লোকজন এসেছে৷ আমরা চিন্তাও করতে পারিনি যে এত লোক হবে৷ লোকজন আসতে শুরু করার পর আমাদের আর কিছু করার ছিল না৷’’
ছবি: Ujjal chakrabortyকরেনার মধ্যেই ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে প্রতিদিন সকালে শত শত মানুষের ভিড় দেখা যায়৷ সেখানে মানা হয় না সামাজিক দূরত্ব৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan শুক্রবার সকাল সাতটার কারওয়ান বাজারের মূল সড়কের চিত্র এটি৷ ব্যবসায়ী পণ্যের পসরা সাঁজিয়ে বসেছেন আগের মতই৷ একই চিত্র থাকে সবজির আড়তেও৷ দেখে কে বলবে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে?
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan কী ক্রেতা, কী বিক্রেতা সামাজিক দূরত্বের বিধি বিধান মানছেন না কেউ৷ আর দশটা স্বাভাবিক সকালের মতই চলে বেচাকেনা৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan স্বাভাবিক দিনের মতই কারওয়ান বাজারের সামনের মূল সড়কে বসেছে মাছের পাইকারি বাজার৷ শত শত মানুষের এই ভিড় সামলানোর কোন চেষ্টা নেই৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan কারওয়ান বাজারে জনতা টাওয়ারের কাছে আড়তে দুইজন ব্যবসায়ীর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল৷ তাই দুইটি আড়ত লকডাউন করা হয়েছে৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan সকালের কাজের ফাঁকে ব্যবসায়ীরা একটু খালি জায়গা পেয়ে চায়ের আড্ডা জমিয়েছেন৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan এটি ঢাকার কাঁঠাল বাগানের চিত্র৷ মাছ, মাংসের জন্য সকাল সকালই সেখানে ভিড় জমিয়েছেন ক্রেতারা৷ দূরত্ব বজায় রাখা দূরে থাক একজন আরেকজনের গা ঘেঁষে করছেন কেনাকাটা৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan বাজারগুলোতে দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বিশেষ কোন ব্যবস্থাও করা হয়নি৷ বিক্রেতারা যথারীতি একজন আরেকজনের গা ঘেঁষেই পণ্যের পসরা নিয়ে বসেছেন৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan রাজধানীসহ সারাদেশেই ব্যক্তি কিংবা সামাজিক উদ্যোগে দরিদ্র মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ চলছে৷ কিন্তু এই মানবিক উদ্যোগ উল্টো করোনা ছড়াবে কিনা সেই আশংকাও থেকে যায়৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan সরকারিভাবে দেয়া ত্রাণ কার্যক্রমেও থাকে অব্যবস্থাপনা৷ কোনো ধরনের শৃঙ্খলা ও দূরত্ব নিশ্চিত না করেই চলে বিতরণ৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan ছুটি শেষের ঘোষণায় দেশের পোশাক খাতের শ্রমিকরা বিভিন্ন জেলা থেকে একদফা ঢাকার পথে ছুটেছিলেন৷ চলতি মাসে তারা আবার বেতনের জন্য রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন৷ এটি চট্টগ্রামে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধের চিত্র৷ একই পরিস্থিতি হয়েছে ঢাকার কয়েকটি কারখানা অঞ্চলেও৷
ছবি: bdnews24.com