1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

একশ কিলো ওজনের ঝিনুক!

মারিয়ন হ্যুটার/এসি২০ জুলাই ২০১৬

ফিলিপাইনস-এর টানিয়ন প্রণালীতে বিরল ঝিনুক কিংবা শুশুকের ঝাঁকের কোনো অভাব নেই৷ যার অভাব আছে, সেটি হল পর্যাপ্ত পরিবেশ সুরক্ষার, যার জন্য প্রয়োজন রেঞ্জার ও অর্থের৷ তবে তার চেষ্টা চলছে৷

Grosse Riesenmuschel Moerdermuschel Tridacna gigas
ছবি: picture-alliance/Wildlife/J. Freund

ফিলিপাইন্স-এ যেভাবে চলছে পরিবেশ সুরক্ষা

03:30

This browser does not support the video element.

ট্রাইডাকনা গাইগাস বা জায়ান্ট ক্ল্যাম নামধারী সুবিশাল ঝিনুকটির ওজন শেষমেষ একশো কিলোগ্রামে দাঁড়াতে পারে৷ টানিয়ন স্ট্রেটে এরা সবাই শান্তিতে বড় হতে পারে৷ এই সব ঝিনুকদের অনেকেই আজ বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় পড়ে৷

টানিয়ন স্ট্রেট হল ফিলিপাইনস-এর নেগ্রোস আর চেবু দ্বীপের মাঝখানের প্রণালী৷ প্রায় বিশ বছর আগে এই সমুদ্রাঞ্চলকে সংরক্ষিত এলাকা বলে ঘোষণা করা হয়৷ আনসিল সিলভা অয়েস্টার বা মানুষের খাবারের যোগ্য ঝিনুক ধরে চারজন মানুষের সংসার চালান৷ পরিষ্কার পানি দেখে তিনি খুশি৷ আনসিল বলেন, ‘‘এই পানি রক্ষা করা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ কেননা আমাদের জীবিকাই তো এখানে৷ কাজেই আমাদের দেখতে হবে যে, এখানকার প্রবাল যেন বিনষ্ট না হয়৷''

টানিয়ন স্ট্রেট-এর নীচে সাগরের তলায় মাছেরা খাবার পায় – সেই সঙ্গে শত শত তিমি মাছ আর শুশুকরা, যারা এই ১৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রণালী পাড়ি দেয়, বিশেষ করে বসন্তে৷ ১৪টি বিভিন্ন ধরনের ডলফিন বা শুশুক এখানে দেখা গেছে৷ তাদের সুরক্ষার জন্য অর্থের প্রয়োজন৷ সেই অর্থ সংগ্রহ করা হল আনাবেল প্লান্তিয়া-র কাজ৷ তিনি বিওফিন নামের একটি সংস্থার হয়ে কাজ করেন, যারা সারা বিশ্বে সরকারবর্গকে বিভিন্ন পরিবেশ সুরক্ষা প্রকল্পের অর্থায়নের কাজে সাহায্য করে৷ ফিলিপাইন্সেও তাঁর কাজের কোনো কমতি নেই৷

বিওফিন ফিলিপাইনস-এর প্রধান আনাবেল প্লান্তিয়া বলেন, ‘‘জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সকলকেই সংশ্লিষ্ট করতে হবে৷ কাজেই আমরা সরকারি বাজেট ঘেঁটে দেখেছি, সেখানে রদবদলের ভালো সম্ভাবনা আছে – যা থেকে এই সংস্থাগুলি আরো ভালোভাবে সহযোগিতা করতে পারবে৷''

বরাদ্দ অর্থ বাড়লে আরো বেশি রেঞ্জার নিয়োগ করা সম্ভব হবে – আপাতত উপকূলের এই অংশটির উপর নজর রাখার জন্য মাত্র তিনটি বোট রয়েছে৷ যে কারণে সংরক্ষিত এলাকায় আজও বেআইনিভাবে ডায়নামাইট ফাটিয়ে মাছ ধরা হয়৷ যার ফলে সমুদ্রবক্ষের বিপুল ক্ষতি হয়৷ রেঞ্জাররা যতোটা পারেন সেই ক্ষতি পূরণ করার চেষ্টা করেন; প্রবালের চাষ করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তা পুঁতে দিয়ে মেরামত করার চেষ্টা করেন৷ ডায়নামাইট ফাটিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করতে পারলেই ভালো হতো, কিন্তু সে কাজের জন্য পর্যাপ্ত রেঞ্জার বা সরঞ্জাম নেই৷ টানিয়ন স্ট্রেট মেরিন রিজার্ভের রেঞ্জার লিওনিতো তোরেস বলেন, ‘‘বেআইনি জেলেদের ধরলে আমাদের হুমকিও দেওয়া হয়, তোমাদের খুন করে ফেলা হবে৷ প্রায়ই এ ধরনের হুমকি আসে৷''

ফিলিপাইনস-এ প্রজাতি সংরক্ষণ সহজ কাজ নয়৷ একদিকে দারিদ্র্য, অন্যদিকে মাছ ধরার পেশা৷ তারই মধ্যে পথ খুঁজতে হয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ