1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টেলিভিশন ডুয়েলেও এগিয়ে ম্যার্কেল

৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

২৪শে সেপ্টেম্বর জার্মানির সংসদ নির্বাচনের আগে দুই শীর্ষ প্রার্থীর একমাত্র ‘টেলিভিশন ডুয়েল' দেখতে পেলেন ভোটাররা৷ জনমত সমীক্ষায় চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল জয়ী হলেও ব্যালট বাক্সে তার প্রভাব নিয়ে সন্দেহ রয়েছে৷

TV-Duell Angela Merkel und Martin Schulz
ছবি: picture alliance/dpa/M. Kappeler

রবিবারের টেলিভিশন বিতর্ক অনুষ্ঠানে ম্যার্কেল তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে যতটা সম্ভব শান্ত থাকার চেষ্টা করেছেন৷ প্রতিপক্ষের হামলার মুখেও তাঁকে বেশি বিচলিত হতে দেখা যায়নি৷ ২০১৫ সালে শরণার্থীদের ঢল সামলাতে তিনি নিজের সিদ্ধান্তে এখনো অটল রয়েছেন৷ বিদেশিদের অভিবাসনের প্রশ্নেও তিনি নিজের ঘোষিত পথে এগোতে চান৷ ডিজেলগেট কেলেঙ্কারি সামলাতে তিনি কোনো চমকের বদলে এক সার্বিক সমাধানসূত্রের পক্ষে সওয়াল করেছেন৷ মোটকথা চতুর্থ বার চ্যান্সেলর হলে ম্যার্কেল ধারাবাহিকতা বজায় রাখার অঙ্গীকার করেছেন৷ প্রতিদ্বন্দ্বী শুলৎস পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন৷

তবে চাপের মুখে পড়ে তিনি এমন কিছু ক্ষেত্রে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন, যা এতকাল অস্পষ্ট ছিল৷ যেমন তিনি বলেন, জার্মানিতে চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণের বয়স কোনো অবস্থায় বাড়িয়ে ৭০ করা হবে না৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নে তুরস্কের যোগদান সংক্রান্ত আলোচনা বাতিল করার প্রস্তাবেও তিনি সায় দেন৷

প্রার্থী হিসেবে ম্যার্কেল ও শুলৎস-এর মধ্যে মতের মিলের অভাব নেই৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নে জার্মানির ভূমিকা থেকে শুরু করে অভিবাসন প্রসঙ্গে তাঁদের অবস্থান প্রায় এক৷ টেলিভিশন বিতর্ককে তাই অনেকে ‘ডুয়েল' না বলে ‘ডুয়েট' আখ্যা দিচ্ছেন৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আদলে দুই প্রার্থীর মধ্যে ‘টেলিভিশন ডুয়েল'-এর রীতি জার্মানিতে চালু হয়েছে ২০০২ সাল থেকে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্টের তুলনায় জার্মান চ্যান্সেলরের ক্ষমতা অনেক সীমিত৷ সংসদীয় ব্যবস্থার কাঠামোর মধ্যে জোট রাজনীতির বাধ্যবাধকতা সামলে তাঁকে কাজ করতে হয়৷ তা সত্ত্বেও নেতা হিসেবে শীর্ষ প্রার্থীর মূল্যায়নে এই ডুয়েল জার্মানিতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷ রবিবার জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও তাঁর প্রতিপক্ষ এসপিডি দলের মার্টিন শুলৎস-এর বাকযুদ্ধ দেখেছেন সম্ভবত প্রায় ২ কোটি মানুষ৷ অনুষ্ঠানের পর বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী ম্যার্কেলই এই বাকযুদ্ধে জয়ী হয়েছেন৷

তবে নির্বাচনের তিন সপ্তাহ আগের এই একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠান ভোটারদের আচরণের উপর কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে সব মহলেই সন্দেহ রয়েছে৷ বিশেষ করে যে সব ভোটার এখনো মনস্থির করে উঠতে পারেননি, তাঁদের সিদ্ধান্তের উপর ২৪শে সেপ্টেম্বরের সংসদ নির্বাচনের ফলাফল অনেকটাই নির্ভর করবে৷

স্বতঃস্ফূর্ত বাকযুদ্ধ নয়, রীতিমতো নিয়মের কাঠামোয় মুড়ে দেওয়া হয়েছিল এবারের ‘টেলিভিশন ডুয়েল' অনুষ্ঠান৷ বিভিন্ন টেলিভিশন নেটওয়ার্কের চারজন সাংবাদিক দুই প্রার্থীর জন্য সময় বেঁধে দিয়েছিলেন৷ মোট চারটি বিষয় স্থির করে দেওয়া হয়েছিল৷ সেই গণ্ডির মধ্যেই ম্যার্কেল ও শুলৎস-কে আবদ্ধ থাকতে হয়েছে৷ অনুষ্ঠানের পর শুলৎস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনার সুযোগ হয় নি৷ তবে তিনি দ্বিতীয় ডুয়েলের দাবি জানালেও ম্যার্কেল তা প্রত্যাখ্যান করেছেন৷

একমাত্র এই ‘টেলিভিশন ডুয়েল'-কে ঘিরে বিতর্কও কম ছিল না৷ জোট সরকার গঠনে যে সব দলের ভূমিকা অনস্বীকার্য, সেই সব দলের নেতাদের বিতর্কে শামিল করা হয়নি৷ তাঁদের জন্য সোমবার আলাদা টেলিভিশন বিতর্কের আয়োজন করা হচ্ছে৷ তাছাড়া বিষয় বাছাই নিয়েও সমালোচনা শোনা যাচ্ছে৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ