1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজযুক্তরাজ্য

একাধিক কেলেঙ্কারির জেরে লন্ডন পুলিশ প্রধানের ইস্তফা

১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২

লন্ডন পুলিশের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ ওঠার পর ইস্তফা দিলেন কমিশনার ক্রেসিডা ডিক।

লন্ডন পুলিশের প্রথম নারী কমিশনার ইস্তফা দিলেন। ছবি: Dan Kitwood/Getty Images

লন্ডনের প্রথম নারী কমিশনার ডিক জানিয়েছেন, লন্ডনের মেয়র সাদিক খানের সমর্থন হারানোর পর তার ইস্তফা দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।

সম্প্রতি লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশের বিরুদ্ধে একের পর এক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতির অভিযোগ তো আছেই, সেই সঙ্গে বাহিনীর মধ্যে বৈষম্যের অভিযোগও আছে।

তবে সম্প্রতি মেট্রোপলিটান পুলিশের একজন বর্তমান সদস্যের বিরুদ্ধে এক নারীকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তারপরই ডিক ইস্তফা দিলেন।

পুলিশ প্রধান কী বলেছেন?

ডিক বলেছেন, তার সামনে ইস্তফা দেয়া ছাড়া আর কোনো পথ ছিল না। লন্ডনের মেয়র সাদিক খান ঘোষণা করেছিলেন, তিনি আর পুলিশ কমিশনারের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না।

২০২৪ পর্যন্ত ডিক পুলিশ কমিশনার থাকতে পারতেন। কিন্তু সাদিকের এই মন্তব্যের পরই তিনি বলেছেন, ''আমি খুব দুঃখের সঙ্গে এই ঘোষণা করছি। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, আমার উপর মেয়রের আর কোনো আস্থা নেই।''

চোর ধরতে লন্ডন পুলিশের নতুন কায়দা

00:49

This browser does not support the video element.

ডিক বলেছেন, ''ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা-সহ সম্প্রতি বেশ কয়েকটি খারাপ ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে এই অসাধারণ পুলিশ বাহিনীর উপর মানুষের আস্থায় চিড় ধরেছে।''

২০১৭ থেকে ডিক এই পদে ছিলেন। তিনি বলেছেন, তার সঙ্গী পুলিশ অফিসাররা প্রতিদিন প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। তাদের তিনি ধন্যবাদ দিয়েছেন।

লন্ডনের পুলিশ এখন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে পার্টিগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত করছে। অভিযোগ উঠেছে, করোনাকালে জনসন বিধি ভেঙে একের পর এক পার্টি করেছেন। এই গুরুত্বপূর্ণ তদন্ত যখন চলছে, তখন ডিক ইস্তফা দিলেন।

মেয়রের বক্তব্য

মেয়র জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে তিনি পুলিশ প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে তিনি পুলিশ বাহিনীতে বর্ণবাদ, যৌন কেলেঙ্কারি, হোমোফোবিয়া, বৈষম্য, নারীবিদ্বেষ বন্ধ করতে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন। তিনি কমিশনারকে বলেছিলেন, লন্ডনবাসীর আস্থা ফেরাতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। তার মতে, এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে, লন্ডনবাসীর আস্থা ফেরাতে গেলে নতুন নেতা দরকার।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ